চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়: ‘গৌরবের পঞ্চাশে, মিলি প্রাণের উচ্ছ্বাসে’স্লোগানে সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন করেছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) প্রাণীবিদ্যা বিভাগ। দিনব্যাপী এ উৎসবে অংশ নেন বিভাগের প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা।
শুক্রবার (২০ জানুয়ারি) সকালে আনন্দ শোভাযাত্রার মধ্য দিয়ে শুরু হয় সুবর্ণজয়ন্তী উৎসব।
চবির জীববিজ্ঞান অনুষদ প্রাঙ্গণে আয়োজিত এ উৎসবে ভার্চুয়ালি স্মারক বক্তৃতা দেন ভারতের পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ উপাচার্য অধ্যাপক ড. আশীষ কুমার পানিগ্রাহী।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে চবি উপ উপাচার্য অধ্যাপক বেনু কুমার দে বলেন, বর্তমানে আমরা বিশ্বগ্রামে বাস করছি। এখানে আছে হাজারও জীববৈচিত্র্যের উপস্থিতি। এসব জীববৈচিত্র্য রক্ষার দায়িত্ব আমাদের। যদি আমরা নিজ নিজ অবস্থান থেকে জীববৈচিত্র্য রক্ষায় কাজ করি তবেই আমাদের আজকের এ আয়োজন সার্থক হবে।
প্রাণিবিদ্যা বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. মনজুরুল কিবরীয়া বলেন, আজকের এ উৎসব নবীন-প্রবীণ ও জ্ঞানী-গুণীদের উপস্থিতিতে মুখরিত। অধ্যাপক ড. শফিক হায়দার চৌধুরীর হাত ধরে ১৯৭৩ সালের পহেলা জানুযারি প্রাণিবিদ্যা বিভাগের যাত্রা শুরু হয়। তিনি ছিলেন এ বিভাগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি। এ বিভাগে বর্তমানে কীটতত্ত্ব, ফিশারিজ অ্যান্ড লিমনোলজি, প্যারাসাইটোলজি ও ওয়াইল্ডলাইফ অ্যান্ড কনজারভেশন বায়োলজি শাখা চলমান। বর্তমানে প্রাণিবিদ্যা বিভাগ চবির একটি ঐতিহ্যবাহী ও সমৃদ্ধশালী বিভাগ।
তিনি বলেন, প্রাণীবিদ্যা বিভাগ প্রতিষ্ঠার পর থেকে গত ৫০ বছরে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলে নিজেদের যোগ্যতার স্বাক্ষর রেখেছে। এ বিভাগের ২৩ জন শিক্ষক অবসরে গেছেন। শিক্ষক-শিক্ষার্থীরাও তাদের গবেষণালব্ধ জ্ঞানের মাধ্যমে কৃষি, মৎস্য ও বন্যপ্রাণি তথা পরিবেশ, মানবকল্যাণ ও মানবসম্পদ উন্নয়ন ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন। গত ৫০ বছরে এ বিভাগ থেকে কয়েক হাজার শিক্ষার্থী উচ্চতর ডিগ্রি অর্জন করেছেন। যারা সমাজ ও রাষ্ট্রের অনেক গুরুত্বপূর্ণ পদে আসীন হয়ে দেশকে সেবা দিয়ে যাচ্ছেন এবং বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের রাষ্ট্র গঠনে নিরলস কাজ করে যাচ্ছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৯০৪ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২০, ২০২৩
এমএ/পিডি/টিসি