চট্টগ্রাম: লাইনচ্যুত ওয়াগন থেকে পড়া তেল পাশের মহেশ খাল থেকে কর্ণফুলী নদীতে ছড়িয়ে পড়ার শঙ্কা রয়েছে। এজন্য তেল কর্ণফুলী নদীতে যাতে ছড়িয়ে না পড়ে সেজন্য কাজ করছে রেলওয়ে।
রেলওয়ে কর্মকর্তারা বলছেন, ওয়াগনবাহী ট্রেনটি সেখানে লাইনুচ্যত হয় তার পাশেই ইয়ার্ডের নালা। লাইনচ্যুত হওয়া ওয়াগনগুলো থেকে তেল সরাসরি ওই নালায় গিয়ে পড়েছে।
বুধবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে নগরের হালিশহর এলাকার রেলওয়ে গুডস পোর্ট ইয়ার্ড (সিজিপিওয়াই) এলাকায় একটি ট্রেনের তেলবাহী তিনটি ওয়াগন লাইনচ্যুত হয়। এরপর সেই ওয়াগনগুলো থেকে তেল পড়তে থাকে। গতকাল পর্যন্ত প্রায় ৪০ হাজার লিটার তেল পড়ে যায় বলে জানান সংশ্লিষ্টরা।
পরিবেশ অধিদফতরের দুটি টিম মহেশখালের বন্ধ থাকা স্লুইস গেটের দুই পাশ থেকেই পানির নমুনা সংগ্রহ করেছে।
পরিবেশ অধিদফতরের পরিদর্শক মো. মনির বাংলানিউজকে বলেন, মহেশখাল যেখানে কর্ণফুলী নদীতে মিশেছে সে স্লুইস গেটটি দুইদিন ধরে বন্ধ ছিল। কর্ণফুলী নদী আর মহেশখাল যেখানে মিলেছে সেখানে, ১৪ ও ১৫ নম্বর ঘাট থেকে নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। এছাড়াও আরও তিন জায়গা থেকে নমুনা নিয়েছি। নমুনা পরীক্ষা শেষে বলা যাবে তেল নদীতে ছড়িয়েছে কি-না।
রেলওয়ের পূর্বাঞ্চলের বিভাগীয় ব্যবস্থাপক আবিদুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, তিনটি ওয়াগন লাইনচ্যুত হলেও তেল পড়েছে দুটি থেকে। তবে সব তেল পড়েনি। আজ সকালে ওয়াগন সরিয়ে নেওয়ার সময় দেখা গেছে, অল্প কিছু তেল পড়েছে। ঘটনা তদন্তে বিভাগীয় পরিবহন কর্মকর্তাকে (ডিটিও) প্রধান করে তদন্ত কমিটি করা হয়েছে। তদন্ত শেষে বিস্তারিত বলা যাবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৪০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি১৬, ২০২৩
বিই/পিডি/টিসি