চট্টগ্রাম: তাসমিন আক্তার সুইটি ও আসমাউল হুসনা। সম্পর্কে তারা দুই বোন।
শুধু সুইটি ও আসমাই নন। রয়েছেন স্বামী মোহাম্মদ ফরিদ ও স্ত্রী নয়নতারাও। তারা দুজনই সাফল্যের উচ্চ শিখরে আরোহণ করেছেন।
এই বছর অনুষ্ঠিত এইচএসসি পরীক্ষার ফলাফলে সাফল্যের আলো ছড়িয়েছেন দৃষ্টি প্রতিবন্ধী আট পরীক্ষার্থী। চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডের অধীনে আটজন দৃষ্টি প্রতিবন্ধী এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়ে সবাই পাস করেছেন।
তাদের কেউ হতে চান বিসিএস ক্যাডার, আবার কেউ ইংরেজি, আইন ও গণিতে উচ্চ শিক্ষার গণ্ডি পেরুতে চান ঈর্ষণীয় সাফল্যে।
জানা গেছে, দৃষ্টি প্রতিবন্ধী পরীক্ষার্থীদের মধ্যে হাজেরা তজু ডিগ্রি কলেজের তাসমিন আক্তার সুইটি জিপিএ ৪ দশমিক ৩৩, একই কলেজ থেকে আসমাউল হুসনা ৩ দশমিক ৯২, মোহাম্মদ সাদেক ৪ দশমিক ৭৫, সরকারি সিটি কলেজ থেকে মোহাম্মদ রাসেল ৪ দশমিক ৫০, আশেকানে আউলিয়া ডিগ্রি কলেজ থেকে মোহাম্মদ সোহেল রানা জিপিএ-৫, নয়নতারা ৪ দশমিক ৬৭, একই কলেজ থেকে মোহাম্মদ ফরিদ ৪ দশমিক ৮৩, মোহাম্মদ তুষার ৪ দশমিক ৯২ পেয়েছেন।
চট্টগ্রাম বোর্ডের অধীনে বিভাগের পাঁচ জেলায় এবারের এইচএসসি পরীক্ষায় মোট পরীক্ষার্থী ছিল ৯৩ হাজার ৯৯৭ জন। পাস করেছেন ৭৪ হাজার ৩২ জন। জিপিএ-৫ পেয়েছে ১২ হাজার ৬৭০ জন পরীক্ষার্থী। এর মধ্যে ছাত্রী ৭ হাজার ১০৬ জন ও ছাত্র ৫ হাজার ৫৬৪ জন।
চট্টগ্রাম সরকারি দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী বিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষক আবদুস সামাদ বাংলানিউজকে বলেন, আমার শিক্ষার্থীদের চোখের আলোর চেয়ে মনের আলো ছিল প্রখর। নিজেদের যোগ্য প্রমাণ করতে শিক্ষার্থীদের পরিশ্রমের কোন কমতি ছিল না। তাদের পরিশ্রমের কারণেই আজ তারা সফল। তাদের এ ধারাবাহিক সাফল্য ধরে রাখতে আমরাও বদ্ধপরিকর।
জিপিএ-৫ পাওয়া মোহাম্মদ সোহেল রানা সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে চান। পড়ালেখা শেষে সরকারি উচ্চ পদে চাকুরি করে মানুষের সেবা করতে চান তিনি। রানা বাংলানিউজকে বলেন, ছোট বেলা থেকে মানুষের নানান কথার সম্মুখীন হয়েছি। সবকিছুকে পেছনে রেখে আজ আমি এ সফলতা অর্জন করেছি। এ অর্জনে আমাদের শিক্ষকদের ভূমিকা কখনো ভোলার নয়।
বাংলাদেশ সময়: ২০৩০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৮, ২০২৩
বিই/পিডি/টিসি