ঢাকা, শনিবার, ১১ শ্রাবণ ১৪৩১, ২৭ জুলাই ২০২৪, ২০ মহররম ১৪৪৬

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

যুবলীগ নেতাকে তুলে নিয়ে মারধরের অভিযোগ কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০০৬ ঘণ্টা, মার্চ ৪, ২০২৪
যুবলীগ নেতাকে তুলে নিয়ে মারধরের অভিযোগ কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে প্রতীকী ছবি

চট্টগ্রাম: নগরের চকবাজার এলাকা থেকে যুবলীগ নেতা মেহেদি হাসানকে তুলে নিয়ে মারধরের অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় কাউন্সিলর নূর মোস্তফা টিনুর বিরুদ্ধে।

রোববার (৩ মার্চ) রাত সাড়ে ৮টার দিকে চকবাজার এলাকার মেডিকেলের পূর্ব গেইটের সামনে এই ঘটনা ঘটেছে বলে জানান ভুক্তভোগী যুবলীগ নেতা মেহেদি।

মেহেদি বাংলানিউজে জানান, চকবাজারে তার বন্ধুর ওষুধের দোকানে তিনি বসেছিলেন। এ সময় তার আরেক বন্ধুর মোবাইলে কল করে কাউন্সিলর টিনু জানতে চান মেহেদি পাশে আছেন কিনা।

এরপর তিনি আমার সঙ্গে কথা বলার একপর্যায়ে বলেন, আমাকে তুলে নিয়ে থানায় দিয়ে আসবেন।

এ সংক্রান্ত একটি অডিও কল রের্কড বাংলানিউজের হাতে রয়েছে। সে কল রের্কডে টিনুকে বলতে শোনা যায়, 'আমার বিরুদ্ধে তুই যেখানে সেখানে যা তা (গালবাজি) কেন বলছিস? শুধুমাত্র মিঠুর অনুরোধে তোকে কিছু করিনি। তোকে ঘর থেকে টেনে হিঁছড়ে নিয়ে এসে থানায় তুলে দেব। সিটি করপোরেশনের ময়লার মতো টেনে তুলে নিয়ে আসব তোকে। '

তখন মেহেদি কি অপরাধে তাকে তুলে নেওয়া হবে বারবার সেটা জানতে চান। একপর্যায়ে হুমকির সুরে টিনু বলেন, 'তুই আমার বিরুদ্ধে আর কোথাও কিছু বললে তোর খবর আছে। তোর চেয়ে বড় নেতা আমার সাথে খেলতে গিয়ে কাত হয়ে গেছে। তুই কতবড় কাবিল হইছিস!'

নিজেকে সরকারি কর্মকর্তা দাবি করে টিনু তখন বলেন, 'তুই আমার বিরুদ্ধে যা-তা বলতে পারিস না। আমি তোকে তুলে নিয়ে আসব। ' এ সময় টিনু ধমকের সুরে তার রাজনৈতিক পরিচয় জানতে চান। তখন মেহেদি বলেন, 'আমি ছাত্রলীগ-যুবলীগ-আওয়ামী লীগ করি। সেটার সার্টিফিকেট আপনি না দিলেও আমার নেতারা দেবেন। '

মেহেদি অভিযোগ করে বলেন, এই ফোনকলের আধাঘন্টা পর ১৫ থেকে ২০ জন টিনুর অনুসারীরা একটা ওষুধের দোকানের সামনে থেকে আমাকে তুলে নিয়ে যায় কাউন্সিলর কার্যালয়ে। যাওয়ার সময় আমার সাথে থাকা টাকা তার ছিনিয়ে নেয়। কার্যালয়ে নিয়ে গিয়ে মারধর করে। পরে উপর মহলের ফোন পেয়ে আমাকে পাঁচলাইশে এনে ছেড়ে দেয়।

এ ঘটনা ভুক্তভোগী মেহেদি এই রিপোর্ট লেখার সময় রাত দেড়টা পর্যন্ত নগরের পাঁচলাইশ থানায় অবস্থান করেন। তিনি বলেন, 'আমি থানায় ওসি সাহেবকে বিস্তারিত জানিয়েছি। আমি মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছি। একজন জনপ্রতিনিধি নিজের ক্ষমতার অপব্যবহার করে তার কার্যালয়ে এইভাবে কাউকে তুলে নিয়ে মারধর করতে পারেন না। এই নির্যাতনের আমি উপযুক্ত বিচার চাই। '

অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাওয়ার জন্য কাউন্সিলর টিনুর মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও তিনি ফোন রিভিউ করেননি।

পাঁচলাইশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সন্তোষ কুমার চাকমার সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তিনি সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন।

বাংলাদেশ সময়: ২০০০ ঘণ্টা, মার্চ ৪, ২০২৪ 
বিই/পিডি/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।