ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

এমন একটি খাত দেখান, যে খাতে বাংলাদেশ পিছিয়েছে: শিক্ষামন্ত্রী

ইউনিভার্সিটি করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২০৭ ঘণ্টা, জুন ৪, ২০২৩
এমন একটি খাত দেখান, যে খাতে বাংলাদেশ পিছিয়েছে: শিক্ষামন্ত্রী ...

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়: এমন একটি খাতও পাওয়া যাবে না, যে খাতে বাংলাদেশ আগের চেয়ে পিছিয়ে আছে। বাংলাদেশ আরও উন্নত এবং সমৃদ্ধ হবে ২০৪১ সালের মধ্যে।

আরও অনেক লক্ষ্য আছে আমাদের। আর সেই স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে উঠবে স্মার্ট শিক্ষার মাধ্যমে।
 

'বঙ্গবন্ধু, মুক্তিযুদ্ধ ও বাংলাদেশ' শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।

রোববার (৪ জুন) বেলা সাড়ে ১২টায় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) সমাজবিজ্ঞান অনুষদ মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত এ সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন চবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. শিরীণ আখতার।

অধ্যাপক ড. সুকান্ত ভট্টাচার্য ও অধ্যাপক ড. নাজনীন নাহারের সঞ্চালনায় মূখ্য আলোচক ছিলেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় বঙ্গবন্ধু চেয়ার অধ্যাপক ড. মুনতাসীর মামুন। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন চবি উপ উপাচার্য অধ্যাপক বেনু কুমার দে, কলা ও মানববিদ্যা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মাহবুবুল হক ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মুস্তাফিজুর রহমান ছিদ্দিকী।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেন, ড. মুনতাসীর মামুনের বক্তব্যের সঙ্গে আমি একমত। তিনি শিক্ষাঙ্গনে যে পরিবর্তনগুলোর কথা বলেছেন, সেগুলো আসলেই প্রয়োজন। ১৯৭৩ এর অধ্যাদেশ বঙ্গবন্ধু কেন করেছিলেন? তিনি চেয়েছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়গুলো হবে মুক্তবুদ্ধি চর্চা কেন্দ্র। কিন্তু তাকে হত্যার পর অনেককিছু পরিবর্তন হয়ে গেছে। আজ ৭৩ এর অধ্যাদেশ নিয়ে এত কথা হতো না, যদি বঙ্গবন্ধু বেঁচে থাকতেন।  

শিক্ষামন্ত্রী আরও বলেন, ধারাবাহিকভাবে শিক্ষাখাতে আমাদের বাজেট বাড়ছে। শুধু শিক্ষা মন্ত্রনালয়ের বাজেটই কিন্তু শিক্ষা খাতের বাজেট না। মানবসম্পদ উন্নয়ন কেন্দ্রীক সকল বাজেটই শিক্ষাখাতের বাজেট বলেই আমি মনে করি। অবশ্যই গবেষণায় বাজেট বাড়ানো উচিত। আমরাও সেটা চেষ্টা করছি।  

আগামীর বিশ্বের সঙ্গে তাল মেলাতে হলে আমাদের শিক্ষাক্রমে পরিবর্তন আনতে হবে। আমরা আনন্দের সঙ্গে শিখবো। এখন প্রয়োজন শিখতে শেখার দক্ষতা। তাই আমরা নতুন শিক্ষাক্রম নিয়ে এসেছি৷ শিক্ষক নিয়োগে অনেক স্বচ্ছতা এনেছি। আমরা দক্ষ, যোগ্য, সৃজনশীল হিসেবে শিক্ষার্থীদের গড়ে তুলতে চাই।

ডা. দীপু মনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের ঠিক করা উচিৎ, বিশ্বের বুকে কিভাবে পরিচিত হতে চান নিজেদেরকে। একজন শিক্ষক বললেন তাদের গবেষণা প্রচার পায় না। গবেষণা যদি উন্নত মানের হয়, ভালো জার্নালে গবেষণা স্থান পেলে অবশ্যই সেটা প্রচার হবে।

তিনি আরও বলেন, সেরা ছাত্র মানেই সেরা শিক্ষক, এমন না। স্কুল-কলেজের শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ হয়, অথচ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ হয় না। এখন থেকে বিসিএসে যারা শিক্ষক হবেন, তারা অবশ্যই প্রশিক্ষণ নিয়ে এরপর শিক্ষকতা শুরু করতে হবে। শিক্ষার্থীরা যেন কর্মস্থলের উপযোগী হয়ে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বের হতে পারে, সেদিকেও আমরা নজর দিচ্ছি।

সেমিনার শেষে দুপুর আড়াইটার দিকে চবির মেরিন সায়েন্সেস অ্যান্ড ফিশারিজ অনুষদের নবনির্মিত একাডেমিক ভবন উদ্বোধন করেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।

বাংলাদেশ সময়: ২২০০ ঘণ্টা, জুন ০৪, ২০২৩
এমএ/পিডি/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।