চট্টগ্রাম: ২০০১ সালের ২৯ ডিসেম্বর হাটহাজারীর ফতেয়াবাদ ছড়ারকূল এলাকায় সেলুনে ঢুকে হত্যা করা হয় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের জ্যেষ্ঠ সহ-সভাপতি আলী মর্তুজা চৌধুরীকে। এরপর ২১ বছর কেটে গেলেও পরিবার পায়নি বিচার।
এই হত্যাকাণ্ডে ৮ জনকে আসামি করে মামলা হয়।
পুলিশ জানিয়েছে, প্রধান আসামি হাবিব খান দুবাইয়ে পালিয়ে গেছে। জামিন পেয়ে পলাতক রয়েছে হাসান ও ইসমাইল। কারাগারে রয়েছে তছলিম ও আলমগীর। এছাড়া র্যাবের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয় গিট্টু নাসির, গণপিটুনিতে নিহত হয় আইয়ুব ও সন্ত্রাসীদের গুলিতে মৃত্যু হয় সাইফুল ইসলামের।
আদালত সূত্র জানায়, তদন্ত শেষে পুলিশ ২০০৪ সালে এ মামলার অভিযোগপত্র জমা দেয়। হত্যাকাণ্ডে ৮ জনকে অভিযুক্ত করা হয়। ৩৫ সাক্ষীর মধ্যে ২৫ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করেছেন আদালত। তিন বছর আগে সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়। আসামি বাইট্টা আলমগীরের পুনরায় সাক্ষ্যগ্রহণের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আবেদন করে, যার ওপর স্থগিতাদেশ দেওয়া হয়। বর্তমানে চট্টগ্রাম বিভাগীয় দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে মামলাটি সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য রয়েছে। রাষ্ট্রপক্ষ ৬ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণের আবেদন করলে একজনের সাক্ষ্য নেওয়া হয়েছে।
মামলার বাদী আলী নাসের চৌধুরী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী বাড়িতে এসে আশ্বাস দিয়েছিলেন। কিন্তু আজও ছোট ভাই মর্তুজা হত্যার বিচার পাইনি’।
চট্টগ্রাম বিভাগীয় দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের পিপি অশোক কুমার দাশ বলেন, এক আসামি উচ্চ আদালতে পুনরায় সাক্ষ্য নেওয়ার বিরুদ্ধে রিট করার কারণে মামলাটির কার্যক্রম স্থগিত রয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৪০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৯, ২০২২
এসি/টিসি