ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

ঘূর্ণিঝড় মোখা’র প্রভাব টেকনাফের পানের বাজারে 

মিনহাজুল ইসলাম, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট (টেকনাফ থেকে)  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩০৬ ঘণ্টা, মে ১৪, ২০২৩
ঘূর্ণিঝড় মোখা’র প্রভাব টেকনাফের পানের বাজারে  ছবি: উজ্জ্বল ধর

কক্সবাজার: অতিপ্রবল ঘূর্ণিঝড় মোখা’র প্রভাব পড়েছে টেকনাফ উপজেলার পানের বাজারে। শনিবার (১৩ মে) শাপলাপুর পান বাজারে এক বিড়া পান বিক্রি হয়েছিল ১৯০ থেকে ২শ টাকা।

একদিনের ব্যবধানে দাম কমেছে ৩৫ থেকে ৫০ টাকা। এতে আর্থিক ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন পান চাষিরা।
 

ঢাকা, চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার থেকে ঘূর্ণিঝড় মোখা’র কারণে পাইকারী পান ব্যবসায়ীরা বাজারে না আসার কারণে দাম কমেছে বলে জানিয়েছেন পান ব্যবসায়ীরা।

স্থানীয় পান চাষিরা জানিয়েছেন, টেকনাফ উপজেলায় প্রতি সপ্তাহে চারদিন পান বাজার বসে। শাপলাপুর পান বাজার বসে প্রতি শনি ও মঙ্গলবার। আর টেকনাফ পৌরসভার পান বাজার বসে প্রতি সপ্তাহের রোববার ও বুধবার।

দক্ষিণ নেঙ্গরবিল তিন নম্বর ওয়ার্ডের পান চাষি মো. আইয়ুব বাংলানিউজকে বলেন, বাজারে পানের দাম কমে গেছে। বিড়া প্রতি ৪০ থেকে ৫০ টাকা কম পাচ্ছি। অন্য সময় বিড়া প্রতি ২শ টাকা বিক্রি করলেও এখন বিক্রি হচ্ছে ১৪০ থেকে ১৫০ টাকা।  

মিডা পানিরছড়া এলাকার বয়োবৃদ্ধ পান চাষি মো.ইব্রাহিম বাংলানিউজকে বলেন, সাত-আট বছর যাবৎ পান চাষ করছি। আজ (রোববার) পানের দাম একদম কমে গেছে। পাইকারী পান ব্যববসায়ীরা না আসার কারণে দাম কম। বাজারে পান নিয়ে এসেছি, সেটা কোনমতে বিক্রি করতে পারলেই হলো।

পান চাষি মো. আব্দুল বাংলানিউজকে বলেন, হঠাৎ করে পানের দাম কমে যাওয়ায় আমরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছি। টেকনাফ বাজারে পাইকারি পান ব্যবসায়ীরা না আসার কারণে দাম কমেছে।  

টেকনাফ পৌরসভার পান বাজার পরিচালনা কমিটির সদস্য আব্দুর শফি বাংলানিউজকে বলেন, ঘূর্ণিঝড় মোখা’র কারণে পান বাজারে প্রভাব পড়েছে। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে পাইকারী পান ব্যবসায়ীরা বাজারে পান সংগ্রহ করতো। ঘূর্ণিঝড়ের কারণে পাইকারী ব্যবসায়ীরা আসতে পারেনি। তাই বাজারে পানের দামও কম।

চাষিরা জানান, এর আগে ঘূর্ণিঝড় ‘মোরা’র আঘাতে কোটি কোটি টাকার পানের বরজ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। মোখা’র তাণ্ডব চললে তাদের আবারও ক্ষতির মুখে পড়তে হবে। উপজেলার সাবরাং ইউনিয়নের নয়াপাড়া, সিকদারপাড়া; টেকনাফ পৌরসভার বাসস্টেশন; সদর ইউনিয়নের বটতলি, লেঙ্গুরবিল, মিঠাপানির ছড়া; বাহারছড়া ইউনিয়নের বড় ডেইল, মাথাভাঙ্গা, শীলখালী, শামলাপুর; হ্নীলা ইউনিয়নের পানখালী, মৌলভীবাজার এবং হোয়াইক্যং ইউনিয়নের কাঞ্জরপাড়া, মিনাবাজার ও হোয়াইক্যং বাজারে পানের বড় বাজার বসে।

উপজেলা কৃষি বিভাগ সূত্র জানায়, টেকনাফে ৪৮০ হেক্টর জমিতে পানের চাষ হয়। উপজেলায় ২ হাজার ৭৫০ জন চাষির ২ হাজার ৮৯৫টি পানবরজ রয়েছে।  পাহাড়ি এলাকায় একবার পান চাষ করলে প্রায় দুই বছর পর্যন্ত ফলন পাওয়া যায়। সমতল জমিতে ফলন পাওয়া যায় প্রায় নয় মাস। সমতল জমিতে পান চাষ শুরু হয় অক্টোবরে, শেষ হয় জুন মাসে। পাহাড়ি এলাকায় পান চাষ যেকোনো সময় অথবা বর্ষা মৌসুমে বেশি করা যায়।

বাংলাদেশ সময়: ১২৫০ ঘণ্টা, মে ১৪, ২০২২ 
এমআই/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।