ঢাকা, শুক্রবার, ২১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৩ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

একে একে চলে গেল দগ্ধ ৫ শিশুই

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২৪২ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৯, ২০২৪
একে একে চলে গেল  দগ্ধ ৫ শিশুই ...

চট্টগ্রাম: নোয়াখালীর ভাসানচরের রোহিঙ্গা ক্যাম্পে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে দগ্ধ রুশমিনা নামের ৩ বছর বয়সী আরও এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। সিলিন্ডার বিস্ফোরণের ঘটনায় দগ্ধ পাঁচ শিশুর মধ্যে কেউ আর বেঁচে রইল না।

বুধবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) রাত সাড়ে ১১টার দিকে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শিশুটি মারা যায়। সে আশ্রয়ণ প্রকল্পের ৮১ নম্বর ক্লাস্টারের আবদুস শুক্কুরের মেয়ে।

চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ (চমেক) হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির উপ-পরিদর্শক (এসআই) নুরুল আলম আশেক বাংলানিউজকে বলেন, বুধবার রাতে রুশমিনা নামের শিশুটিও মারা যায়। তার শ্বাসনালি ও শরীরের ৫০ শতাংশ দগ্ধ হয়েছিল। দুর্ঘটনায় আহত মোট ৭ জনকে চমেক হাসপাতালে আনা হয়েছিল। এর মধ্যে ৫ জন শিশু ছিল। তারা সবাই মারা গেছে।

২৪ ফেব্রুয়ারি সকালে হাতিয়া উপজেলার ভাসানচরে রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ৮১ নম্বর ক্লাস্টারে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এতে ৫ শিশুসহ ৯ জন দগ্ধ হয়। আহতদের প্রথমে ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক ওইদিনই ৭ জনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য চমেক হাসপাতালে প্রেরণ করে।

হাসপাতালে আনার পথে রাসেল নামে আড়াই বছর বয়সী এক রোহিঙ্গা শিশুর মৃত্যু হয়। এরপর ২৬ ফেব্রুয়ারি চমেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন মোবাশ্বেরা (৪) ও রবি আলম (৫) এবং ২৮ ফেব্রুয়ারি সকালে সোহেল নামে সাড়ে ৫ বছর বয়সী এক শিশুর মৃত্যু হয়েছিল। সর্বশেষ শিশুটি বুধবার না ফেরার দেশে পাড়ি দিল।

দগ্ধ আরও দুইজনকে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। তারা হলেন- জোবায়দা (২২) ও আমেনা খাতুন (২৪)। এদের মধ্যে আমেনা খাতুনের শরীরের ৮ শতাংশ ও জোবায়দার ২৫ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে।  

বাংলাদেশ সময়: ১২৩০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৯, ২০২৪ 
বিই/এসি/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।