ঢাকা, মঙ্গলবার, ২৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১০ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৭ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

জাতীয় স্বার্থেই ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর সংস্কৃতির বিকাশ দরকার: দীপংকর তালুকদার

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১১৯ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২২, ২০২৪
জাতীয় স্বার্থেই ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর সংস্কৃতির বিকাশ দরকার: দীপংকর তালুকদার

চট্টগ্রাম: দেশের বিভিন ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর বৈচিত্র্যপূর্ণ সংস্কৃতি এ দেশের অমূল্য সম্পদ বলে মন্তব্য করেছেন বন, পরিবেশ ও জলবায়ু বিষয়ক সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি দীপংকর তালুকদার।  

বৃহস্পতিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে নগরের সিআরবি শিরীষতলায় অমর একুশে বইমেলা মঞ্চে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।

 

তিনি বলেন, সাংস্কৃতিক নানা উপাদান এসব জাতিগোষ্ঠীর সক্ষমতার বহিঃপ্রকাশ। যুগ যুগ ধরে পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলে বিভিন্ন ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী ও জাতিসত্তা এবং অ-উপজাতীয় জনগণ বসবাস করছে।

উপজাতীয়রা যেমন একদিকে সাংস্কৃতিক স্বাতন্ত্র্যের অধিকারী, অন্যদিকে তারা মূল জনগোষ্ঠীর অপরিহার্য অংশ। জাতীয় উন্নয়নের জন্যই ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর সংস্কৃতির বিকাশে ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি দরকার।  

ভাষা যদি না থাকে, তবে সংস্কৃতি বিলুপ্ত হবে। তাই প্রয়োজন বাংলাদেশের অনেক ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর ভাষা ও সংস্কৃতির সঠিক লালন। সংখ্যাগুরু মানুষের উচিত সংখ্যায় কম মানুষের সংস্কৃতির বিকাশে এগিয়ে আসা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিশেষ উদ্যোগে সমতলের ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়নে ১৯৯৬ সাল থেকে একটি নীতিমালার আলোকে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে ‘বিশেষ এলাকার জন্য উন্নয়ন সহায়তা (পার্বত্য চট্টগ্রাম ব্যতীত) শীর্ষক কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা শুরু হয় এবং কর্মসূচিটি চলমান রয়েছে। বাংলাদেশ সরকার পার্বত্য চট্টগ্রামের মানুষের আশা-আকাঙ্ক্ষা ও প্রত্যাশা পূরণে সর্বদা সচেষ্ট।  

কবি ও নাট্যজন শিশির দত্ত বলেন, ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীদের রয়েছে হাজার বছরের ঐতিহ্যে লালিত নিজস্ব আচার, উৎসব ও সংস্কৃতি। দারিদ্র্য ও সংখ্যাগরিষ্ঠের আগ্রাসী সংস্কৃতির চাপে আজ তা প্রায় বিপন্ন। তবুও ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীরা ধরে রেখেছেন নিজেদের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য ও উৎসবগুলোকে। যুগে যুগে যা সমৃদ্ধ করেছে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী সাহিত্যকে।

মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালক নৃগোষ্ঠী গবেষক ড. আজাদ বুলবুলের সভাপতিত্বে আলোচক ছিলেন মাটিরাঙ্গা সরকারি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ শিক্ষাবিদ প্রশান্ত ত্রিপুরা, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক আনন্দ চাকমা।  এ সময় উপস্থিত ছিলেন চসিকের প্রধান শিক্ষা কর্মকর্তা ও মেয়রের একান্ত সচিব মুহাম্মদ আবুল হাশেম।  

পরে রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি ও বান্দরবানের উপজাতীয় গান ও নৃত্য পরিবেশিত হয়।  

বাংলাদেশ সময়: ২১১০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২২, ২০২৪
এআর/পিডি/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।