ঢাকা, সোমবার, ২২ আষাঢ় ১৪৩২, ০৭ জুলাই ২০২৫, ১১ মহররম ১৪৪৭

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

বর্ণাঢ্য তাজিয়া মিছিল চট্টগ্রামে

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০:৫৩, জুলাই ৬, ২০২৫
বর্ণাঢ্য তাজিয়া মিছিল চট্টগ্রামে ছবি: বাংলানিউজ

চট্টগ্রাম: পবিত্র আশুরা উপলক্ষে প্রতিবছরের মতো এবারও চট্টগ্রামে বেশ কয়েকটি বর্ণাঢ্য তাজিয়া মিছিল বের হয়েছে। কারবালার হৃদয় বিদারক ঘটনাবলি তুলে ধরে হয় রিকশাভ্যানে সাজানো প্রতীকী তাজিয়ায়।

সন্ধ্যার পর আলোকসজ্জিত তাজিয়াগুলো নজর কাড়ে পথচারীদের।  

রোববার (৬ জুলাই) বিকেলে নগরের খুলশী থানাধীন ওয়্যারলেস ঝাউতলা থেকে ‘সুন্নি তাজিয়া মিছিল’ ব্যানারে এক কিলোমিটার লম্বা মিছিল বের হয়।

কিশোর, তরুণ, যুবক, বৃদ্ধদের পাশাপাশি বিপুলসংখ্যক নারী শিশুকেও দেখা গেছে মিছিলে। আমবাগান, টাইগারপাস, নিউমার্কেট, কোতোয়ালী, লালদীঘি, ডিসি হিল, নূর আহমদ সড়ক, কাজীর দেউড়ি হয়ে আবার খুলশীতে ফিরে যায় মিছিলটি। নিউমার্কেট এলাকায় মিছিল পেরোতে সময় লাগে বেশ। এ সময় আশপাশের সড়কগুলোতে দেখা দেয় তীব্র যানজট।  

সরেজমিন দেখা গেছে, মিছিলে অংশগ্রহণকারীদের অনেকে রোজা রেখেছেন। শিশু-কিশোরদের মধ্যে বিতরণ করা হয় শরবত, বিরিয়ানি। মিছিলে কিশোরদের হাতে ঢোল-বাদ্য থাকলেও আগুন খেলা, শরীরে ধাতব ছোরা দিয়ে রক্তাক্ত করার দৃশ্য ছিল না এবার। সিএমপি গণবিজ্ঞপ্তি দিয়ে তাজিয়া মিছিলে দা, ছোরা, কাঁচি, বর্শা, বল্লম, তরবারি, লাঠি ইত্যাদি বহন এবং আতশবাজি ও পটকা ফোটানো সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করেছে। তাজিয়া মিছিলের সামনে পেছনে প্রচুর পুলিশ ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য দায়িত্ব পালন করেন।  

কথা হয় সুন্নি তাজিয়া মিছিলে থাকা আবদুল আলীর সঙ্গে। তিনি বলেন, কারবালার শোকাবহ ও হৃদয়বিদারক ঘটনার স্মরণে আশুরা আমাদের কাছে বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ। এই দিনে মহানবী হজরত মুহাম্মদ (স.) এর দৌহিত্র হজরত ইমাম হোসাইন (রা.) ফোরাত নদীর তীরে কারবালা প্রান্তরে শহীদ হন। সেই থেকে ত্যাগ ও শোকের প্রতীক হিসেবে দিবসটি পালন করা হয়।  

তিনি বলেন, আমরা সুন্দরভাবে তাজিয়া মিছিল সম্পন্ন করতে পেরেছি। আমাদের প্রার্থনা ন্যায়ের বিশ্ব হোক, শান্তির বিশ্ব হোক।  

পবিত্র আশুরা উপলক্ষে সকালে মার্সিয়া মিছিল বের করেছে শিয়া সম্প্রদায়। সদরঘাটের ইমামবাড়া থেকে মাওলানা মোহাম্মদ আমজাদ হোসেনের নেতৃত্বে মিছিলটি বের হয়। এ সময় ‘হায় হোসাইন, হায় হোসাইন’ ধ্বনিতে শোকের আবহ তৈরি হয়। একইসাথে মার্সিয়া ও শোকগীতি পড়েন শিয়ারা।  

এআর/পিডি/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।