ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

‘জাঙ্ক ও ফাস্টফুড পরিহারের বিকল্প নেই’

নিউজ ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২৫৯ ঘণ্টা, এপ্রিল ৭, ২০২৩
‘জাঙ্ক ও ফাস্টফুড পরিহারের বিকল্প নেই’ ...

চট্টগ্রাম: জেলা সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ ইলিয়াছ চৌধুরী বলেছেন, স্বাস্থ্যসেবা মানুষের অন্যতম মৌলিক চাহিদা। বিশ্বকে সুরক্ষিত রাখার দায়িত্ব সবার।

দেশে সরকারিভাবে স্বল্প খরচে মানুষের স্বাস্থ্যসেবা দেওয়া হচ্ছে। সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত করতে হলে নিজেকে সচেতন হতে হবে।
এক্ষেত্রে জাঙ্ক ও ফাস্টফুড পরিহারের বিকল্প নেই।  

শুক্রবার (৭ এপ্রিল) চট্টগ্রাম জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়ের অডিটরিয়ামে আয়োজিত বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবসের র‌্যালি পরবর্তী আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য বিষয় ‘সবার জন্য স্বাস্থ্য’।  

বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা-ইপসা, এফপিএবি ও সীমান্তিক’র সহযোগিতায় জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয় এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন। দিবসটি উপলক্ষে আলোচনা সভার পূর্বে সিভিল সার্জনের নেতৃত্বে বর্ণাঢ্য র‌্যালি বের করা হয়। র‌্যালিটি প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে। চিকিৎসক, নার্স, এনজিও প্রতিনিধিসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ র‌্যালিতে অংশগ্রহণ করেন।

প্রধান অতিথি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার স্বাস্থ্যসেবা জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে ব্যাপক কর্মসূচি বাস্তবায়ন করে চলেছেন। প্রান্তিক জনগোষ্ঠীকে সেবা প্রদানে আমাদের আরও বেশি মনোযোগী হতে হবে। তাদের সেবাদানের লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী সারাদেশে ১৩ হাজার ৫শ কমিউনিটি ক্লিনিক করে দিয়েছেন। কমিউনিটি ক্লিনিকে ৩০ ধরনের ঔষধ বিনামূল্যে বিতরণ করা হয়। প্রতি মাসে প্রায় ৯০ লাখ মানুষ কমিউনিটি ক্লিনিক থেকে সেবা নেন। চট্টগ্রাম জেলায়ও ৫৩৭টি কমিউনিটি ক্লিনিক চালু রয়েছে। ফলে জনগণ কাঙ্ক্ষিত চিকিৎসাসেবা পাচ্ছে। চিকিৎসাসেবার পাশাপাশি প্রত্যন্ত এলাকায় পরিবার পরিকল্পনা পদ্ধতি গ্রহণে প্রতিটি পরিবারকে উদ্বুদ্ধ ও সচেতন করতে হবে।  

সিভিল সার্জন আরও বলেন, শুধু শারীরিক নয়, আমাদেরকে সামাজিক ও মানসিকভাবে সুস্থ থাকতে হবে। আগামী ২০৩০ সালে এসডিজি’র লক্ষ্য অর্জনে সর্বত্র স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে সবারই দায়িত্ব রয়েছে। সকলের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করে সুখী-সমৃদ্ধ স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণ করতে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে।  

তিনি আরও বলেন, স্বাস্থ্য সেক্টরের এসডিজি অর্জনের অনেক ইতিবাচক উপসর্গ ইতিমধ্যে দৃশ্যমান হয়ে উঠেছে। দেশের সর্বত্র বিস্তার লাভ করেছে ডিজিটাল স্বাস্থ্যসেবার নেটওয়ার্ক। স্বাধীনতার পর গত ৫০ বছরে দেশের প্রতিটি সূচকে বাংলাদেশের অভাবনীয় সাফল্য মিলেছে। শূন্য থেকে পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশুর মৃত্যুহার কমিয়ে আনার ক্ষেত্রে বাংলাদেশের সাফল্যকে স্বীকৃতি দিয়েছে জাতিসংঘ শিশু তহবিল (ইউনিসেফ)। শিশু মৃত্যুহার হ্রাসে সাফল্যের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এমডিজি অ্যাওয়ার্ড-২০১০ অর্জন করেছেন।

ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. মো. ওয়াজেদ চৌধুরী অভি’র সভাপতিত্বে ও জেলা স্বাস্থ্য তত্ত্বাবধায়ক সুজন বড়ুয়ার সঞ্চালনায় সভায় বক্তব্য দেন সিভিল সার্জন কার্যালয়ের এমওসিএস ডা. মো. নওশাদ খান, এমওডিসি ডা. মো. নুরুল হায়দার, সিনিয়র স্বাস্থ্য শিক্ষা কর্মকর্তা থোয়াই নু মং মার্মা, প্রধান সহকারী এস.এম সাহিদুল ইসলাম ও বেসরকারি এনজিও সংস্থা-সীমান্তিক’র প্রোগ্রাম অফিসার সলিম উল্লাহ। সিভিল সার্জন কার্যালয়ের সর্বস্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারী ও এনজিও প্রতিনিধিরা এসময় উপস্থিত ছিলেন।  

বাংলাদেশ সময়: ১২৪৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৭, ২০২৩
এসি/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।