ঢাকা, বুধবার, ৯ আশ্বিন ১৪৩২, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০১ রবিউস সানি ১৪৪৭

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

‘পরিচ্ছন্ন রাখি-চট্টগ্রাম নগরী'

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮:০১, সেপ্টেম্বর ২২, ২০২৫
‘পরিচ্ছন্ন রাখি-চট্টগ্রাম নগরী' ....

চট্টগ্রাম: পরিচ্ছন্নতা শুধু সিটি করপোরেশন বা সরকারের দায়িত্ব নয়; এটি আমাদের সবার বলে মন্তব্য করেছেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত, প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব।  

সোমবার (২২ সেপ্টেম্বর) চিটাগং ইন্ডিপেন্ডেন্ট ইউনিভার্সিটির (সিআইইউ) জামালখান ক্যাম্পাসে ‘পরিচ্ছন্নতা সচেতনতামূলক প্রচারাভিযান ২০২৫' উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।

চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের সহযোগিতা এবং সিআইইউ ও ইয়ংওয়ান করপোরেশনের যৌথ আয়োজনে এই সচেতনতামূলক কর্মসূচির প্রতিপাদ্য ‘পরিচ্ছন্ন রাখি-চট্টগ্রাম নগরী’।  

তিনি বলেন, বর্জ্যের শ্রেণি বিভাগ, সমন্বিত ব্যবস্থাপনা এবং জরিমানা ব্যবস্থা প্রবর্তনের পাশাপাশি সমাজের সব অংশের অংশগ্রহণে টেকসই বর্জ্য ব্যবস্থাপনা পদ্ধতি গ্রহণ করতে হবে।

পাশাপাশি সমাজে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা নিশ্চিত করা দরকার। জরিমানা ছাড়া বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ভালো হয় না।  

জরিমানা শুরু করলে নগর ব্যবস্থাপনা ও বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় আমরা একটা মানসম্মত উন্নয়ন দেখতে পাবো। মানুষ ইচ্ছেমতো যেখানে সেখানে বর্জ্য ফেলবে, আর সিটি করপোরেশন সারাদিন পরিষ্কার করতে থাকবে, এটা অসম্ভব। চট্টগ্রাম আমাদের দেশের একটা ইউনিক শহর। এখানে একটা সচেতন নাগরিক সমাজ আছে। এ নাগরিক সমাজ একেবারে প্রাণবন্ত এবং দায়িত্বশীল। তারা দায়িত্ব নিয়ে কাজ করেন।

তিনি বলেন, ঘনবসতিপূর্ণ শহরাঞ্চলে বর্জ্য ও আবর্জনা ব্যবস্থাপনা একটি অগ্রাধিকারের বিষয় হওয়া উচিত এবং এর সমাধানের জন্য তিনটি মূলনীতি -সহনীয়, পুনঃচক্র ও পুনঃব্যবহার করতে হবে। বর্জ্য ব্যবস্থাপনার শ্রেণি বিভাগ ছাড়া টেকসই ব্যবস্থাপনা করা সম্ভব নয় ।

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসকে বিশ্ব পরিবেশ দূত উল্লেখ করে ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, বর্জ্য ও আবর্জনা প্রশমন ইস্যুতে বাস্তবসম্মত সমাধান না পেলে শূন্য কার্বন নির্গমনের লক্ষ্য- যা তাঁর বহুল আলোচিত ‘থ্রি জিরো’ তত্ত্বের অন্যতম মূল উপাদান - সম্পূর্ণরূপে অর্জন করা সম্ভব নয়।

তিনি বলেন, সিটি করপোরেশনকেও নিজেদের আয় বাড়াতে হবে। সিটি করপোরেশন হোল্ডিং ট্যাক্স, ব্যবসা বিকাশসহ নানাখাতে আয় বাড়াতে পারে।

বিশেষ অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন এবং ইয়ংওয়ান করপোরেশন ও কোরিয়ান ইপিজেডের চেয়ারম্যান ও সিইও কিহাক সুং। তাঁরা নগরের সার্বিক উন্নয়নে সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্বের গুরুত্ব তুলে ধরেন।

সভাপতিত্ব করেন সিআইইউর উপাচার্য অধ্যাপক ড. এমএম নুরুল আবসার। স্বাগত বক্তব্য দেন সিআইইউ ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য সৈয়দ মাহমুদুল হক। উপস্থিত ছিলেন ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান লুৎফে এম আইয়ুব।

সিআইইউর সহকারী রেজিস্ট্রার রুমা দাশের সঞ্চালনায় বক্তব্য দেন দৈনিক আজাদী সম্পাদক এমএ মালেক, চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মোহাম্মদ নুরুল করিম, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের পরিচ্ছন্নতা বিভাগের প্রধান কমান্ডার ইখতিয়ার উদ্দিন আহমেদ চৌধুরী প্রমুখ।  

অনুষ্ঠানে নগর পরিচ্ছন্নতা বিষয়ে একটি প্রাঞ্জল ধারণাপত্র উপস্থাপন করেন সিআইইউ বিজনেস স্কুলের অধ্যাপক ড. মোসলেহ উদ্দিন চৌধুরী খালেদ। তিনি বলেন, নগরবাসীর সক্রিয় অংশগ্রহণ ছাড়া টেকসই পরিচ্ছন্নতা সম্ভব নয়। আমাদের প্রত্যেককে নিজ নিজ অবস্থান থেকে দায়িত্বশীল নাগরিক হিসেবে এগিয়ে আসতে হবে।

অনুষ্ঠান শেষে এক বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের হয়, যা সিআইইউ ক্যাম্পাস থেকে শুরু হয়ে শাহ ওয়ালিউল্লাহ ইনস্টিটিউট ও চেরাগি মোড় হয়ে পুনরায় ক্যাম্পাসে এসে শেষ হয়।

 

এআর/পিডি/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।