শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ঘরের মাঠে সিরিজ হেরেছে বাংলাদেশ। চট্টগ্রামে ড্র করার পর ঢাকা টেস্টে হেরেছে ১০ উইকেটের বড় ব্যবধানে।
সাধারণত দলের সমস্যা নিয়ে নানা কথা বলতে দেখা যায় পাপনকে। ম্যাচের কাটাছেঁড়াও প্রায় সময়ই করেন তিনি। তবে এবার আর এ নিয়ে মুখ খুললেন না বিসিবি সভাপতি। হারের পর জানালেন, সমস্যার কথা ভালো বলতে পারবেন দলের সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।
পাপন বলেছেন, ‘আমাকে যদি জিজ্ঞেস করেন, আমি বলব একটাই- আসলে সমস্যাটা কোথায় সেটা সবচেয়ে ভালো বলতে পারবে, কোচিং স্টাফদের যদি জিজ্ঞেস করেন, প্লেয়ারদের যদি জিজ্ঞেস করেন, ওরা আসলে বলতে পারবে। ম্যানেজমেন্টকে যদি জিজ্ঞেস করেন; যারা ওদের সঙ্গে থাকে। আমাদের পক্ষে আসলে যারা মাঠে বসে খেলা দেখি আপনাদের মতো, সমস্যাটা কোথায় বলাটা কঠিন। ’
‘ওভার অল যদি জিজ্ঞেস করেন, বোলিংয়ে দুর্বলতা ছিল এটাতে কোনো সন্দেহ নেই; প্রথম ও দ্বিতীয় টেস্টে। ওদের থেকে আমাদের প্রথম টেস্টে ওই সুযোগটা নেওয়া উচিত ছিল। ওরা কত সুন্দর, ডিসিপ্লিনড বোলিং করেছে। ওদের কিন্তু এর চেয়ে ভালো পেস বোলার আছে। তারা না থাকা সত্ত্বেও, তুলনামূলক নতুন বা ওরকম অভিজ্ঞ না এমন দুজনের কাছে আমরা যেভাবে সবগুলো উইকেট দিয়ে এসেছি এটা একটু আশ্চর্যের। ’
ঢাকা টেস্টেও দুই ইনিংসে ফাইফার পেয়েছেন লঙ্কান দুই পেসার। প্রথম ইনিংসে পাঁচ উইকেট নেন কাসুন রাজিথা। আর দ্বিতীয় ইনিংসে আভিস্কা ফার্নান্দো নিয়েছেন ছয় উইকেট। অথচ বাংলাদেশের পেসাররা সেভাবে নিজেদের মেলে ধরতে পারেননি। কেন ব্যর্থ হলেন বাংলাদেশের পেসাররা?
পাপন বলেছেন, ‘এর পেছনে কারণ হচ্ছে ওরা ডিসিপ্লিনড বল করেছে, লাইন ও লেন্থ (ভালো ছিল)। টেস্টে যা হওয়া দরকার। ওদের আত্মবিশ্বাস ছিল, ওই জায়গায় বল করেছে। আমাদের বলগুলো জায়গামতো করতে পারিনি। বোলিংয়ে একটা সমস্যা ছিল। ’
তবে ব্যাটিংকেই ম্যাচ বাঁচানোর কারণ হিসেবে দেখছেন পাপন, ‘মেইন একটা কারণ- ড্র না হওয়ার তো কারণ নেই। দুই ইনিংসে যদি ২৫ রানে ৫টা আর তারপরে ২৩ রানে ৪টা উইকেট চলে যায়। তখন তো ম্যাচটা হাতছাড়া হয়েই যায়। কতবার বা টেল এন্ডার আর মিডলে যারা আছে, আমাদের মুশফিক-লিটন; ওরা করবে?’
বাংলাদেশ সময়: ১৯০৪ ঘণ্টা, মে ২৭, ২০২২
এমএইচবি/এমএইচএম