চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে ভয়াবহ আগুন ও বিস্ফোরণে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। একের পর এক মৃত্যুর খবর পাওয়া যাচ্ছে, আহতও হয়েছে অনেকে।
জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা লিখেছেন, ‘চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে বিএম কন্টেইনারের ডিপোতে ভয়াবহ বিস্ফোরণে নিহতদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি এবং যারা আহত হয়েছে তাদের প্রতি রইল সমমর্মিতা। ’
‘আমি চট্টগ্রামের স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ও সাধারণ মানুষদের অনুরোধ করি যেন হতাহতদের সাহায্যে এগিয়ে আসে। শুনেছি প্রচুর রক্তের প্রয়োজন। সবাই এগিয়ে আসুন। আপনার একটু সহযোগিতা, এক ব্যাগ রক্ত হয়তো বাঁচিয়ে দিতে পারে একটি প্রাণ, হাসি ফোটাতে পারে একটি পরিবারকে। সকলে প্রার্থনা করি। ’
পেসার তাসকিন আহমেদ লিখেছেন, ‘আসুন চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত সাধারণ মানুষ, ফায়ার ফাইটার , ডাক্তার, পুলিশসহ উদ্ধারকার্যে অংশ নেওয়া সবার জন্য দোয়া করি। যে যেভাবে পারি সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিই। হে আল্লাহ, তুমি আমাদের হেফাজত করো। ’
অভিজ্ঞ ব্যাটার মুশফিকুর রহিম লিখেছেন, ‘চট্টগ্রামের খবরটা শুনে খুবই কষ্ট পেয়েছি। আক্রান্ত পরিবারের জন্য প্রার্থনা। শক্ত থাকুন সীতাকুণ্ড। আল্লাহ আমাদের রক্ষা করুণ। ’
শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত বিস্ফোরণের ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৪৩ জনে দাঁড়িয়েছে বলে জানিয়েছেন চমেক হাসপাতালে কর্মরত জেলা পুলিশের সহকারী উপ-পরিদর্শক আলাউদ্দীন তালুকদার। ফায়ার সার্ভিসের উপ-পরিচালক আনিসুর রহমান বাংলানিউজকে জানান, এখনও উদ্ধার অভিযান চলছে। ফায়ার সার্ভিসের ৫টি ইউনিট উদ্ধার কাজ করছে।
ডিপোতে বিপুল পরিমাণ ‘হাইড্রোজেন পার অক্সাইড’দাহ্য রাসায়নিক থাকায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সমস্যা হচ্ছে বলে জানা গেছে।
এদিকে, চমেক হাসপাতাল বার্ন ইউনিটে ৫২ জন এবং অর্থোপেডিক বিভাগে ১০ ভর্তি রয়েছে। চমেক হাসপাতালের বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি বিভাগের প্রধান ডা. রফিক উদ্দিন আহমেদ বাংলানিউজকে বলেন, ৫২ জন ওয়ার্ডে ভর্তি রয়েছে। তাদের বেশিরভাগেরই শ্বাসনালী পোড়া। তাদের বাঁচাতে আমাদের সাধ্যমতো চেষ্টা করে যাচ্ছি।
বাংলাদেশ সময় : ১৫৫৪, জুন ৪, ২০২২
এমএইচবি