ঢাকা, সোমবার, ৫ মাঘ ১৪৩১, ২০ জানুয়ারি ২০২৫, ১৯ রজব ১৪৪৬

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

জলাবদ্ধতা প্রকল্পে প্রচুর বিনিয়োগ করেও সুফল পায়নি জনগণ: ফাওজুল কবির

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২৩২৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৯, ২০২৫
জলাবদ্ধতা প্রকল্পে প্রচুর বিনিয়োগ করেও সুফল পায়নি জনগণ: ফাওজুল কবির ...

চট্টগ্রাম: সড়ক পরিবহন ও সেতু এবং রেলপথ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মো. ফাওজুল কবির খান বলেছেন, যে কোনো প্রকল্পে কিংবা ব্যবসায় সুফল না আসে সেখানে কেউ বিনিয়োগ করতে চায় না। পূর্বে জলাবদ্ধতা প্রকল্পে প্রচুর অর্থ বিনিয়োগ করেও তার সুফল জনগণ পায়নি।

সে কারণেই এ প্রকল্পে নতুনভাবে অর্থ বরাদ্দ পেতে নানা সমস্যা পোহাতে হচ্ছে।  

রোববার (১৯ জানুয়ারি) বিকেলে সার্কিট হাউজের সম্মেলন কক্ষে নগরের জলাবদ্ধতা নিরসন নিয়ে মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

এসময় ফাওজুল কবির খান বলেন, জলাবদ্ধতা চট্টগ্রামের একটি বড় সমস্যা সে জন্য প্রধান উপদেষ্টা এ সমস্যা সরেজমিনে পরিদর্শনের জন্য আমাদেরকে এখানে পাঠিয়েছেন। গতকাল আমরা বিভিন্ন খাল পরিদর্শন করেছি। জলাবদ্ধতা নিরসনে কি করণীয় সে বিষয়ে আপনাদের মতামত নিয়েছি। জলাবদ্ধতা নিরসনে সরকারি জমি পুনরুদ্ধার ও আর্থিক সংস্থানের  ব্যবস্থা করা, পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম পরিচালনার জন্য জনবল সংকটসহ আইনি জটিলতা কিভাবে সমাধান করা যায় সে বিষয়ে বিভাগীয় প্রশাসন, জেলা প্রশাসন এবং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে এর দ্রুত সমাধান নিশ্চিত করতে আমরা কাজ করবো।

সভায় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ উপদেষ্টা ফারুক ই আজম বীর প্রতীক বলেন, আইনি জটিলতা, অর্থ সংস্থানের সমস্যা ও ভূমি অধিগ্রহণে যে সমস্যা রয়েছে তা নিরসনে আমরা একটা সমন্বিত সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে চাই। সবার আন্তরিক সহযোগিতায় জলাবদ্ধতা নিরসনে একটি উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন আসবে বলে আশা করছি।

পানি সম্পদ এবং পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, চট্টগ্রাম মহানগরের জলাবদ্ধতা নিরসনে নগরীর খালগুলোকে তার স্বাভাবিক গতিপথে রাখতে হবে। নগরের পাশে পটিয়াতে গেলে দেখবেন, সেখানে ৫ গ্রামে পানিই নাই। এই খালগুলো ব্যক্তি নামে দিয়ে দিচ্ছি আবার আমরা উচ্ছেদ করে দিচ্ছি। অন্যদিকে তিনগুণ ক্ষতিপূরণ দিয়ে সরকারকে অধিগ্রহণ করে নিতে হচ্ছে। এসব ক্ষেত্রে ভূমি প্রশাসনকে জবাবদিহিতার মুখোমুখি করা উচিত। খাল দখলকারীদের আইনের আওতায় এনে এদের কঠিন জবাবদিহির মুখোমুখি করতে হবে।

মতবিনিময় সভায় বিভাগীয় কমিশনার ড. মো. জিয়াউদ্দীনের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন।

মতবিনিময় সভায় আগামী চার মাসের মধ্যে চট্টগ্রাম নগরীর জলবদ্ধতা নিরসনে কর্ম প্রক্রিয়া উপস্থাপন করেন নদী বিশেষজ্ঞ  ফাইয়েজ আহমেদ তাইয়েব। সভায় বক্তব্য রাখেন পানিসম্পদ সচিব নাজমুল আহসান, জলবদ্ধতা নিরসন প্রকল্পের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামস এবং চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক ফরিদা খানম প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ২৩০০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৯, ২০২৫
এমআর/পিডি/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।