ঘরের মাঠে ভারতের বিপক্ষে বক্সিং-ডে টেস্ট শুরুর আগেই তদন্তের মুখে পড়তে হচ্ছে ক্রিকেট দক্ষিণ আফ্রিকার শীর্ষ কর্মকর্তাদের। যে তালিকায় নাম রয়েছে বোর্ডের ডিরেক্টর ও সাবেক অধিনায়ক গ্রায়েম স্মিথ ও হেড কোচ মার্ক বাউচার।
তাদের বিরুদ্ধে বর্ণবিদ্বেষের অভিযোগ উঠেছে। যদি সত্যতা প্রমাণিত হয়, তা হলে দুইজনকেই পদ খোয়াতে হতে পারে। সোমবার এক বিবৃতিতে তা জানিয়ে দিয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা বোর্ড। বলা হয়েছে, সামাজিক ন্যায়বিচার এবং জাতিগঠন কমিশনের (এসজেএন) সুপারিশে এই তদন্ত শুরু করা হবে।
দুই প্রাক্তন ক্রিকেটারের বর্ণবিদ্বেষী মনোভাব নিয়ে ২৩৫ পৃষ্ঠার দীর্ঘ রিপোর্ট তৈরি করেছে এই কমিশন।
বর্ণবিদ্বেষ নিয়ে সারা বিশ্বে তুমুল আন্দোলন শুরু হওয়ার পর অনেকেই এর বিরুদ্ধে নিজের মনোভাব তুলে ধরছেন। অতীতে কখনও বর্ণবিদ্বেষের শিকার হলে তা গোপনও রাখছেন না।
দেশটির সাবেক স্পিনার পল অ্যাডামস অভিযুক্ত করেছেন স্মিথ, বাউচার ও এবি ডি ভিলিয়ার্সকে। অ্যাডামসের অভিযোগ, জাতীয় দলের হয়ে তিনি খেলার সময় তাকে 'ব্রাউন' বলে ডাকা হত। এই অভিযোগ নাকি অনেকটা সত্যি, এমনও শোনা যাচ্ছে। যদিও তিন ক্রিকেটার যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
রিপোর্টে স্পষ্ট করে লেখা রয়েছে, এই তিনজনই কৃষ্ণাঙ্গ ক্রিকেটারদের দলে নির্বাচনের প্রসঙ্গে বর্ণবিদ্বেষী মনোভাব পোষণ করতেন। তারই সঙ্গে অভিযোগের আঙুল তোলা হয়েছে বোর্ডের প্রশাসকদের দিকে, যারা বিষয়টিকে তেমন গুরুত্বই দিতে চাননি।
দক্ষিণ আফ্রিকান ক্রিকেট বোর্ড এক বিবৃতিতে বলেছে, বর্ণবিদ্বেষকে সমর্থন করে না দক্ষিণ আফ্রিকা ক্রিকেট বোর্ড। এর বিরুদ্ধে লড়াই করাটা দায়িত্ব বলেই মনে করে। তাই সিএসএ তার দুই কর্মী স্মিথ ও বাউচারের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করছে। পেশাদার আইনজীবীরা পুরো ব্যাপারটা খতিয়ে দেখবেন। তদন্ত চলাকালীন স্মিথ ও বাউচার নিজেদের পদে বহাল থাকবেন। বোর্ডের আশা, দ্রুত এই ব্যাপারটার নিষ্পত্তি হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১১৪৯ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২১, ২০২১
এমএমএস