চট্টগ্রাম: রমজান মাসের শেষ শুক্রবার, জুমাতুল বিদায় প্রতিটি মসজিদে উপচে পড়া ভিড় দেখা গেছে। মসজিদে জায়গা না হওয়ায় অনেকে মসজিদের ছাদে, খোলা মাঠে, সড়কে জামাতে অংশ নেন।
পছন্দের মসজিদে জুমার নামাজ ও মোনাজাতে অংশ নিতে আজানের আগেই মুসল্লিরা আসতে শুরু করেন।
এবার শবে কদর ও জুমাতুল বিদা একসঙ্গে হওয়ায় বাবা-চাচা-মামার হাত ধরে মসজিদে আসে শিশু-কিশোররাও।
সরেজমিন জমিয়তুল ফালাহ মসজিদে দেখা গেছে, মুসল্লিদের সুবিধার্থে টুপি, তসবিহ, আতর, পাজামা, পাঞ্জাবি, ইসলামি বইয়ের ভাসমান দোকান বসেছে।
বার আউলিয়ার পুণ্যভূমি খ্যাত চট্টগ্রামের পীর আউলিয়ার দরবার, খানকাহ, মাজার এবং বড় বড় মাদ্রাসা কেন্দ্রিক মসজিদগুলোতে ভক্ত, আশেকরা দূরদূরান্ত থেকে এসে জুমাতুল বিদায় শরিক হন।
প্রতিটি মসজিদে দেশ ও জাতির সমৃদ্ধি, গাজা ফিলিস্তিনসহ বিশ্বশান্তির জন্য মোনাজাতে দোয়া করা হয়।
জমিয়তুল ফালাহ মসজিদের খতিব মুসল্লিদের উদ্দেশে বলেন, জুমাতুল বিদা রমজানের শেষ জুমা। এমনও হতে পারে আমাদের অনেকের জীবনেরও শেষ জুমা। লোকদেখানো এবাদত করে লাভ নেই। এবাদতের রুহ আছে। তাকওয়া না থাকলে এবাদত অন্তঃসার শূন্য হয়ে যায়। একাগ্রচিত্তে এবাদত করতে হবে। এবাদতের মাধ্যমে আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য চেষ্টা করতে হবে। রমজানের শিক্ষা বাকি এগারো মাস আমল করতে হবে। হালাল রিজিক তালাশ করতে হবে। রমজানের পর শয়তান সক্রিয় হয়ে যায়। তখন সতর্ক থাকতে হবে। শয়তানের বিরোধিতা করলে আল্লাহর সঙ্গে বন্ধুত্ব হয়। এর জন্য প্রতি মাসের নির্দিষ্ট দিনগুলোতে নফল রোজা রাখার চেষ্টা করবেন।
তিনি জানান, জমিয়তুল ফালাহ মাঠে ঈদের প্রথম জামাত সকাল আটটায়, দ্বিতীয় জামাত পৌনে নয়টায় অনুষ্ঠিত হবে। ঈদের জামাতে আসার আগে ফিতরা বিতরণ করে আসবেন।
জুমার পর মুসল্লিরা ছুটে যান স্বজনদের কবরস্থানে। সেখানে শায়িত দাদা-দাদি, নানা-নানি, মা-বাবাসহ স্বজনদের মাগফেরাতের জন্য দোয়া করেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৩৫ ঘণ্টা, মার্চ ২৮, ২০২৫
এআর/ টিসি