ঢাকা, সোমবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

জামায়াত-শিবির নিশ্চিহ্ন করতে দেশপ্রেমিক শক্তিকে এককাট্টা হতে হবে

নিউজ ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৩৯ ঘণ্টা, আগস্ট ৩, ২০২৪
জামায়াত-শিবির নিশ্চিহ্ন করতে দেশপ্রেমিক শক্তিকে এককাট্টা হতে হবে

চট্টগ্রাম: মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি মাহতাব উদ্দীন চৌধুরী বলেছেন, একাত্তরের পাকিস্তানী হানাদার বাহিনীর প্রত্যক্ষ মদদদাতা পশ্চিমা ক্ষতিপয় দেশগুলো বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও অস্তিত্বকে মুছে দেওয়ার জন্য যাদেরকে মাঠে নামিয়েছে তারা সাধারণ মানুষের জান-মাল ও রাষ্ট্রীয় সম্পদকে টার্গেট করে অশুভ খেলায় মেতে উঠেছে। তাদেরকে প্রতিহত ও নিশ্চিহ্ন করার লক্ষ্যে দেশপ্রেমিক শক্তিকে এক কাট্টা হতে হবে।

 

শনিবার (৩ আগস্ট) সকালে নগরী দারুল ফজল মার্কেট চত্বরে চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের উদ্যোগে আয়োজিত বিএনপি-জামায়াত-শিবির চক্রের নাশকতা ও নৈরাজ্য বিরোধী অবস্থান কর্মসূচিতে একথা বলেন।  

মাহতাব উদ্দীন চৌধুরী বলেন, বাংলাদেশকে একটি অকার্যকর রাষ্ট্রে পরিণত করার জন্য গণবিচ্ছিন্ন শক্তি চোরাগুপ্তা হামলা শুরু করে দিয়েছে।

আমরা তাদের প্রতিহতই শুধু করবো না তাদের অস্তিত্ব মুছে ফেলতে সর্বোচ্চ ত্যাগ শিকারে প্রস্তুত।  

চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শফিক আদনানের সঞ্চালনায় অবস্থান কর্মসূচিতে আরো বক্তব্য দেন চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি নঈম উদ্দিন চৌধুরী, অ্যাডভোকেট ইব্রাহিম হোসেন চৌধুরী বাবুল, উপদেষ্টা সফল আলী, অ্যাডভোকেট শেখ ইফতেখার সাইমুল চৌধুরী, মশিউর রহমান চৌধুরী, যুব মহিলা লীগের সায়রা বানু রুশ্মী, মৎস্যজীবী লীগের আমিনুল হক বাবুল সরকার, নির্বাহী সদস্য আব্দুল লতিফ টিপু, আওয়ামী লীগ নেতা জামশেদুল আলম চৌধুরী, ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের রুহুল আমিন তপন, মোহাম্মদ ইব্রাহিম, সলিম উল্লাহ বাচ্চু, সালাউদ্দিন ইবনে আহমেদ, মুজিবুল হক পেয়ারু, স্বপন কুমর মজুমদার, ফজলে আজিজ বাবুল, আশফাক আহমেদ, আনিসুর রহমান ইমন, কাউন্সিলর হাসান মুরাদ বিপ্লব, আতা উল্লাহ, আব্দুস সালাম মাসুম, পুলক খাস্তগীর প্রমুখ।

এদিকে, একই দিন নগরীর আন্দরকিল্লা মোড়ে পৃথক আরেকটি নাশকতা ও নৈরাজ্য বিরোধী অবস্থান কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়। এতে মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সিটি মেয়র আ.জ.ম নাছির উদ্দীন বলেন, ছাত্র আন্দোলনের মূলদাবিগুলো পূরণ করার পর তাদের অন্যান্য দাবিগুলোও সরকার মেনে নিয়েছে। আন্দোলন চলাকালে চিহ্নিত দুষ্কৃতকারী ছাড়া গ্রেফতারকৃত সকলকে মুক্তি দেয়া হয়েছে এবং নিহতদের ক্ষতিপূরণসহ হত্যার বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। এরপরও আন্দোলনকারীদের একটি অংশ অরাজনৈতিক ইস্যুকে পুঁজি করে নিষিদ্ধ জামায়াত-শিবিরকে মাঠে নামিয়েছে। তারা বর্তমান প্রজন্মের সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করে স্বাধীনতা বিরোধী শক্তির সঙ্গে হাত মিলিয়েছে। তাদের এই কলঙ্কের দাগ তারা যদি নিজেরাই মুছে ফেলতে না চায় তাহলে তারা ইতিহাসের পাতায় স্বাধীনতা বিরোধী খলনায়ক হিসেবে চিহ্নিত হবে এবং এই নতুন প্রজন্ম অবশ্যই একদিন আসামির কাঠগড়ায় দাঁড় করাবেন।  

ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের ইকবাল হাসানের সভাপতিত্বে ও মিথুন বড়ুয়া সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সমাবেশে আরো বক্তব্য দেন চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সাগঠনিক সম্পাদক চৌধুরী হাসান মাহমুদ হাসনি, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক শফিকুল ইসলাম ফারুক, দপ্তর সম্পাদক হাসান মাহমুদ শমসের, তথ্য ও গবেষণা সম্পদক চন্দর ধর, উপ-দপ্তর সম্পাদক জহর লাল হাজারী, নির্বাহী সদস্য পেয়ার মোহাম্মদ, হাজী বেলাল আহমদ, প্যানেল মেয়র মোহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন, মোহাম্মদ শাহাব উদ্দিন, পিংকু বড়ুয়া, সিদ্দিক আহমদ, দিদারুল আলম মাসুম, আব্দুল আজিম, সাইফুল আলম বাবু, লায়ন আশীষ ভট্টাচার্য, সাইদুল আলম, ফয়জুল্লা বাহাদুর, কাউন্সিলর শৈবাল দাশ সুমন প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৩৫ ঘণ্টা, আগস্ট ০৩, ২০২৪
এমআর/টিসি
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।