ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১০ বৈশাখ ১৪৩২, ২৪ এপ্রিল ২০২৫, ২৫ শাওয়াল ১৪৪৬

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

দেশের সীমান্ত পুরো রক্ষিত আছে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা 

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৩৪ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৩, ২০২৫
দেশের সীমান্ত পুরো রক্ষিত আছে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা  সভা শেষে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা 

চট্টগ্রাম: স্বরাষ্ট্র ও কৃষি মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেছেন, আরাকান ওই বর্ডারটা ডিফিকাল্ট বর্ডার। আমরা তো মিয়ানমারের সঙ্গে যোগাযোগ রাখি।

কিন্তু বর্ডারটা দখল করে আছে আরাকান আর্মি। এখন মিয়ানমার থেকে কিছু আমদানি-রপ্তানি করতে হলে মিয়ানমার সরকারকে ট্যাক্স দিতে হয় আবার আরাকান আর্মিতে যারা আছে তারাও পয়সা নিচ্ছে।
এখানে একটা সমস্যা আছে আপনাকে বুঝতে হবে। এটার সমাধানে চেষ্টা চলছে। আর সীমান্ত পুরোভাবে রক্ষিত আছে।

বুধবার (২৩ এপ্রিল) দুপুরে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে বিভাগের সকল জেলা প্রশাসক, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী ও বিভিন্ন দপ্তর-সংস্থার কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, এখন দেখতে হবে আরাকান আর্মি ফাইট করতেছে অনেকদিন যাবৎ। এদের অনেকে এপারে বিয়ে করে ফেলছে- এটা অস্বীকার করার কিছু নেই। কিন্তু যে হারে ভিডিওতে আসছে বিষয়টা তা নয়। টিকটক ভিডিও অনেকভাবে করা যায়। সবটা যে সত্য তা না আবার সবটা যে মিথ্যা তা-ও না। এটার ক্ষেত্রে আপনাকে ব্যালেন্স করতে হবে।

রাউজানে বেড়ে যাওয়া হত্যাকাণ্ড নিয়ে উপদেষ্টা বলেন, ফটিকছড়ি, রাউজান, পটিয়া ও সাতকানিয়া এলাকা হলো পাহাড় ও সমতল সংমিশ্রণ। এখানকার সমস্যা অন্যান্য এলাকার চেয়ে ডিফারেন্ট। আমরা এই ব্যাপারে আলাপ করছি, এখানে সন্ত্রাসীরা অপকর্ম করে পাহাড়ের দিকে চলে যায়। প্রকাশ্যে কেউ যদি করে থাকে আমি আপনাদের সামনে বলে গেলাম আইনানুযায়ী তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

যৌথবাহিনীর অভিযান নিয়ে তিনি বলেন, যৌথবাহিনীর অভিযান কোনো অবস্থায় কমেনি। বরং আপনাদের সাহায্য সহযোগিতার জন্য আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি উন্নতি হয়েছে।

গণমাধ্যমকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, যে ঘটনা ঘটে, সত্যি ঘটনা আপনারা অবশ্যই প্রকাশ করে দিবেন। তখন আমাদের কাজ করতে সুবিধা হয়। কিন্তু অনেক সময় আছে দুই একজন করে কি, ঘটনা সত্যি নয় কিন্তু প্রকাশ করে দেয়। সেসময় ইনভেস্টিগেশন করে দেখা যায় যে ঘটনা সত্যি নয় তখন অসুবিধা হয়। পাশ্ববর্তী দেশের সাংবাদিকরা এর সুবিধাটা নেয়। যেহেতু জানেন যে তারা মিথ্যা সংবাদ বেশি পরিবেশন করে।

অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমি পাহাড়ে তিনবার চাকরি করেছি। ক্যাম্প কমান্ডার ছিলাম, সিও ছিলাম ও বিগ্রেড কমান্ডার ছিলাম। পাহাড়ে অশান্ত তো আপনারা দেখেনই। এখন ওই তুলনা করতে গেলে পাহাড় এখন পুরোটাই শান্ত। এই ছোটখাটো অপহরণ আমাদের প্লেইন ল্যান্ডেও (সমতল) তো হচ্ছে। খালি পাহাড়ে কেন দোষ দেন। পাহাড় আগের থেকে অনেক ভালো অবস্থায় আছে, অনেক শান্ত আছে। আমি বাঘাইহাটে ছিলাম। সেখানে ল্যান্ডমাইন দিয়ে একসাথে পিকআপ উড়াই দিছে। তিনজন, চারজন করে মারা গেছে। সেসময় এই খবরগুলো আসেও নাই প্লাস ওই এলাকায় এক্সেসেবিলিটিও ছিল না। কিন্তু এখন তো পাহাড়ের অবস্থা এতো ভালো- আল্লাহই দিলে ওই রাস্তা দিয়ে আপনারা সাজেক চলে যাচ্ছেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৮৩০ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৩, ২০২৫ 
বিই/পিডি/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।