চট্টগ্রাম: বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি ও চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির সদস্য অ্যাডভোকেট সাইফুল ইসলাম আলিফ হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার ১০ আসামিকে মারধর, ভাঙচুর ও বিস্ফোরক মামলায় গ্রেপ্তার (শ্যোন অ্যারেস্ট) দেখিয়েছেন আদালত।
বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) সকালে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট কাজী শরীফুল ইসলামের আদালত শুনানি শেষে এই আদেশ দেন।
আসামিরা হলেন- চন্দন দাস, রুমিত দাস, বিশাল দাস, রাজীব ভট্টাচার্য, আমান দাস, নয়ন দাস, গগন দাস, দুর্লভ দাস, সুমিত দাস ও মনু দাস।
আদালত সূত্রে জানা যায়, গত ৩০ নভেম্বর আইনজীবীদের ওপর হামলা, মারধর, আদালত প্রাঙ্গণে গাড়ি ভাঙচুর ও ককটেল বিস্ফোরণের অভিযোগে ১১৬ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত পরিচয় পাঁচশ জনের বিরুদ্ধে নিহত আইনজীবী সাইফুল ইসলামের ভাই জানে আলম বাদী হয়ে কোতোয়ালী থানায় মামলা করেন।
চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (প্রসিকিউশন) মফিজ উদ্দিন জানান, অ্যাডভোকেট সাইফুল ইসলাম আলিফ হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার ১০ আসামিকে ভাইয়ের করা মারধর, ভাঙচুর ও বিস্ফোরক মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন করা হয়। আসামিদের উপস্থিতি আদালত শুনানি শেষে তা মঞ্জুর করেন। শুনানি শেষে তাদের কারাগারে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।
আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফ হত্যা মামলায় ৩ আসামি জবানবন্দি দিয়েছেন আদালতে। হত্যা মামলার প্রধান আসামি চন্দন দাস ও রাজিব ভট্টাচার্য আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। এতে উল্লেখ করা হয়, আইনজীবীর ঘাড়ে বঁটি দিয়ে দুটি কোপ দেন রিপন দাস। আর কিরিচ দিয়ে কোপান চন্দন দাস। রাস্তায় পড়ে থাকা সাদা শার্ট ও কালো প্যান্ট পরা আইনজীবীকে লাঠি, বাটাম, ইট, কিরিচ, বঁটি দিয়ে তারা মারধর করেন।
পুলিশ বলছে, আইনজীবী হত্যার ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, মাথায় ছাই রঙের হেলমেট, কমলা রঙের গেঞ্জি আর কালো প্যান্ট পরা ছিলেন চন্দন। হাতে ছিল কিরিচ। ঘটনার সময় রিপনের হাতে ছিল বঁটি। পরনে ছিল নীল রঙের গেঞ্জি, জিন্স প্যান্ট ও মাথায় লাল হেলমেট। গত ২৯ নভেম্বর আলিফ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় ৩১ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত অন্তত ১৫ জনকে আসামি করে মামলা হয়। মামলা করেন আলিফের বাবা জামাল উদ্দীন।
বাংলাদেশ সময়: ১২২০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৮, ২০২৪
এমআই/টিসি