ঢাকা, বুধবার, ২ বৈশাখ ১৪৩২, ১৬ এপ্রিল ২০২৫, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৬

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

নির্বাচন আদায়ে প্রয়োজনে আবারও আন্দোলনে প্রকম্পিত হবে রাজপথ: মীর হেলাল

নিউজ ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৪৯ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৪, ২০২৫
নির্বাচন আদায়ে প্রয়োজনে আবারও আন্দোলনে প্রকম্পিত হবে রাজপথ: মীর হেলাল

চট্টগ্রাম: বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটি চট্টগ্রাম বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ব্যারিস্টার মীর মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন বলেছেন, অন্তর্বর্তী সরকারের দায়িত্ব ছিল দেশে অপ্রীতিকর পরিস্থিতি সামাল দিয়ে নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠন, পুলিশ প্রশাসনের রদবদল, বিচার বিভাগ পুনরুদ্ধারসহ গুরুত্বপূর্ণ কিছু বিষয় দ্রুত সংস্কার করে একটি অবাধ, নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু নির্বাচন দেওয়া, যা ইতোমধ্যে মোটামুটি সংস্কার করা হয়েছে। এখন এ সরকারের দায়িত্ব হচ্ছে গণমানুষের মনের কথা শোনা।

 

শেখ হাসিনার কানে গণমানুষের কথা পৌঁছায়নি বলেই তাকে পালিয়ে যেতে হয়েছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, যারা গণমানুষের মনের কথা শুনবে না তাদের পরিণতি হবে হাসিনার মতোই।  

মীর মোহাম্মদ হেলাল হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, দীর্ঘ বছর স্বৈরাচারী হাসিনা সরকারের বিরুদ্ধে সর্বাত্মকভাবে লড়াই করেছে বিএনপি।

নির্বাচন আদায়ে প্রয়োজনে রাজপথ আবারও আন্দোলন প্রকম্পিত হবে। শান্তিপূর্ণ শোভাযাত্রা বিক্ষোভে রূপ নিতে একটি ঘোষণায় যথেষ্ট জানিয়ে তিনি দেশবাসীকে বিভ্রান্ত না করে অবিলম্বে নির্বাচন দেওয়ার দাবি জানান।

তিনি আরও বলেন, দীর্ঘ ১৭ বছর ধরে স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা এবং তার দলের নেতাকর্মীরা বাঙালির সব সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যবাহী উৎসবগুলো পালনে যেসব অপসংস্কৃতি ঢুকিয়েছে তা প্রতিরোধ করতে হবে এবং এর বিপক্ষে বাঙালি সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যকে জনসম্মুখে তুলে ধরতে হবে। তা ছাড়া দক্ষিণ জেলার আওতাধীন সব সংসদীয় আসন দেশনায়ক তারেক রহমানকে উপহার দিতে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে বিএনপির সব নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।  

সোমবার (১৪ এপ্রিল) বাংলা নববর্ষকে বরণ করতে উপলক্ষে দক্ষিণ জেলা বিএনপির বিএনপির উদ্যোগে আয়োজিত বর্ণাঢ্য আনন্দ শোভাযাত্রা ও সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন ব্যারিস্টার মীর হেলাল।  

এতে সভাপতির বক্তব্যে দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক ইদ্রিস মিয়া বলেন, স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা দীর্ঘ বছর এ দেশের মানুষকে নিজের মতো করে সংস্কৃতি-ঐতিহ্য পালন ও চর্চা করতে দেয়নি। তারা সর্বক্ষেত্রে ফ্যাসিবাদ ব্যবস্থা কায়েম করেছে। সবকিছু আওয়ামী লীগের মধ্যেই সীমাবদ্ধ রেখেছে।  

স্বাগত বক্তব্যে দক্ষিণ জেলা বিএনপির সদস্য সচিব হেলাল উদ্দিন বলেন, দীর্ঘ বছর পর ফ্যাসিবাদের পতন ঘটিয়ে বাংলার মানুষ আজ মুক্তির আনন্দে মেতেছে, যা শোভাযাত্রায় স্পষ্টভাবে ফুটে উঠেছে।  

তিনি আরও বলেন, বৈশাখী উৎসব উদযাপনে বিএনপির নেতাকর্মীদের মধ্যে যে ঐক্যের সুর উঠেছে তা ধরে রাখতে হবে নির্বাচন আদায় পর্যন্ত।  

হেলাল উদ্দিন বলেন, যুদ্ধ এখনও শেষ হয়নি। দেশের মানুষ যেদিন তাদের মালিকানা ও ভোটের অধিকার ফিরে পাবে এবং যেদিন বৈষম্যহীন রাষ্ট্র কাঠামো গঠিত হয়ে জনগণের সব মৌলিক অধিকার নিশ্চিত হবে সেদিনই যুদ্ধ শেষ হবে বলে জানান তিনি।     

এর আগে নববর্ষকে বরণ করতে পটিয়া উপজেলার ইন্দ্রপুল/বাইপাস গোল চত্বর থেকে আনন্দ শোভাযাত্রা বের করা হয়। দীর্ঘ সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে শোভাযাত্রাটি পটিয়া দলীয় কার্যালয়ের সামনে গিয়ে শেষ হয়।  

শোভাযাত্রায় হাতি, গোড়া গাড়ি, বাঙলার ঐতিহ্য সম্বলিত রং-বেরংয়ের ব্যানার-ফেস্টুন নিয়ে চট্টগ্রাম বিএনপির দক্ষিণ জেলা, উপজেলা, পৌরসভা এবং অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীসহ সর্বস্তরের হাজার হাজার সাধারণ মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশ নেয়।  

শোভাযাত্রায় আরও উপস্থিত ছিলেন- চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বাযক আলী আব্বাস, যুগ্ম আহ্বায়ক মিশকাতুল ইসলাম চৌধুরী পাপ্পা,  সৈয়দ সাদাত আহমেদ, সাবেক বিচারপতি আবদুস সালাম মামুন, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সাবেক সদস্য বদরুল খায়ের চৌধুরী, আজিজুল হক চেয়ারম্যান, এস এম মামুন মিয়া, নুরুল আনোয়ার চৌধুরী, মাস্টার লোকমান, আমিনুর রহমান চৌধুরী, মুজিবুর রহমান চেয়ারম্যান, রেজাউল করিম নেচার চেয়ারম্যান, ইসহাক চৌধুরী, ওসমান, সাইফুদ্দীন সালাম মিঠু, হামিদুল হক মন্নান চেয়ারম্যান, রাসেল ইকবাল মিয়া, শওকত আলম চৌধুরী, শহিদুল্লাহ চৌধুরী, নুরুল কবির, সিরাজুল ইসলাম সওদাগর, এস এম ছলিম উদ্দিন খোকন চৌধুরী, জসিম উদ্দিন, রফিকুল আলম, মোকতার আহমদ, রেজাউল করিম চৌধুরী রেজা, খোরশেদ আলম আইয়ুব, আ ক ম মোজাম্মেল হক, মাহমুদুর রহমান মাদু, বাবু খান, ইব্রাহীম খলিল, আবদুল মোনাফ চৌধুরী, আবদুল জলিল চৌধুরী, জসিম উদ্দিন মাস্টার, অ্যাডভোকেট শওকত ওসমান, মনজুর আলম তালুকদার, মো. আজগর, শফিকুল ইসলাম, জমির উদ্দিন মানিক, রবিউল ইসলাম রবি, ডা. মহসিন খান তরুন, কামরুদ্দিন সবুজ, আবদুর রহিম, মোজাম্মেল হক, সালেহ জহুর, বিএনপি নেতা মাস্টার রফিক, সরোয়ার হোসেন মাসুদ, জাহাঙ্গীর কবির, শাহিনুর রহমান শাহীন, ইফতেখার উদ্দিন ইফতু, শফিকুল ইসলাম রাহী, জাহাঙ্গীর আলম, মোজাম্মেল হক হক বেলাল, জাগির হোসেন, শেফায়েত উল্লাহ চক্ষু, সালাউদ্দিন চৌধুরী সোহেল, এস এম সুমন, মোস্তফিজুর রহমান, বাহাউদ্দিন, মো. শাহীন, মো. জাহেদ, মাহমুদুর রহমান মান্না, সাইফুল ইসলাম, মো. ইসমাইল, ইঞ্জিনিয়ার হারুন, দিল মোহাম্মদ মনজু, আবু আহমদ, আফছার উদ্দিন সোহেল, মতিউর রহমান রাশেল, গাজী ফোরকান, গাজী মনির, আবুল হোসেন, দেলোয়ার হোসেন, মনোয়ার হোসেন, মনসুর উদ্দিন, মামুন খান, ছলিম উল্লাহ চৌধুরী ডালিম, আফরোজা বেগম জলি, সারাবান তহুরা কলি, জেলা ছাত্রদল নেতা ইসমাইল বিন মনির ও তারেক রহমান।

বাংলাদেশ সময়: ০৯৪৭ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৪, ২০২৫
টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।