ঢাকা, শনিবার, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

চবি জারুলতলায় ‘দিদার বাদশার পালা’

নিউজ ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮২৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৫, ২০২৩
চবি জারুলতলায় ‘দিদার বাদশার পালা’

চট্টগ্রাম: ঐতিহ্যবাহী লোকনাট্য ‘দিদার বাদশার পালা’র মঞ্চায়ন হলো চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) জারুলতলায়। চবি তৃতীয় বর্ষের (২০১৯-২০) শিক্ষার্থীদের দেশজ নাটকের আঙ্গিকে নাটক পরিবেশনের পাঠ্যসূচি অনুযায়ী এ পালানাট্য মঞ্চস্থ হচ্ছে।

 

নির্দেশনা ও পরিকল্পনায় ছিলেন নাট্যকলা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক সুবীর মহাজন। গায়েন আব্দুল আজিজের পালা অবলম্বনে গাজীর গানের কাহিনি নিয়ে রচিত এ পালা।

এটি সংগ্রহ করেছেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. আফসার আহমদ।  

মঙ্গলবার (১৪ নভেম্বর) সন্ধ্যায় এ পালানাটকে দেখা যায়, বৈরাত নগরের রাজা সেকান্দর বাদশা জানতে পারেন তার জায়গা নরকে নির্ধারিত। এতে তার মনে অশান্তির ঝড় ওঠে। তার মেজ ছেলে জনমতীকে বলি দিলে তার মুক্তি মিলবে। একথা শুনে জনমতী বাবার জন্য বলি হতে রাজি হয়। কিন্তু বাধা হয়ে দাঁড়ায় জনমতী বাদশার স্ত্রী পঞ্চতোলা সতী। এ নিয়ে জনমতী দ্বিধাগ্রস্ত হন কী করবে তা নিয়ে। নানা বাধা বিপত্তির মধ্য দিয়ে গল্প এগোতে থাকে। একসময় দেখা যায় জনমতী তার বিবির পরামর্শে অন্য রাজ্যে পালিয়ে যায়। সেখানে তার বিবি পঞ্চতোলা স্বামীহারা হয়। সরোবরে জল পান করতে গেলে একটা দেওয়ের সঙ্গে যুদ্ধ হেরে তাকে দেওয়ের পেটে চলে যেতে হয়।  

অন্যদিকে স্বামীহারা পঞ্চতোলার ছেলের জন্ম হয়। জনমতীর ভাই দয়াল গাজী তার নাম রাখেন দিদার বাদশা। এখান থেকে নাটকের মোড় ঘুরে ভিন্নরূপ নেয়। মাতৃভক্ত দিদার বুঝতে পারে না দেওয়ের চক্রান্তে মা আজ তার প্রতিপক্ষ। দেওয়ের কথা মতে তার সন্তানকে হত্যা করে মা গহর দরিয়ায় ভাসিয়ে দেয়। পরে সাইঝা পরি তাকে খুঁজে পায় এবং মৃত্যুঞ্জয়ী মালা পরিয়ে পুনরায় জীবিত করে এবং মায়ের কাছে ফিরে আসে।

জনমতীকে দৈত্যের পেট থেকে উদ্ধার করা হয় এবং তার সন্তান ও স্ত্রীর সঙ্গে মিলনের মাধ্যমে নাটক শেষ হয়। নাটকটি বহু রসে সিক্ত। দর্শক যেমন প্রাণখোলা হাসেন, অন্যদিকে করুণ রসে অশ্রুসিক্তও হয়।  

পালানাট্যে গায়েন-দোহারের মধ্য দিয়ে গল্প এগিয়ে যায়। এই পালায় গায়েন ও দোহার রূপে কাজ করছেন নাট্যকলা বিভাগের একঝাঁক শিক্ষার্থী। তারা হলেন- প্রমি, আফ্রিদি, শয়ন, রাশেদ, মাসুম, রিংকী, ঈশাদ, শান্তনা, প্রিয়া, শফিক, হৃদয়, নিপু, সামি, নেজাম, রুদ্র, অপি, নির্জনা, ক্যাউ, অন্তর দে, রানা দাশ, সুমাইয়া, ঊর্মি, রবিউল, অরুন্ধতী, প্রিয়া দেব, পায়েল, পারমিতা, নাজনীন আক্তার, আবু সাঈদ ও আব্দুল আহাদ।

এ নাট্যে ভিন্নতাও দেখা যাবে। গীত, নৃত্য, নাট্যের মাধ্যমে পুরো পালাটি একটি অনন্য মাত্রায় নিয়ে যাবে। নাটকের আলোক পরিকল্পনায় আছেন সুবীর মহাজন । নাটকের পোস্টার ডিজাইন করেছেন স্নিধা দেব। আবহ সংগীত পরিচালনায় ক্যাউপ্রু মার্মা, নওয়াজেশ আশ্রাফ ঈশাদ, অরুন্ধতী, সামি বিন জাহেদ, আসিফ ইকবাল রুদ্র, উম্মে হাবিবা প্রমি, স্নিগ্ধা দেব, নীলিমা ইসলাম নির্জনা, রানা দাশ প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ১৮২০ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৫, ২০২৩
এআর/পিডি/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।