ঢাকা, রবিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ক্রিকেট

মুম্বাইকে উড়িয়ে টানা দ্বিতীয় জয় কলকাতার

স্পোর্টস ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০০৩৮ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৪, ২০২১
মুম্বাইকে উড়িয়ে টানা দ্বিতীয় জয় কলকাতার

মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের বিপক্ষে ম্যাচ মানেই কলকাতা নাইট রাইডার্সের জন্য যেন সম্মান বাঁচানোর লড়াই। তবে দীর্ঘদিন পর রোহিতবাহিনীর বিপক্ষে জয়ের স্বাদ পেল কলকাতা।

আর জয়টাও এলো বড় ব্যবধানে, যা আবার দলটির টানা দ্বিতীয় জয়।

বৃহস্পতিবার আবু ধাবির শেখ আবু জায়েদ স্টেডিয়ামে রোহিত শর্মার দলকে কলকাতা হারিয়ে দিল ৭ উইকেটে। মুম্বাইয়ের ছুড়ে দেওয়া ১৫৬ রানের লক্ষ্য তারা পেরিয়ে গেল ২৯ বল হাতে রেখেই।  

আগের ম্যাচে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুকে অনায়াসে হারিয়ে দেওয়া কলকাতার জন্য মুম্বাই বরাবরই কঠিন প্রতিপক্ষ। ফলে এই ম্যাচের দিকে ছিল বাড়তি নজর। তবে এই ম্যাচেও খেলেননি বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। যদিও তাতে খেলার ফলাফলে তেমন কোনো প্রভাব পড়েনি। শুরুতে ফিল্ডিংয়ে নেমে মুম্বাইকে বড় সংগ্রহ পেতে দেননি লোকি ফার্গুসন-সুনিল নারাইনরা। পরে ব্যাট হাতে কলকাতার জয়ের দুই নায়ক ভেঙ্কটেশ আইয়ার এবং রাহুল ত্রিপাঠী।  

এবার আইপিএলের নিলামে ২০ লাখ রুপি দিয়ে আইয়ারকে কিনেছিল কলকাতা। আমিরাত-পর্বে এই তরুণ দারুণ প্রতিদান দিতে শুরু করেছেন দলকে। আগের ম্যাচে কোহলিদের বিপক্ষে ৪১ রান করেছিলেন। আর আজ ৫৩ রান করে দলের জয়ে রাখলেন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা। এরপর রাহুল ত্রিপাঠী খেললেন ৪২ বলে অপরাজিত ৭৪ রানের দুর্দান্ত এক ইনিংস, যা দলের জয় নিশ্চিত করে দেয়।

টসে জিতে ব্যাটিং বেছে নিয়েছিলেন কলকাতার অধিনায়ক মরগান। কিন্তু তার সিদ্ধান্ত প্রায় ভুল প্রমাণিত হয়ে গিয়েছিল। কারণ শুরু থেকেই কলকাতার বোলারদের উপর চড়াও হয়ে খেলেন মুম্বাইয়ের দুই ওপেনার রোহিত শর্মা ও কুইন্টন ডি কক। রোহিত ৩৩ রানের ইনিংস খেলে বিদায় নিলেও একটি নজির স্থাপন করেছেন। প্রথম ব্যাটার হিসেবে আইপিএলে নির্দিষ্ট একটি প্রতিপক্ষের বিপক্ষে হাজার রানের মাইলফলক গড়েছেন তিনি। ইনিংসের ১০ম ওভারে তাকে বিদায় করে কলকাতাকে প্রথম সাফল্য এনে দেন সুনিল নারাইন।  

প্রথম উইকেট জুটিতে ৭৮ রান তুলে ফেলেছিলেন রোহিত-ডি কক। তবে রোহিতের বিদায়ের পর ছন্দ হারাতে থাকে মুম্বাই। রান তোলার গতিও কমে আসে। ক্রিজে বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি সূর্যকুমার যাদব, ঈশান কিষানরা। তবে ফিফটি তুলে নেন ডি কক। প্রসিদ্ধ কৃষ্ণার বলে নারাইনের হাতে ক্যাচ তুলে দেওয়ার আগে এই প্রোটিয়া ওপেনারের ব্যাট থেকে আসে ৪২ বলে ৪ চার ও ৩ ছক্কায় ৫৫ রান। শেষদিকে কায়রন পোলার্ড ১৫ বলে ২১ রানের ইনিংস খেললে মুম্বাইয়ের সংগ্রহ দেড়শোর গণ্ডি পার হয়।

জবাব দিতে নেমে কলকাতার দ্বিগুণ গতিতে শুরু করে কলকাতা। ট্রেন্ট বোল্টের প্রথম ওভারেই ২ ছক্কাসহ ১৫ রান তোলেন কলকাতার দুই ওপেনার। এরপর শুভমন গিল ও ভেঙ্কটেশ মিলে মুম্বাইয়ের বোলারদের দারুণভাবে সামাল দেন। শুরুতে বল হাতে খরুচে বুমরাহ দলকে এনে দেন প্রথম সাফল্য। তার নিখুঁত ইয়র্কারে ১৩ রান করা গিলের স্ট্যাম্প ভাঙে। এরপর আইয়ার আর ত্রিপাঠী মিলে মুম্বাইকে ম্যাচ থেকে একপ্রকার ছিটকে ফেলেন।

টানা দুই জয়ের পর পয়েন্ট টেবিলে কলকাতার অবস্থানে এখন চারে। ৯ ম্যাচে তাদের সংগ্রহ ৮ পয়েন্ট।

বাংলাদেশ সময়: ০০৩৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৪, ২০২১
এমএইচএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।