চট্টগ্রাম: বিভিন্ন উপজেলা থেকে এক থেকে আড়াই কেজি ওজনের প্রতিটি লাউ ৫০ টাকা কিনে এনে রশিদ ছাড়া পাইকারি বিক্রি করায় আড়তদারকে ১৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। ওই আড়তের ৫০ মিটার দূরেই খুচরা বিক্রেতারা প্রতিকেজি লাউ বিক্রি করছেন ৫০ টাকা দরে।
রোববার (২০ অক্টোবর) জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের চট্টগ্রাম বিভাগীয় কার্যালয় ও চট্রগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের একটি টিমের সমন্বয়ে বহদ্দারহাট কাঁচা বাজারে নিয়মিত তদারকি কার্যক্রমে এ জরিমানা করা হয়েছে।
অভিযানে নেতৃত্ব দেন অধিদপ্তরের উপপরিচালক মোহাম্মদ ফয়েজ উল্যাহ ও সহকারী পরিচালক মো. আনিছুর রহমান।
মোহাম্মদ ফয়েজ উল্যাহ বাংলানিউজকে বলেন, কাউসারের সবজির আড়তের স্বত্বাধিকারী কাওসার জানান, তিনি প্রতি পিস লাউ গড়ে ৪০ টাকার দরে কিনেছেন। প্রতি পিস লাউয়ের ওজন ১ থেকে আড়াই কেজি।
কিন্তু এসব লাউ তিনি পিস হিসেবে নাকি কেজি দরে বিক্রি করছেন তার কোনো বিক্রয় ভাউচার রাখেননি। তিনি কোনো প্রকার মূল্য তালিকা প্রদর্শন করছেন না এবং সেই সাথে তার ক্রয় ভাউচারও রাখছেন না। তাই প্রতিষ্ঠানটিকে ১৫ হাজার টাকা জরিমানা হয়। পাইকারি আড়ত থেকে মাত্র ৫০ মিটার দূরে খুচরা বিক্রেতা প্রতি কেজি লাউ ৫০ টাকা দরে বিক্রি করছে বলে জানতে পেরেছি। তাই আমাদের ধারণা আড়তে কেজি হিসেবে বিক্রি করা হয়েছে লাউ।
একই অভিযানে খাজা স্টোর নামের ডিমের পাইকারি বিক্রেতাকে মূল্য তালিকা প্রদর্শন না করা,বেচাকেনার ভাউচার সংরক্ষণ না করা এবং অতিরিক্ত মূল্যে ডিম বিক্রি করায় ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। একই বাজারের শাকিল এবং মোর্শেদের সবজির দোকানেও কোনো ধরনের মূল্য তালিকা দেখা যায়নি। উভয় দোকানের প্রতিটিকে ছয় হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
জনস্বার্থে জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের এ তদারকি কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে বলে জানান মোহাম্মদ ফয়েজ উল্যাহ।
বাংলাদেশ সময়: ১৮০০ ঘণ্টা, অক্টোবর ২০, ২০২৪
এআর/পিডি/টিসি