ঢাকা, সোমবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ক্রিকেট

লেগি আমিনুলকে ম্যাচে নিয়েও কেন অবহেলা?

মোস্তফা শামীম, নিউজরুম এডিটর | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৪৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৯, ২০২১
লেগি আমিনুলকে ম্যাচে নিয়েও কেন অবহেলা? বোলিং করছেন আমিনুল ইসলাম বিপ্লব। ছবি: শোয়েব মিথুন

বিশ্বজুড়ে যেখানে লেগস্পিনারদের বিপ্লব চলছে, সেখানে বাংলাদেশের বিপ্লবকে যেন দিন দিন আরও হতাশার পাত্র বানানো হচ্ছে। অথচ সর্বশেষ টি-টোয়েন্টি র‌্যাংকিংয়ে দেখা যায় শীর্ষ পাঁচজনই লেগস্পিনার!

একসময়ের যুবায়ের হোসেন লিখন ও তানবীর হায়দারের পর এবার সম্ভাবনাময় আমিনুল ইসলাম বিপ্লবও বাংলাদেশ দলে বেশ অবহেলার শিকার হচ্ছেন।

দেশের স্বীকৃত ক্রিকেটে এরা নিয়মিত লেগস্পিনার। তবে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে অন্য প্রায় সব দলেরা লেগি নির্ভর হলেও বাংলাদেশ হাঁটে ভিন্ন পথে।

সদ্য শেষ হওয়া টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেও এমন চিত্র দেখা গেছে। শ্রীলঙ্কার ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা ছিলেন আসরটির সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি। আর চ্যাম্পিয়ন দল অস্ট্রেলিয়ার হয়ে খেলে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ উইকেট শিকার করেছেন অ্যাডাম জাম্পা।

এই বিশ্বকাপেই বাংলাদেশের স্কোয়াড ঘোষণার সময় আমিনুলকে রির্জাভ ক্রিকেটার হিসেবে বিবেচনা করলেও শেষ অবধি দল থেকেই বাদ দেওয়া হয়। একই সময় তিনি কিন্তু দেশের প্রথম শ্রেণির ম্যাচে ছিলেন বেশ উজ্জ্বল। এনিয়ে প্রচুর সমালোচনার পর পাকিস্তানের বিপক্ষে চলমান সিরিজে ফের ডাক পান। এমনকি এবার ম্যাচেও সুযোগ পান। কিন্তু কি এক অদ্ভুত কারণে পুরো ম্যাচে মাত্র ২টি বল করতে পারেন এই ডানহাতি!

১২৮ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নামা পাকিস্তানের শেষ ওভারে জয়ের জন্য মাত্র ২ রান দরকার ছিল। এমন সময় অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ বল তুলে দেন বিপ্লবের হাতে। পরে দুই বলেই ম্যাাচ শেষ হয়ে যায়। অথচ অধিনায়ক নিজেই ৩ ওভার বল করেন। যদিও তার ইকোনোমি ভালো ছিল (৬.৩৩)। কিন্তু ছিলেন উইকেটশূন্য।

ম্যাচ শেষে মাহমুদউল্লাহ এ ব্যাপারে হতাশজনক এক যুক্তি দেখালেন। তার মতে পাকিস্তানের পঞ্চম উইকেট জুটিতে দুই বাঁহাতি থাকাতেই তিনি বিপ্লবকে বল না দিয়ে নিজে করেছেন! এই ম্যাচেই কিন্তু পাকিস্তানি লেগস্পিনার শাদাব খান বাংলাদেশের ইনফর্ম বাঁহাতি আফিফ হোসেনকে তুলে নিয়েছিলেন। আফিফ দলের হয়ে ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ ৩৬ রানও করেন।

মাহমুদউল্লাহ বলেন, ‘পরিকল্পনা ছিল বোলিং করানোর। দুইজন বাঁহাতি ব্যাটার থাকার কারণে আমাকে বোলিং করতে হয়। ’

এমন হাস্যকর যুক্তিতে আমিনুলকে বল না করানোটাই যেন ভুল হলো। ফখর জামান ও খুশদিল শাহ’র সেই জুটি ৫০ বলে ৫৬ করে পাকিস্তানের শুরুর বিপদ সামাল দেয়। যদিও শেষদিকে শাদাব খান ও মোহাম্মদ নওয়াজের ঝড়েই ৪ উইকেটের জয় নিশ্চিত হয় পাকিস্তানের।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৪৭ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৯, ২০২১
এমএমএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।