চট্টগ্রাম: জলাবদ্ধতা নিরসনে নগরের আগ্রাবাদের নাছির খালের খনন কার্যক্রম উদ্বোধন করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক এবং দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফারুক ই আজম বীর প্রতীক।
শবিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) নগরের জলাবদ্ধতা নিরসনে বিভিন্ন কার্যক্রম পরিদর্শনকালে তিনি বলেন, আমরা সবাই অনেক রকমের চেষ্টা চালাচ্ছি যাতে জলাবদ্ধতা থেকে আপনারা নিষ্কৃতি পান।
‘আপনারা এলাকাতে যে কমিটিগুলো আছে আপনারা কমিটির মাধ্যমে ঘরে ঘরে গিয়ে সচেতন করেন যাতে ময়লাটা আপনারা এক জায়গায় রাখবেন। ওখান থেকে সিটি কর্পোরেশন কালেক্ট করে নিয়ে যাবে। আপনাদের ময়লার সমস্যা সমাধান হয়ে যাবে। এই শহর আপনার, এই শহর আমাদের সবার। এখানে সুস্থভাবে বেঁচে থাকার অধিকার আমাদের সবার আছে। একজনের জন্য দশজন কষ্ট পাবে সেটা যেন না হয়। ’
পরিদর্শনকালে চসিক মেয়র বলেন, আমরা বিভিন্ন ওয়ার্ডে যখন যাচ্ছি কাজ করার জন্য দেখতে পাচ্ছি যে সেখানে জমি অধিগ্রহণ থেকে শুরু করে যেভাবে খালটা সোজা যাওয়ার কথা ছিল সেটা আঁকাবাঁকা হয়ে গেছে। আকাবাকা কেন হয়েছে? আমরা যখন প্রশ্ন করলাম জানতে পারলাম যে আশেপাশে হয়তোবা আগেরকার যারা সরকারে ছিল এই যে আওয়ামি সরকার তাদের যে লোকজন সেখানে হয়তোবা জমি ছিল সে জমিগুলো তারা ছাড়েনি যার কারণে ওই যে পানির যে গতি প্রবাহ যেভাবে হওয়ার কথা সেভাবে হয়তোবা নাও হতে পারে। এই যে ইরেগুলারিটিসগুলো হয়েছে, ডিফরমেটিস গুলো হয়েছে সেগুলো থেকে বের হয়ে আমরা এখন নতুনভাবে আমরা এই জলাবদ্ধা নিয়ে চিন্তা করছি।
‘বিশেষ করে এই তিন মাসে তো বৃহৎ কিছু করা যাবে না। যেহেতু বর্ষাকাল সামনে চলে আসছে। এপ্রিল মে’র মধ্যে বর্ষাকাল চলে আসবে। তাই আমাদের এখন কাজ হচ্ছে আমাদের যে মেইন খালগুলো আছে সেগুলো পরিষ্কার করা। আর সেকেন্ডারি ড্রেনেজ যেগুলো আছে নালা এবং এই আশেপাশে আমাদের ছোট ছড়াগুলো আছে বিভিন্ন ধরনের পাহাড়ের ছড়া এগুলো এখন পরিষ্কার করা। তাহলে হবে কি? আমরা অন্ততপক্ষে বর্ষাকালে জলাবদ্ধতার যে সমস্যা সেটা থেকে হলে কিছুটা হলেও ইনশাল্লাহ লাঘব করতে পারব। ’
এদিন উপদেষ্টা আগ্রাবাদ, বারইপাড়া, চকবাজারসহ জলাবদ্ধতা নিরসনে চলমান কার্যক্রম পরিদর্শনের জন্য নগরের বিভিন্ন এলাকায় যায় এবং চলমান কার্যক্রম সম্পর্কে খোঁজ নেন। বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শনের পর চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজে চট্টগ্রাম শহরের জলাবদ্ধতা নিরসনকল্পে সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কর্মকর্তাদের সাথে মতবিনিময় করেন উপদেষ্টা। এ সময় উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার ড. মো. জিয়াউদ্দীন, অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (সার্বিক) মুহাম্মদ আনোয়ার পাশা, চসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মুহম্মদ তৌহিদুল ইসলাম, জেলা প্রশাসক ফরিদা খানম, চসিকের প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা কমান্ডার ইখতিয়ার উদ্দিন আহমেদ চৌধুরীসহ বিভিন্ন সেবা সংস্থার শীর্ষ কর্মকর্তারা।
বাংলাদেশ সময়: ২২১০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৮, ২০২৫
পিডি/টিসি