ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

বাংলা শিশুসাহিত্যে বড় অংশজুড়ে আছে শেখ রাসেল

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২৩৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৭, ২০২৩
বাংলা শিশুসাহিত্যে বড় অংশজুড়ে আছে শেখ রাসেল বক্তব্য দেন ড. আনোয়ারা আলম।

চট্টগ্রাম: বাংলা শিশুসাহিত্যের বড় একটি অংশজুড়ে আছে শেখ রাসেল। বায়ান্নের ভাষা আন্দোলন, একাত্তরের মহান মুুক্তিযুদ্ধ এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে যে রকম শিশুসাহিত্য রচিত হয়েছে ঠিক একইভাবে সাহিত্য রচিত হয়েছে শেখ রাসেলকে নিয়ে।

বাংলা সাহিত্যে ইতোমধ্যে প্রায় দুই শতাধিক বই শেখ রাসেলকে নিয়ে প্রকাশিত হয়েছে। শেখ রাসেল বিশ্ব শিশুর প্রতীক।
শেখ রাসেলকে স্মরণ করা মানে বিশ্বের প্রতিটি শিশুকে স্মরণ করা।  

বাংলাদেশ শিশুসাহিত্য একাডেমির আয়োজনে শেখ রাসেল বইমেলা ও শিশুসাহিত্য উৎসবের পঞ্চম দিন মঙ্গলবার (১৭ অক্টোবর) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় শেখ রাসেল বিষয়ক বই নিয়ে আলোচনায় সভায় বক্তারা এসব কথা বলেন।  

অধ্যক্ষ ড. আনোয়ারা আলমের সভাপতিত্বে মূল প্রবন্ধ পাঠ করেন অধ্যাপক কাঞ্চনা চক্রবর্তী। আবৃত্তিশিল্পী আয়েশা হক শিমুর সঞ্চালনায় আলোচনায় অংশ নেন কবি-শিশুসাহিত্যিক সনজীব বড়ুয়া, হাসনাত আমজাদ, স ম শামসুল আলম, জসীম মেহবুব।  

আনোয়ারা আলম বলেন, ১৯৭৫ সালের পনেরোই আগস্ট শেখ রাসেল হত্যাকাণ্ড বিশ্ব ইতিহাসে একটি জঘন্যতম ঘটনা। এই কলংকের দাগ কখনো মুছবে না। বঙ্গবন্ধুর ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’, ‘কারাগারের রোজনামচা’ গ্রন্থে শেখ রাসেলকে নিয়ে হৃদয়স্পর্শী বর্ণনা যতই পড়েছি ততই আবেগ-আপ্লুত হয়েছি। সেই ঘাতকচক্র ছোট্ট শিশু রাসেলকেও বাঁচতে দেয়নি। যখনই মানবতার ওপর আঘাত আসে তখনই শিশুসাহিত্যিকরা তাদের কলমে সোচ্চার হন। একইভাবে তারা শেখ রাসেলকে নিয়েও প্রতিবাদের ঝড় তোলেন তাদের লেখনিতে।  

বিকেল সাড়ে ৪টায় অনুষ্ঠিত হয় শেখ রাসেল আবৃত্তি প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণ। এতে সভাপতিত্ব করেন অধ্যাপক ফাতেমা জেবুন্নেসা। আলোচনায় অংশ নেন জাহাঙ্গীর মিঞা, অধ্যাপক গোফরান উদ্দীন টিটু, অধ্যাপক পিংকু দাশ, কস্তুরী সিনহা, খনরঞ্জন রায়, মো. জসীম উদ্দিন চৌধুরী। বিকেল সাড়ে ৫টায় ‘আমার ভাবনায় শেখ রাসেল’ শীর্ষক আলোচনায় সভাপতিত্ব করেন কবি সুলতানা নুরজাহান রোজী। আলোচক ছিলেন অধ্যক্ষ মোজাম্মেল হক, নাসের রহমান, ড. আজাদ বুলবুল, অধ্যাপক দিলরুবা আক্তার চৌধুরী, মুহাম্মদ মহসীন চৌধুরী, ফারজানা আজিম। রাত ৮টায় শেখ রাসেলকে নিয়ে স্বরচিত লেখাপাঠে সভাপতিত্ব করেন শিশুসাহিত্যিক এমরান চৌধুরী।  

সমাপনী অনুষ্ঠান  
বুধবার (১৮ অক্টোবর) বিকেল সাড়ে ৪টায় শেখ রাসেল আবৃত্তি প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণ (গ ও ঘ)। এতে সভাপতিত্ব করবেন প্রফেসর রীতা দত্ত। আলোচক থাকবেন প্রাবন্ধিক আমিনুর রশীদ কাদেরী, মেহের আফরোজ হাসিনা, সৈয়দ জিয়াউদ্দিন, মোহাম্মদ জহির, এটিএম শহীদুল্লাহ শহীদ, এসএম আবদুল আজিজ, এসএম মোখলেসুর রহমান। সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় আলোচনায় সভাপতিত্ব করবেন রাঙামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. সেলিনা আখতার। প্রধান অতিথি বাংলা একাডেমি পুরস্কারপ্রাপ্ত কবি আসাদ মান্নান। আলোচক থাকবেন কবি অভীক ওসমান, সানাউল হক, কাজী রুনু বিলকিস, করবী চৌধুরী, রেজাউল করিম স্বপন ও অধ্যক্ষ মো. মাজহারুল হক।  

বাংলাদেশ সময়: ১৯০০ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৭, ২০২৩
এআর/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।