বাংলাদেশের ক্রিকেট ইতিহাসেরই অন্যতম স্মরণীয় ঘটনা অস্ট্রেলিয়া ও ইংল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্ট জেতা। ২০১৬ সালে ঘরের মাঠের সুবিধা নিয়ে স্পিন পিচ বানিয়ে ইংল্যান্ডকে হারায় বাংলাদেশ।
২০১৮ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষেও জয় এসেছিল স্পিন পিচ বানিয়ে। তবে ঘরের মাঠের সুবিধা নিতে গিয়ে বিপদও হয়েছে। চট্টগ্রামে হারতে হয়েছে আফগানিস্তানের বিপক্ষে। স্পিন পিচ বানিয়ে পাওয়া জয়গুলোকে বাংলাদেশের দীর্ঘপরিসরের জন্য ক্ষতি করেছে বলে মনে করেন বর্তমান কোচ রাসেল ডমিঙ্গো।
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে দ্বিতীয় টেস্টের পর তিনি বলেছেন, ‘এটা হয়তো আমাদের একটা টেস্ট ম্যাচের জন্য সাহায্য করবে। কিন্তু দীর্ঘ পরিসরের জন্য টেস্ট দল গড়তে সাহায্য করবে না। আগের টেস্ট জয়গুলোর প্রতি সম্মান রেখেই বলছি, ওই টেস্ট জয় আমাদের পরে হয়তো ক্ষতিই করেছে। ’
ডমিঙ্গো আরও বলেন, ‘কারণ, এরপর ভালো উইকেটে যখন খেলেছি, তখন ভালো করিনি। আমরা যদি স্পিন সহায়ক উইকেট বানিয়ে খেলি, এরপর ঘরের বাইরে ভালো উইকেটে খেলি, তাহলে আমাদের কোনো সুযোগই থাকবে না। ’
টেস্ট সংস্কৃতি তৈরির জন্য ভালো উইকেটে খেলা জরুরি বলেও মনে করেন ডমিঙ্গো, ‘আমাদের টেস্ট সংস্কৃতি গড়তে হলে, ক্রিকেটারদের পারফরম্যান্সে উন্নতি আনতে হলে ভালো উইকেটে খেলতে হবে। এই টেস্টের উইকেট ভালো ছিল। টেস্টের পঞ্চম দিন ফল এসেছে, ভালো উইকেট! চট্টগ্রাম ফ্ল্যাট ছিল। কিন্তু সেখানেও ফল হতে পারত। ওরা বাজে উইকেটে খেলে অভ্যস্ত তাই ভালো করতে পারছে না। আমি হতাশাটা বুঝতে পারছি। যত ভালো উইকেটে আমরা খেলব, ক্রিকেটারদের উন্নতিও ততো ভালো হবে। ’
‘আমি জানি সবাই জিততে চাচ্ছে। আমি জানি চটজলদি ফলাফলের সুযোগ আছে। বাজে উইকেটে খেলে প্রতিপক্ষকে ১০০ রানে অলআউট করে ফেলে আমরা ১২০ রান করব। এভাবে খেললে দল উন্নতি করবে না। এভাবে খেলেও কিন্তু সিরিজ জিততে পারিনি। ’
ঢাকা টেস্টের উইকেট নিয়ে ডমিঙ্গো বলেছেন, ‘এটা খুব ভালো ব্যাটিং ও বোলিং পিচ ছিল। একজন পেস বোলার ১০ উইকেট নিয়েছে, সাকিবও পেল। আমরা উইকেট নিয়ে অভিযোগ করতে পারি না। এই ধরনের পিচেই আপনার স্কিলের উন্নতি করতে হবে। ’
বাংলাদেশ সময়: ১৭২৮ ঘণ্টা, মে ২৭, ২০২২
এমএইচবি/এমএইচএম