চট্টগ্রাম: সীতাকুণ্ডে সড়কের বিভিন্ন স্থানে ফেলে রাখা সাদা পাউডারের গন্তব্য জানা যায়নি। তবে চট্টগ্রাম পরিবেশ অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের ধারণা, পদার্থটি পার্লাইট পাউডার হতে পারে।
জানা গেছে, ফৌজদারহাট থেকে চট্টগ্রাম বন্দর পর্যন্ত ১২ কিলোমিটার সংযোগ সড়কের বিভিন্ন স্থানে এক সপ্তাহ আগে এসব পাউডার ফেলে যাওয়া হয়। গাড়ি চলাচলের সময় পাউডার বাতাসে উড়ে আশপাশের এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে।
মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) বিকেলে চট্টগ্রাম পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক ও গবেষণা কর্মকর্তা আশরাফ উদ্দিনের নেতৃত্বে জ্যেষ্ঠ রসায়নবিদ হোযায়ফা সরকার ও নমুনা সংগ্রহকারী মাহবুবুল আলম ঘটনাস্থল থেকে নমুনা সংগ্রহ করেন। বুধবার (৬ নভেম্বর) সড়ক ও জনপদ (সওজ) বিভাগের কর্মচারীরা কয়েকটি এলাকা থেকে পাউডারগুলো সরিয়ে নেয়। তবে এখনও লতিফপুর ও উত্তর হালিশহর এলাকায় সড়কের পাশে রয়ে গেছে পাউডার।
শিপ ইয়ার্ড সংশ্লিষ্টরা জানান, গ্যাস পরিবহনে জাহাজের ট্যাঙ্কগুলোর সুরক্ষার জন্য দুই স্তরবিশিষ্ট এক ধরনের প্লাইবোর্ডের প্রতিরোধক থাকে। প্লাইবোর্ডের দুই স্তরের মধ্যে থাকে পার্লাইট পাউডার। এই পাউডারের কারণে ট্যাঙ্কে থাকা গ্যাস সুরক্ষিত থাকে।
স্থানীয়রা বলছেন, গাড়ি চলাচলের সময় এসময় পাউডার উড়ে গিয়ে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, গাছপালায় পড়ে ধূসর হয়ে গেছে। মানুষের শরীরে চর্মরোগ দেখা দিচ্ছে। বাতাসের সাথে নাকে ঢুকে শ্বাসকষ্ট দেখা দিয়েছে।
সড়ক ও জনপদ (সওজ) বিভাগের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী নিজাম উদ্দিন জানান, সড়কের ওপর এ ধরনের বর্জ্য ফেলা অনুচিত। জনবল সংকটের মধ্যেও তারা বেশকিছু পাউডার সড়ক থেকে সরিয়ে নিয়েছেন। কারা এসব পাউডার রাস্তায় ফেলে গেছে, তা তদন্ত করে দেখা দরকার।
এদিকে পাউডারের নমুনা সংগ্রহের পর পরিবেশ অধিদপ্তরের ঢাকা কার্যালয়ে পাঠানো হয়েছে। চট্টগ্রাম পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক আশরাফ উদ্দিন বলেন, নমুনা পরীক্ষার পর জানা যাবে এই পদার্থ সম্পর্কে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৪০ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৭, ২০২৪
এসি/টিসি