চট্টগ্রাম: এভারেস্ট চূড়ায় বাংলাদেশের লাল-সবুজের পতাকা উড়িয়েছেন বাবর আলী। সেই খুশিতে আনন্দের বন্যা বয়ে যাচ্ছে হাটহাজারীর বুড়িশ্চরে বাবরের নিজবাড়িতে।
রোববার (১৯ মে) এমন চিত্র ছিল বাবর আলীর বাড়িতে।
পেশায় চিকিৎসক নেশায় পর্বাতোরোহী বাবর আলী মা অনুভূতি জানিয়ে বলেন, সকালে ফারহান ফোন করে বলেছে, আল্লাহর রহমতে আপনার ছেলে এভারেস্টের চূড়ায় উঠে গেছে। টেনশন করবেন না। ইনশাআল্লাহ নেমেও আসবে।
মা হিসেবে তো এ আনন্দ বলার মতো না, খুবই আনন্দিত। কিন্তু টেনশন, শঙ্কামুক্ত না। আমাদের আশা ছিল ছেলে ডাক্তারিতে বসবে। ওর অনেক দিনের স্বপ্ন ছিল এভারেস্টে উঠবে। ছোটবেলা থেকে দুরন্ত প্রকৃতির ছিল। চার ভাই-বোনের মধ্যে ওর দুরন্তপনা বেশি ছিল। খুবই দুরন্ত ছিল।
এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, এভারেস্ট জয়ের যাত্রার সময় ভিডিও কলে কথা বলেছে, দোয়া করার জন্য বলেছে। আমি কান্না করছিলাম। বলেছে, টেনশন না করতে। তিন-চার তারিখ ফিরবে। টিকিট করা আছে। টেনশন না করতে বলেছেন।
ওর আশা পূরণ হয়েছে। ওর স্বপ্ন পূরণ হয়েছে। ও কথা দিয়ে গেছে, এবার ফিরে আসলে ডাক্তারি ঠিকমতো করবে। আরেকটা ডিগ্রি নেবে।
বাবর আলীর বাবা লিয়াকত আলী বলেন, আলহামদুলিল্লাহ, আমার অনুভূতি খুব ভালো। গর্ববোধ করি। খুব আনন্দ লাগছে। এখনো শঙ্কা কাটেনি। যতক্ষণ ছেলে বুকে ফিরে না আসবে শঙ্কামুক্ত হবো না।
চিকিৎসার সঙ্গে পর্বাতোরোহন খাপ খায় না উল্লেখ করে বাবা বলেন, কিন্তু ওর শখ ছিল পর্বাতোরোহন, এভারেস্ট জয় করা। এর আগে নেপালে আরেকটি পর্বত জয় করেছিল।
এভারেস্টে চূড়ায় উঠার আগের অনুভূতি জানতে চাইলে বলেন, অবশ্যই টেনশনে ছিলাম। অনেক ঘটনা, দুর্ঘটনা ঘটেছে। স্টাডি করেছি। তাই চিন্তিত ছিলাম। প্রথমবার সে এভারেস্টে উঠছে তাই টেনশনে ছিলাম। ট্রেনিং নিলেও, প্র্যাকটিক্যাল অভিজ্ঞতা নেই। তাই টেনশনে রাতে ঘুম হতো না অনেক সময়। অ্যালার্ট থাকতাম। দোয়া করি, যেন প্রতিটি ক্ষেত্রে আমার ছেলে সফল হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৯২০ ঘণ্টা, মে ১৯, ২০২৪
এআর/পিডি/টিসি