ফের সেই বাইরের বল খোঁচা মেরে আউট। বুধবার সেঞ্চুরিয়নে লাঞ্চের পরের বলেই মার্কো জানসেনের শিকারে পরিণত হলেন বিরাট কোহলি।
সর্বশেষ বাংলাদেশের বিপক্ষে ২০১৯-এর নভেম্বরে ইডেনে সেঞ্চুরি করেছিলেন বিরাট কোহলি। তার পর থেকে দু’বছর কেটে গেল। তার ব্যাটে সেঞ্চুরির দেখা নেই। আর কোহলির আউটের এমন ধরনে ক্ষুব্ধ কিংবদন্তি সুনীল গাভাস্কার।
সুপারস্পোর্ট পার্কে চতুর্থ দিন ১৭৪ রানে থেমে গেল কোহলিদের দ্বিতীয় ইনিংস। ওপেনার লোকেশ রাহুল প্রথম ইনিংসে ১২৩ রান করলেও, দ্বিতীয় ইনিংসে তার ব্যাট থেকে এল শুধু ২৩ রান। সুইং-বাউন্স কাজে লাগাতে থাকলেন কাগিসো রাবাদা-জানসেনরা। আর একের পর উইকেট হারাতে থাকল ভারত। দ্বিতীয় ইনিংসে কোনও ভারতীয় ক্রিকেটার হাফসেঞ্চুরিও করতে পারেননি।
এই টেস্টে জয় পেতে আর ৬ উইকেট নিতে হবে ভারতের। অন্যদিকে দক্ষিণ আফ্রিকার চাই ২১১ রান। দলের এমন ভালো পারফরম্যান্সের মাঝে হতাশ করে যাচ্ছেন অধিনায়ক কোহলি। কারণ প্রথম ইনিংসের মতো দ্বিতীয় ইনিংসেও ব্যর্থ ভারত অধিনায়ক। এবার ৩২ বলে ১৮ রান করেই বিদায় নেন তিনি।
কোহলির আউটের পর বিরক্ত গাভাস্কার বলেন, ‘দেখলাম কোহলিকে বারবার অফ স্টাম্পের বাইরেই বল করা হচ্ছিল। এটি যে পরিকল্পনা করেই, সেটি বুঝতে সমস্যা হওয়ার কথা নয়। প্রথম ইনিংসের মতোই। কিন্তু লাঞ্চের পর মাঠে নেমে কোহলি খোঁচাই দিল। টেস্টে যে কোনো ব্যাটার উইকেটে থিতু হতে একটু বেশি সময় নেয়। বিরতির পর তাকে অনেক বেশি সাবধান হতে হয়। কারণ এই সময় পা ঠিকমতো নড়ে না। জলপানের বিরতির পরও নতুন করে শুরু করতে হয়। কোহলির মতো অভিজ্ঞ ব্যাটার নিশ্চয়ই ব্যাপারটা জানেন। কিন্তু কোহলির ব্যাটিংয়ে নিচের হাতটা বেশি চলে দেখছি। তাই বল দেখলেই সে তাড়া করে। ’
বাংলাদেশ সময়: ১৩৪০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৩০, ২০২১
এমএমএস