ঢাকা, বুধবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

‘সত্যকে যারা বিতর্কিত করে তারাই একদিন বিতর্কিত হবে’

নিউজ ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৫৭ ঘণ্টা, জুন ১২, ২০২৩
‘সত্যকে যারা বিতর্কিত করে তারাই একদিন বিতর্কিত হবে’ ...

চট্টগ্রাম: মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতাব উদ্দীন চৌধুরী বলেছেন, বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতা ঘোষণা এবং বেতারে এই ঘোষণা পাঠ নিয়ে জননেতা এমএ হান্নানকে যারা বিতর্কিত করতে চায় ইতিহাসের শিক্ষা অনুযায়ী একদিন তারাই বিতর্কিত হবে। ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ দুপুরে কালুরঘাট বিপ্লবী বেতার কেন্দ্র থেকে চট্টগ্রাম জেলা আওয়ামী লীগের তৎকালীন সাধারণ সম্পাদক বঙ্গবন্ধুর প্রেরিত স্বাধীনতার ঘোষণাটি প্রথম পাঠ করেছিলেন জননেতা এমএ হান্নান।

এটাই প্রকৃত সত্য এবং স্বীকৃত ইতিহাস। এই সত্যকে যারা অস্বীকার করে তারা তো বাংলাদেশ চায়নি এবং এখনো চায় না।

সোমবার (১২ জুন) বিকেলে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের বঙ্গবন্ধু হলে জননেতা মরহুম এমএ হান্নানের ৪৯তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে মহানগর আওয়ামী লীগ আয়োজিত স্মরণসভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।  

তিনি আরও বলেন, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে দেশে-বিদেশে নানামুখী ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে। অশুভ শক্তি আবারো মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে চায়। সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কুশীলগরা ১/১১ এর মতই একটি অনির্বাচিত সরকারকে ক্ষমতায় আনতে চায়। বিএনপির আশ্রয় ও প্রশ্রয়ে নির্বাচন কমিশন কর্তৃক অনিবন্ধিত জামাত মাঠে নেমেছে। বিএনপি মনে করছে তাদেরকে ক্ষমতায় বসানোর জন্য আমেরিকা গ্রীন সিগন্যাল দিয়েছে। তাই তারা উঠে-পড়ে লেগেছে যে, ২০০১ সালের মতই তারা ক্ষমতায় যাবে এবং আওয়ামী লীগ আর ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের কচুকাঁটা করবে। কিন্তু তারা জানে না বাঙালি ৭১ এর বিজয়ের জাতি এবং যুদ্ধ বিজয়ী শক্তি। এই শক্তি অবিনাশী এবং অনির্বাণ। তিনি নেতাকর্মীদের প্রয়াত জননেতা এম.এ হান্নানের মতো সাহসী ভূমিকায় অবর্তীণ হয়ে রাজপথ ও নির্বাচনী মাঠে থাকার প্রস্তুতি ও সংকল্প গ্রহণের আহ্বান জানান।  

আওয়ামী লীগের জাতীয় পরিষদ সদস্য ও চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি নঈম উদ্দীন চৌধুরী বলেন, বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান জীবদ্দশায় কখনো নিজেকে স্বাধীনতার ঘোষক হিসেবে জাহির করেননি। তিনি ১৯৭৮ সালে সাপ্তাহিক বিচিত্রায় একটি সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন যে, বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের ভাষণ ছিল বাঙালির প্রতি স্বাধীনতা ঘোষণার একটি গ্রীন সিগন্যাল। জিয়াউর রহমান এও উল্লেখ করেন যে, বঙ্গবন্ধুর এই সিগন্যাল পেয়ে সেনাবাহনীর বাঙালি অফিসার ও সৈনিকরা এবং ইপিআর ও পুলিশ বাহিনীর সদস্যরা প্রস্তুতি শুরু করে দেয়। এটাই ছিল স্বাধীনতার বীজবপন।  

মহানগর আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আলহাজ্ব শফিকুল ইসলাম ফারুকের সঞ্চালনায় স্মরণসভায় আরও বক্তব্য দেন মহানগর আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি অ্যাড. ইব্রাহিম হোসেন চৌধুরী বাবুল, আলতাফ হোসেন চৌধুরী বাচ্চু, সম্পাদক মন্ডলীর সদস্য চৌধুরী হাসান মাহমুদ হাসনী, দিদারুল আলম চৌধুরী, নির্বাহী সদস্য বখতেয়ার উদ্দীন খান, সাইফুদ্দিন খালেদ বাহার, থানা আওয়ামী লীগের মো. আনছারুল হক, স্টিল মিল সিবিএর সাবেক সাধারণ সম্পাদক কমান্ডার আবুল বশর, ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের আতিকুর রহমান, কাজী রাশেদ আলী জাহাঙ্গীর, কাউন্সিলর আশরাফুল আলম, নাজিম উদ্দীন চৌধুরী, লুৎফুল হক খুশি।  

সভামঞ্চে উপস্থিত ছিলেন, উপদেষ্টা সফর আলী, সম্পাদক মন্ডলীর সদস্য শফিক আদনান, হাসান মাহমুদ শমসের, চন্দন ধর, মসিউর রহমান চৌধুরী, হাজী মো. হোসেন, হাজী জহুর আহমদ, মো. আবু তাহের, নির্বাহী সদস্য মোঃ আবুল মনছুর, কামরুল হাসান বুলু, জাফর আলম চৌধুরী, অ্যাড. কামাল উদ্দীন আহমেদ, মহব্বত আলী খান, ড. নিছার উদ্দীন আহমেদ মঞ্জু, মো. জাবেদসহ প্রমুখ।

এর আগে সকাল ১০ টায় স্টেশন রোডস্থ চৈতন্যগলি কবরস্থানে প্রয়াত নেতা এমএ হান্নানের কবরে দোয়া ও ফাতেহা পাঠ শেষে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতাব উদ্দীন চৌধুরীসহ নেতৃবৃন্দ। সভার শুরুতে এমএ. হান্নানের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করে দাঁড়িয়ে ১ মিনিট নিরবতা পালন করা হয়।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৫০ ঘণ্টা, জুন ১২, ২০২৩
পিডি/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।