পাকিস্তানের বিপক্ষে দুই ম্যাচ টেস্ট সিরিজের প্রথমটিতে ভালো শুরু করলেও শেষদিকে এসে পরাজয়ের কাছে গিয়ে চতুর্থ দিন শেষ করে টাইগাররা। দ্বিতীয় ইনিংসে বাংলাদেশের দেওয়া ২০২ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে কোনো উইকেট না হারিয়ে ১০৯ রান করে দিন শেষ করে পাকিস্তান।
জয়ের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে দারুণ শুরু করেন পাকিস্তানি দুই ওপেনার আবিদ আলী ও আবদুল্লাহ শফিক। যদিও বাংলাদেশের হাতে কয়েকবার সুযোগ এসেছিল উইকেট নেওয়ার। তবে সেগুলো কাজে লাগাতে পারেনি টাইগাররা। আর দুর্দান্ত ব্যাট করে দুই ওপেনারই তুলে নেন অর্ধশতক। ৯২ বলে হাফসেঞ্চুরি করেন আবিদ আলি। অপরদিকে ৮৮ বলে অর্ধশতের দেখা পান আবদুল্লাহ শফিক।
প্রথম ইনিংসে সেঞ্চুরি জুটি গড়ার পর দ্বিতীয় ইনিংসেও সেঞ্চুরি জুটি গড়ে রেকর্ড গড়েন পাকিস্তানি দুই ওপেনার। দ্বিতীয়বারের মতো দুই ইনিংসে শতক জুটির দেখা পেয়েছে পাকিস্তান। এর আগে প্রথমবার ২০০৩ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে হয়েছিলো। ১৯৮ বলে ১০৯ রানের জুটি গড়ে চতুর্থ দিন শেষ করেন পাকিস্তানি দুই ওপেনার। ৬ চারে ১০৫ বলে ৫৬ রান নিয়ে অপরাজিত আছেন আবিদ আলী। অপরপ্রান্তে ৬ চার ও ২ ছয়ে ৯৩ বলে ৫৩ রান নিয়ে অপরাজিত আছেন শফিক।
এর আগে চতুর্থ দিন মাঠে নেমেই বিপাকে পড়ে বাংলাদেশ। পাকিস্তান পেসার হাসান আলীর বলে বোল্ড হন মুশফিকুর রহিম। ৩৩ বলে ১৬ রান করেন তিনি। এরপর শাহিন শাহ আফ্রিদির বাউন্সার ব্যাট হাতে থিতু হয়ে থাকা ইয়াসির আলীর হেলমেটে আঘাত করে। পরে মাঠে ফিজিও আসার পর তার সঙ্গে কথা বলে খেলা চালিয়ে গেলেও, পানি পানের বিরতির সময় ফিজিওর সঙ্গে মাঠ ছাড়েন এই মিডলঅর্ডার ব্যাটার। ৭২ বলে ৬টি চারে ৩৬ রান করেন তিনি।
ইয়াসির উঠে যাওয়ায় পর উইকেটে আসনে মেহেদী হাসান মিরাজ। তবে ইয়াসিরের কনকাশন বদলি হিসেবে নুরুল হাসান সোহানের নাম নিশ্চিত করা হয়েছে। তিনি মাঠে ব্যাট ও বল দুটিই করতে পারবেন। সাজিদ খানের বলে এলবি হয়ে মাঠ ছাড়েন মেহেদী হাসান মিরাজ। ৪৪ বলে ১১ রান করেন তিনি।
দ্বিতীয় ইনিংসে লাঞ্চ বিরতির পর টেস্ট ক্যারিয়ারের দশম হাফসেঞ্চুরি তুলে নেন লিটন দাস। প্রথম ইনিংসে তিনি দুর্দান্ত সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছিলেন। তবে এরপরই ইয়াসির আলীর কনকাশন বদলি হিসেবে নামা নুরুল হাসান সোহান বিদায় নেন। ৩৩ বলে ১৫ রান করেন এই ডানহাতি। সোহানের পর বিদায় নেন লিটনও। আফ্রিদির বলে এলবি হয়ে ৮৯ বলে ৬টি চারে সর্বোচ্চ ৫৯ রান করে বিদায় নেন তিনি। এরপর তাইজুল ইসলাম ও আবু জায়েদের দ্রুত বিদায়ে বাংলাদেশের ইনিংস ১৫৭ রানে থামে।
ক্যারিয়ারের চতুর্থবার ৫ উইকেট পাওয়া আফ্রিদি পাকিস্তানের সেরা বোলার। এছাড়া সাজিদ খান ৩টি ও হাসান আলী ২টি উইকেট লাভ করেন।
এর আগে তৃতীয় দিনের খেলা শেষে ৪ উইকেট হারিয়ে ৩৯ রান সংগ্রহ করে বাংলাদেশ। পাকিস্তানের প্রথম ইনিংস ২৮৬ রানেই গুটিয়ে দিয়ে পাওয়া টাইগারদের ৪৪ রানের লিড দিন শেষে দাঁড়ায় ৮৩ রানে। বাংলাদেশ প্রথম ইনিংসে ৩৩০ রান করেছিল।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৫৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৯, ২০২১
আরইউ