ঢাকা, মঙ্গলবার, ২৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১০ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৭ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

জামিন না মঞ্জুর শুনে হাসপাতালে

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৪৭ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৬, ২০২৩
জামিন না মঞ্জুর শুনে হাসপাতালে ...

চট্টগ্রাম: মায়ের দায়ের করা মামলায় জামিন না মঞ্জুর শুনে আদালতে অসুস্থ হয়ে পড়ে রেজাউল করিম নামে এক আসামি। পরে পুলিশের সহযোগিতায় আদালত থেকে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়।

 

বুধবার (৬ ডিসেম্বর) দুপুরে চট্টগ্রামের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মাহমুদুল হকের আদালতে এই ঘটনা ঘটে।  

আসামি পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট এম. রাহিলা চৌধুরী রেখা বাংলানিউজকে বলেন, গত ১৯ নভেম্বর পারিবারিক বিরোধে মা ছকিনা বেগম ছেলে রেজাউল করিম ও তার স্ত্রী জান্নাতুল ফেরদৌস বাচুর বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করে।

মামলায় সরাসরি ছেলের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি ও স্ত্রীর বিরুদ্ধে সমন দেন আদালত। ছেলে আদালতে জামিন আবেদন করলে আদালত শুনানি শেষে জামিন না মঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। আদেশ শুনে আদালতে অসুস্থ হয়ে পড়ে আসামি রেজাউল করিম। অসুস্থ হয়ে পড়লে পুনরায় জামিন আবেদন করলে আদালত জামিন মঞ্জুর করে।  

তিনি আরও বলেন, দুই ভাইয়ের মধ্যে পারিবারিক বিরোধের জেরে আদালতে মামলা করা হয়। একজনের কাছে মা থাকে, অন্য জনের সঙ্গে বাবা থাকে। মা যার কাছে থাকেন, তিনি মাকে ফুসলিয়ে আদালতে মামলা করান। অসুস্থ হয়ে যাওয়া রেজাউলের সঙ্গে আদালতে বাবা ও বোন উপস্থিত ছিলেন।  বর্তমানে রেজাউল চমেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির তথ্য ও প্রযুক্তি সম্পাদক অলি আহমদ বাংলানিউজকে বলেন, জামিন না মন্জুর আদেশ শুনার সঙ্গে সঙ্গে একজন আসামি আদালতে অসুস্থ হয়ে গেছে শুনে আদালতে যায়। আসামিকে জামিন মঞ্জুর করার জন্য আদালতকে অনুরোধ করা হয়। আদালত জামিন মঞ্জুর করে। বারের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক ও এজিএসকে বিষয়টি অবগত করে দ্রুত সময়ে আইনজীবী সমিতির অ্যাম্বুলেন্স করে আসামিকে চমেক হাসপাতালে পাঠানো হয়।  

চট্টগ্রাম জেলার কোর্ট পরিদর্শক জাকির হোসাইন মাহমুদ বাংলানিউজকে বলেন, আদালতে জামিন না মঞ্জুর করলে আসামি রেজাউল করিম আদালতে অসুস্থ হয়ে পড়ে। পুলিশ অসুস্থ রেজাউলকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার জন্য অ্যাম্বুলেন্সে তোলে। সেই সময় আদালত আসামি রেজাউল করিমের জামিন মঞ্জুর করে। আমরা রেজাউল করিমকে পরিবারের কাছে অ্যাম্বুলেন্সে বুঝিয়ে দেই।  

বাংলাদেশ সময়: ২০৩৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৬, ২০২৩
এমআই/পিডি/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।