পাকিস্তান সফরে গিয়ে করোনা ভাইরাসের থাবায় পড়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজের কয়েকজন ক্রিকেটার। দলের এমন পরিস্থিতিতেও মনোবল হারায়নি ক্যারিবিয়রা।
বৃহস্পতিবার (১৬ ডিসেম্বর) করাচিতে ইতিহাস গড়ে জয় পায় পাকিস্তান। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে এত বেশি রান আগে কখনও তাড়া করে জিততে পারেননি বাবর আজমরা। সর্বশেষ চলতি বছর দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে ২০৪ রানের লক্ষ্য তাড়া করে জয় ছিল এর আগের রেকর্ড। ইতিহাস গড়ার পাশাপাশি শেষ ম্যাচ জিতে ক্যারিবিয়দের হোয়াইটওয়াশও করলো স্বাগতিকরা।
টস জিতে ব্যাট করতে নেমে দারুণ শুরু করে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। কিং ও ব্রুকস পাওয়ার প্লেতে দলকে এনে দেন ৬৬ রানের সূচনা। এরপর অবশ্য এই ব্যাটারকে বোল্ড করে ব্রেকথ্রু আনেন মোহাম্মদ ওয়াসিম। ২১ বলে ৪৩ রান করে বিদায় নেন কিং। আরেক ওপেনার ব্রুকসকে ৪৯ রানেই ফেরান শাহনওয়াজ দাহানি।
দুই ওপেনার ফিরে যাওয়ার পর ব্যাট করতে নেমে রান বাড়াতে থাকেন নিকোলাস পুরান। ৩১ বলে তুলে নেন অর্ধশতক। ফের পুরানকে ফিরিয়ে ব্রেকথ্রু আনেন ওয়াসিম। ৬ ছয় ও ২ চারে ৬৪ রান করে বিদায় নেন পুরান। ব্রাভো অপরাজিত থাকেন ৩৪ রানে।
জয়ের লক্ষ্যে খেলতে নেমেই উড়ন্ত শুরু করেন বাবর আজম ও রিজওয়ান। পাওয়ার প্লেতে ৬০ রান তুলে ফেলে তারা। ১০ ওভারে স্বাগতিকরা করে ৯৮ রান। এর মাঝে রিজওয়ান ৩৬ বলে তুলে নেন অর্ধশতক। বাবরের ফিফটি আসে ৪০ বলে। অর্ধশতক হাঁকিয়ে মারমুখী হয়ে পড়েন তিনি। ওডিন স্মিথের স্লোয়ারে শেষ পর্যন্ত উইকেট হারান এ ব্যাটার। ২ ছয় ও ৯ চারে ৭৯ রান করে সাঝঘরে ফেরেন তিনি।
বাবরের ফেরার পরই উইকেট হারান রিজওয়ান। তার ৮৭ রানের ইনিংসটি গড়া ৩ ছয় ও ১০ চারে। শেষ দিকে ফখর জামান খালি হাতে ফিরলেও আসিফ আলি ৭ বলে দুটি করে ছক্কা-চারে ২১ রান করে দলের জয় নিশ্চিত করেন।
ব্যাট হাতে দুর্দান্ত ফর্মে থাকা রিজওয়ান জেতেন ম্যাচ ও সিরিজ সেরার পুরস্কার।
বাংলাদেশ সময়: ০৯৪৭ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৭, ২০২১
আরইউ