মাঝারি পুঁজি নিয়েও বেশ ভালোভাবেই লড়াইয়ে ছিল পাঞ্জাব কিংস। কিন্তু শেষদিকে হার্দিক পান্ডিয়া সব হিসাব উল্টে দিলেন।
চলতি আইপিএলের ৪২তম ম্যাচে মঙ্গলবার শেষ আবু জায়েদ স্টেডিয়ামে ৬ উইকেটে জয় পেয়েছে রোহিত শর্মার দল।
টসে হেরে শুরুতে ব্যাটিংয়ে নেমে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৩৫ রান সংগ্রহ করেছিল পাঞ্জাব। জবাবে ৪ উইকেট হারিয়ে ৬ বল বাকি থাকতেই জয় ছিনিয়ে নেয় মুম্বাই।
লক্ষ্য তাড়ায় নেমে মুম্বাইয়ের শুরুটা ভালো হয়নি। দলের অধিনায়ক ও ওপেনার রোহিত শর্মা মাত্র ৮ রান করেই বিদায় নেন। তিনে নামা সূর্যকুমার যাদব তো কোনো রান করার আগেই মুখোমুখি হওয়া প্রথম বলেই বোল্ড হয়ে ফিরেছেন। কিন্তু মিডল অর্ডারে সৌরভ তিওয়ারি ও কুইন্টন ডি কক হাল ধরেন। তবে ডি কক ইনিংস লম্বা করতে পারেননি। এই প্রোটিয়া ওপেনার ২৯ বলে ২৭ রান করে আউট হন।
ডি ককের বিদায়ের পর পান্ডিয়াকে নিয়ে মুম্বাইয়ের রানের চাকা সচল রাখেন তিওয়ারি। ৩৭ বলে ৪৫ রানের ইনিংস খেলে তিওয়ারি যখন চতুর্থ উইকেট হিসেবে বিদায় নেন, মুম্বাইয়ের সংগ্রহ তখন ৯২ রান। অপরপ্রান্তে তখনও হাত খুলতে শুরু করেননি পান্ডিয়া। তবে কাইরন পোলার্ড আসতেই গতি আসে পান্ডিয়ার ইনিংসে। তাদের দাপুটে ব্যাটিংয়ে শেষ ৫ ওভারে আসে ৫৩ রান। যে মুম্বাই প্রথম ১০৫ বলে করেছিল ১০৮ রান, সেই দলই কি না শেষ ৯ বলে পায় ২৯ রান!
শেষ পর্যন্ত পান্ডিয়া ৩০ বলে ৪ চার ও ২ ছক্কায় ৪০ রান নিয়ে অপরাজিত থাকেন। অন্যদিকে পোলার্ড অপরাজিত থাকেন ৭ বলে ১ চার ও ১ ছক্কায় ১৫ রানে। দুজনের ২৩ বলে ৪৫ রানের জুটিই ম্যাচের ভাগ্য গড়ে দেয়।
বল হাতে পাঞ্জাবের রবি বিষ্ণু ৩ উইকেট নিয়েছেন। ১টি করে উইকেট গেছে মোহাম্মদ শামি ও ন্যাথান এলিসের ঝুলিতে। তবে শামি ৪ ওভারে খরচ করেছেন ৪২ রান। এর মধ্যে তার শেষ ওভারে ১৭ রান আসে, যার ১৬ রানই আসে পান্ডিয়ার ব্যাট থেকে।
এর আগে মন্দীপ সিং ও লোকেশ রাহুলের ওপেনিং জুটিতে ৩৬ রান পায় পাঞ্জাব। মন্দীপ ১৫ রানে বিদায় নেওয়ার পর ক্রিস গেইলকে (১) দাঁড়াতেই দেননি পোলার্ড। ওই ওভারেই রাহুলকেও (২১) বিদায় করে পাঞ্জাবের সর্বনাশ করেন ক্যারিবীয় অলরাউন্ডার। পুরো ইনিংসে ওই এক ওভারই করেছেন তিনি। তবে ওই জোড়া ধাক্কার পরও পাঞ্জাবকে সম্মানজনক সংগ্রহ এনে দিয়েছেন এইডেন মার্করাম। এই প্রোটিয়া ব্যাটার ২৯ বলে ৬ চারে ৪২ রানের ইনিংস খেলেছেন। এছাড়া দীপক হুডা ২৮ ও হারপ্রীত ব্রারের ব্যাট থেকে এসেছে ১৪ রান।
বল হাতে ২টি করে উইকেট নিয়েছেন মুম্বাইয়ের জসপ্রীত বুমরাহ ও পোলার্ড। আর ১টি করে উইকেট গেছে ক্রুনাল পান্ডিয়া ও রাহুল চাহারের দখলে।
এই জয়ে ১১ ম্যাচে ৫ জয়ে ১০ পয়েন্ট পাওয়া মুম্বাই পয়েন্ট টেবিলের পাঁচে উঠে এলো। সমান পয়েন্ট চারে থাকা কলকাতা নাইট রাইডার্সেরও। কিন্তু নেট রান রেটে পিছিয়ে মুম্বাই। আর পাঞ্জাব রয়ে গেল ছয়েই। অন্যদিকে আগের মতোই ১০ ম্যাচে ১৬ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে চেন্নাই সুপার কিংস। এক ম্যাচ বেশি খেলে সমান পয়েন্ট পাওয়া দিল্লি ক্যাপিটালস আছে দুইয়ে। ১০ ম্যাচে ১২ পয়েন্ট নিয়ে তিনে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরু।
বাংলাদেশ সময়: ০০২৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৯, ২০২১
এমএইচএম