বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনের গুলশানের বাসায় সাংবাদিকদের অপেক্ষা ছিল বিকেল থেকেই। সাকিব আল হাসান আসবেন- আশা ছিল এমন।
এসে জানালেন নিজের আঁধারে ডুবে যাওয়া ব্যাটিংটাতে মনোযোগ দিতে চান, ছাড়তে চান টেস্টের অধিনায়কত্ব। নিজের সিদ্ধান্তের কথা বিসিবি সভাপতিকে জানাতেই গুলশানের বাসায় এসেছিলেন তিনি। নেতৃত্ব ছাড়তে চাওয়ার পর নতুন অধিনায়ক হিসেবে কাকে পছন্দ মুমিনুলের?
জবাবে তিনি বললেন, ‘এটা উনারাই সিদ্ধান্ত নেবেন। ওইরকমভাবে আমি সাজেশন করিনি। বোর্ডই সিদ্ধান্ত দেবে কাকে দেবে, না দেবে। উনারা চিন্তাভাবনা করবেন কাকে দেওয়া হবে। ২ তারিখ যে বোর্ড সভা আছে, ওখানে হয়তো সিদ্ধান্ত নেবেন এ ব্যাপারে। আমি আমার কথা যে বলার ছিল সেটা বলে আসছি। ’
‘না কঠিন হওয়ার কোনো কিছু নাই। পৃথিবীতে সবই এরকম হয়। আপনি যদি অধিনায়ক হিসেবে কিছু করতে না পারেন, এটা শুধু আমি না পৃথিবীর সব ক্যাপ্টেনই যদি কন্ট্রিবিউট করতে না পারে, তাহলে তার জন্য অনেক কঠিন কাজটা। ’
মুমিনুলের নেতৃত্বে সাফল্যও তো আছে। ১৭ ম্যাচে নেতৃত্ব দিয়ে ৩ জয় পেয়েছেন। যার একটি নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে তাদেরই মাটিতে। তবে অতীতের এসব সাফল্য এখন অতীত হয়ে গেছে বলেই মনে করেন মুমিনুল।
তিনি বলেছেন, ‘অতীত হয়ে গেছে। অতীত তো কারও মনে থাকে না। এখন সামনে যেগুলো আছে ওগুলো নিয়েই কাজ করতে হবে। অতীত কোনোভাবেই আমার কাছে আর ম্যাটার করে না। ’
মুমিনুলের অধিনায়কত্ব ছাড়ার কথা শুনে বিসিবি সভাপতির প্রতিক্রিয়া কী? তিনি বলেন, ‘পাপন ভাই শুনেছেন। উনি থাকতে বলেছেন কিন্তু আমি আসলে জিনিসটা চাচ্ছি না। আমি ব্যক্তিগতভাবে আসলেই চাচ্ছি না। কেন চাচ্ছি না সেটা আগেই বললাম। ’
বাংলাদেশ সময়: ২০৩৯ ঘণ্টা, মে ৩১, ২০২২
এমএইচবি/আরইউ