চট্টগ্রাম: আমদানি করা ৯ কনটেইনারের ১৭৫ টন নিলাম ও ভোগের অযোগ্য হিমায়িত চিংড়ি, আদা, কমলা, পশুখাদ্য ধ্বংস করেছে চট্টগ্রাম কাস্টম হাউস কর্তৃপক্ষ।
বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের মালিকানাধীন বন্দর রিপাবলিক ক্লাবের পেছনে রীতিমতো পুকুরের সমান গর্ত খুঁড়ে খাবার বা ব্যবহারের অনুপযোগী এসব পণ্য মাটি চাপা দেওয়া হয়।
বিভিন্ন দেশ থেকে আমদানি করা কনটেনারে দীর্ঘদিন বন্দরের বিভিন্ন টার্মিনাল, ইয়ার্ড ও শেডে পড়ে থাকা ১১১টি কনটেইনারের ২ হাজার ৩৫০ টন পণ্য ধ্বংস করা হচ্ছে এবার। এসব পণ্যের মধ্যে রয়েছে হিমায়িত চিংড়ি, আদা, পশুখাদ্য, হিমায়িত মাংস, মেন্ডারিন, মিট অ্যান্ড বোন মিল, মাছ ও মুরগির খাদ্য।
চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের ডেপুটি কমিশনার সাইদুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, দীর্ঘদিন বন্দর থেকে নানা কারণে খালাস না নেওয়া এবং পণ্যের গুণগতমান নষ্ট হয়ে খাবার বা ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়া পণ্যচালান নির্দিষ্ট কমিটির সদস্যদের উপস্থিতিতে ধ্বংস করা কাস্টম হাউসের রুটিন কাজ। তারই ধারাবাহিকতায় এবার ১১১টি কনটেইনারে থাকা মেয়াদোত্তীর্ণ পণ্য ধ্বংস করা হচ্ছে। বন্দরের সহায়তায় এ লক্ষ্যে সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। প্রথম দিন ৯টি কনটেইনারে থাকা পণ্য ধ্বংস করা হয়েছে। শুক্র ও শনিবার ধ্বংস কার্যক্রম সীমিত থাকবে। এরপর পুরোদমে চলবে।
এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, খালাস না নেওয়া পণ্য নিলামের পরও অনেক সময় সরবরাহ দেওয়া সম্ভব হয় না। যদি এসব চালানের নমুনা পরীক্ষার পর বিএসটিআই, আনবিক শক্তি কমিশনসহ বিভিন্ন দপ্তরের ছাড়পত্র পাওয়া না যায়। রাজস্ব আদায়ের চেয়েও কাস্টমসকে জনস্বাস্থ্য, পরিবেশ ইত্যাদি বিষয়ও বিবেচনায় রাখতে হয়।
চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সচিব মো. ওমর ফারুক বাংলানিউজকে জানান, বিগত সময়ে দেখা গেছে কাস্টমস ধ্বংস করার পর ওই পণ্য চুরি করে নিয়ে যেত একটি চক্র। যা জনস্বাস্থ্যের জন্য হুমকি স্বরূপ ছিল। এবার যাতে তেমনটি না হয় সেটি আমরা নিশ্চিত করছি।
বাংলাদেশ সময়: ২২০৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৯, ২০২৪
এআর/পিডি/টিসি