ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

বুদ্ধিজীবী হত্যার হোতাদের পুনর্বাসনের দায় জিয়া-এরশাদ-খালেদা এড়াতে পারে না 

নিউজ ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৪০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৪, ২০২৩
বুদ্ধিজীবী হত্যার হোতাদের পুনর্বাসনের দায় জিয়া-এরশাদ-খালেদা এড়াতে পারে না  ...

চট্টগ্রাম: মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী বলেছেন, স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয় ও মুক্তিযুদ্ধের বিজয়ের ঊষালগ্নে পাকিস্তানী হানাদার বাহিনীর এদেশীয় দোসর আলবদর ও আল শামস বাহিনী পরিকল্পিতভাবে  জাতিকে মেধাশূন্য করার উদ্দেশ্যে বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করে। পৃথিবীর দেশে দেশে বিভিন্ন জাতির মুক্তি সংগ্রামে সফল হলেও পরাজিত শক্তি এভাবে বুদ্ধিজীবীদের হত্যার নজির নেই।

 

বৃহস্পতিবার (১৪ ডিসেম্বর) সকালে ফয়েজলেকস্থ বধ্যভূমিতে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে মহানগর আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন শেষে এক সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সিটি মেয়র  আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেন, পাকিস্তানী হানাদার বাহিনী তাদের পরাজয় নিশ্চিত জেনেই বাঙালি জাতিসত্তাকে মেধায় চিরতরে পঙ্গু করে দিতে বিভিন্ন শ্রেণি পেশার পণ্ডিত-মনিষীদের হত্যা করে।

আর বুদ্ধিজীবীদের দায়িত্ব যে বাহিনীর প্রধানদের দিয়েছিল সেই ধিকৃত অপরাধী মতিউর রহমান নিজামী, আলী হাসান মুজাহিদ, মাওলানা মান্নান, সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরী, কাদের মোল্লা, কামরুজ্জামান, মীর কাশেম আলী সহ যারা বুদ্ধিজীবী হত্যায় সরাসরি অংশগ্রহণ করেছিল, তাদেরকে জিয়াউর রহমান-এরশাদ-খালেদা জিয়া মন্ত্রী, সংসদ সদস্য এবং রাষ্ট্রদূত পর্যন্ত বানিয়েছিলেন। আজ আমরা বুদ্ধিজীবীদের স্মরণ করলেও জিয়া-এরশাদ-খালেদা জিয়া বুদ্ধিজীবীদের হত্যাকারীদের ঘাতকদের পুরস্কৃত করে এবং তাদের গাড়িতে স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকা উড়ানোর সুযোগ দিয়ে শহীদ বুদ্ধিজীবীদের আত্মাদের প্রতি ক্ষমাহীন অপরাধ করেছেন। এ কারণে খালেদা জিয়ার বিচার এবং জিয়া ও এরশাদের মরণোত্তর বিচার হওয়া উচিত।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি নঈম উদ্দীন চৌধুরী, অ্যাড. ইব্রাহিম হোসেন চৌধুরী বাবুল, খোরশেদ আলম সুজন, আলতাফ হোসেন চৌধুরী, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সিটি মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী, সাংগঠনিক সম্পাদক নোমান আল মাহমুদ এমপি, উপদেষ্টা সফর আলী, শেখ মোহাম্ম ইসহাক, সাংগঠনিক সম্পাদক শফিক আদনান, চৌধুরী হাসান মাহমুদ হাসনী, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক শফিকুল ইসলাম ফারুক, দপ্তর সম্পাদক হাসান মাহমুদ শমসের, আইন বিষয়ক সম্পাদক অ্যাড. ইফতেখার সাইমুল চৌধুরী, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক চন্দন ধর, বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক মশিউর রহমান চৌধুরী, ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ সম্পাদক হাজী মো. হোসেন, নির্বাহী সদস্য সাইফুদ্দীন খালেদ বাহার, বখতিয়ার উদ্দিন খান, মো. জাবেদ, হাজী বেলাল আহমদ, থানা আওয়ামী লীগের মো. সালাহউদ্দিন, রেজাউল করিম কায়সার, ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সৈয়দ মোঃ জাকারিয়া, নুরুল আমিন, আবদুল আজিম, সাইফুল আলম বাবু, মো. আলী নেওয়াজ, মো. জানে আলম, জহুরুল আলম জসিম, আব্দুল শুক্কুর ফারুকী, জাফরুল হায়দার সবুজ প্রমুখ।  

সভার শুরুতে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধাঞ্জলি, সকালে দলীয় কার্যালয়ে কালো পতাকা উত্তোলন, দলীয় পতাকা অর্ধনমিতকরণ এবং শহীদ বুদ্ধিজীবীদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদনে ১মিনিট দাঁড়িয়ে নিরবতা পালন করা হয়।

বাংলাদেশ সময়: ১৮৩০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৪, ২০২৩
এমআর/পিডি/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।