ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

মুক্তিযুদ্ধের বিজয় বই উৎসব শুরু

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৫৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৭, ২০২৩
মুক্তিযুদ্ধের বিজয় বই উৎসব শুরু

চট্টগ্রাম: শৈলীর উদ্যোগে দুই দিনব্যাপী ‘মুক্তিযুদ্ধের বিজয় বই উৎসব’চট্টগ্রাম একাডেমির ফয়েজ নুরনাহার মিলনায়তনে উৎসবমুখর পরিবেশে শুরু হয়েছে।  

লেখক পাঠকের সরব উপস্থিতিতে বৃহস্পতিবার (৭ ডিসেম্বর) বিকেল পৌনে ৫টায় উৎসবের উদ্বোধন করেন অধ্যক্ষ ড. আনোয়ারা আলম।

 

তিনি বলেন, বইকে কেন্দ্র করে সারা বছর চট্টগ্রামকে মাতিয়ে রাখছে শৈলী প্রকাশন। সৃজনশীল বইয়ের পাশাপাশি গবেষণা ও মুক্তিযুদ্ধের মতো গুরুত্বপূর্ণ বই প্রকাশেও শৈলী দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে।

এসব বইয়ে উঠে আসছে মুক্তিযোদ্ধাদের বীরত্বগাথা। মুক্তিযুদ্ধে পুরুষদের সঙ্গে অংশ নিয়েছেন অনেক সাহসী নারী। যাদের অবদান অনস্বীকার্য।  

তিনি এসব নারীর অবদান ইতিহাসে মর্যাদার সঙ্গে মূল্যায়নের আহ্বান জানান।

অধ্যাপক এলিজাবেথ আরিফা মুবাশশিরার সভাপতিত্বে উদ্বোধন অনুষ্ঠানে আলোচনায় অংশ নেন কবি ওমর কায়সার, ড. শ্যামল কান্তি দত্ত, সাহিত্যিক দীপক বড়ুয়া, অধ্যাপক কাঞ্চনা চক্রবর্তী। সূচনা বক্তব্য দেন শিশুসাহিত্যিক ও সাংবাদিক রাশেদ রউফ।  

ওমর কায়সার বলেন, বইঘর বিলুপ্ত হওয়ার পর প্রকাশনা জগতে যখন হাহাকার চলছিল তখন এক চিমটি আলোর মতো উঠে এসেছিল শৈলী প্রকাশন। মুমূর্ষু প্রকাশনা জগতকে পুনর্জাগরিত করেছে শৈলী। এ প্রতিষ্ঠান অনেক উদীয়মান লেখকের আঁতুড়ঘর। শৈলীর ঢেউ কর্ণফুলী ছাড়িয়ে, বঙ্গোপসাগর ছাড়িয়ে প্রশান্ত মহাসাগরকে ছুঁয়ে যাবে এ আমার দৃঢ় বিশ্বাস।

ড. শ্যামল কান্তি দত্ত বলেন, সমাজে কিছু মানুষ আলোর পথে আর কিছু তার বিপরীতে কাজ করার প্রয়াস চালায়। কিন্তু তারা সফল হয় না। বইয়ের সঙ্গে যারা থাকেন তারা আলোর পথেই থাকেন।

শৈলীর প্রকাশক আয়েশা হক শিমুর সঞ্চালনায় দ্বিতীয় পর্বে ‘আমার বই, আমার স্বপ্ন’শীর্ষক আলোচনায় অনুভূতি জানান কবি মাহবুবা চৌধুরী, প্রাবন্ধিক রেজাউল করিম স্বপন, ছড়াকার অপু বড়ুয়া, কবি হেলাল চৌধুরী, স্মরণিকা চৌধুরী ও পুষ্পিতা সেন।

সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় কবি আবুল কালাম বেলালের সভাপতিত্বে ছড়া-কবিতা পাঠ করেন তরুণ কান্তি বড়ুয়া, ডা. প্রণব কুমার চৌধুরী, কল্যাণ বড়ুয়া, সাইফুদ্দীন আহমেদ সাকী, মর্জিনা আখতার, ছন্দা চক্রবর্তী, বাসুদেব খাস্তগীর, ফারজানা রহমান শিমু, লিপি বড়ুয়া, করিমুন্নেসা, আলমগীর হোসাইন, বিচিত্রা সেন,  ইসমাইল জসীম, এসএম আবদুল আজিজ, কাসেম আলী রানা, গোফরান উদ্দী টিটু, খনরঞ্জন রায়, জাহানারা মুন্নী, গৌতম কানুনগো, জয়তুন্নেসা জেবু, বনশ্রী বড়ুয়া, জোনাকি দত্ত, তাহেরা বেগম, নাটু বিকাশ বড়ুয়া, প্রদ্যোৎ কুমার বড়ুয়া, পিংকু দাশ, বিলাস কান্তি দাশ, মৌসুমী পান্না, রুনা তাসমিনা, লিটন কুমার চৌধুরী, সঞ্চিতা তালুকদার, মিতা পোদ্দার, ফারহানা আকতার রুহী, লিপি চৌধুরী, আয়মান রউফ, প্রতিমা দাশ প্রমুখ।

শুক্রবার উৎসবের শেষ দিন বিকেল সাড়ে ৪টায় থাকবে ছড়া-কবিতা পাঠ। এতে সভাপতিত্ব করবেন বিপুল বড়ুয়া। এরপর ‘শৈলীর প্রকাশনা: আমার সম্পাদিত পত্রিকা’ শীর্ষক আলোচনায় অংশ নেবেন নেছার আহমদ, আজিজ রাহমান, কাসেম আলী রানা, অমিত বড়ুয়া ও রুনা তাসমিনা।

সন্ধ্যা ৬টায় সমাপনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করবেন প্রফেসর রীতা দত্ত। প্রধান অতিথি থাকবেন প্রফেসর ড. সেলিনা আখতার। আলোচক থাকবেন কবি অভীক ওসমান, প্রফেসর সালমা রহমান, অরুণ শীল ও মাজহারুল হক।

বাংলাদেশ সময়: ২১৪০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৭, ২০২৩ 
এআর/পিডি/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।