ঢাকা, রবিবার, ২৭ আশ্বিন ১৪৩১, ১৩ অক্টোবর ২০২৪, ০৯ রবিউস সানি ১৪৪৬

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

পাকিস্তান দূতাবাস বন্ধের দাবি নগর আ’লীগের

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৪৭ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৮, ২০১৩
পাকিস্তান দূতাবাস বন্ধের দাবি নগর আ’লীগের ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

চট্টগ্রাম: যুদ্ধাপরাধী কাদের মোল্লার ফাঁসি নিয়ে বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপের প্রতিবাদে পাকিস্তান দূতাবাস বন্ধ করে দেয়ার দাবি জানিয়েছে চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগ।

একইসঙ্গে যুদ্ধাপরাধীদের পক্ষ নেয়ার অভিযোগ এনে নোবেলজয়ী ড.ইউনূসেরও কঠোর সমালোচনা করেছেন সংগঠনটির নেতারা।

পাশাপাশি পাকিস্তানের পতাকা পুড়িয়েও প্রতিবাদ জানিয়েছে সংগঠনটি।

বুধবার দুপুরে এক প্রতিবাদ সমাবেশে সাবেক মেয়র ও নগর আওয়ামী লীগের সভাপতি এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরী বলেন, বাংলাদেশে যুদ্ধাপরাধের বিচার নিয়ে পাকিস্তানের সংসদে যে প্রস্তাব গৃহীত হয়েছে তা নিন্দনীয়, চরম ধৃষ্টতাপূর্ণ এবং একটি স্বাধীন দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে সরাসরি হস্তক্ষেপ।

পাকিস্তানকে তাদের কর্মকাণ্ডের জন্য ক্ষমা চাইতে হবে। অন্যথায় বাংলাদেশে তাদের দূতাবাস বন্ধ করে দিতে হবে।

নগরীর দারুল ফজল মার্কেটে দলীয় কার্যালয়ের সামনে আয়োজিত এ সমাবেশে মহিউদ্দিন আরও বলেন, পাকিস্তানে প্রতিদিন খুন-খারাবি হচ্ছে। তারা নিজের দেশের পরিস্থিতি সামাল দিতে পারছেনা অথচ অন্য দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে।

তিনি সরকারকে উদ্দেশ্য করে বলেন, পাকিস্তানের সঙ্গে সব সম্পর্ক ছিন্ন করুন। তাদের সঙ্গে কোন বন্ধুত্বের দরকার নেই। তারা আমাদের শত্রু। তাদের চ্যালেঞ্জ করার মত সাহস বাংলাদেশের মানুষের আছে।

মহিউদ্দিন পাকিস্তান সরকারকে উদ্দেশ্য করে বলেন, একাত্তর সালে আমরা একবার আপনাদের পরাজিত করেছি। এ পরাজয়ে আপনাদের শিক্ষা হয়নি। আপনাদের আবারও শিক্ষা দিতে বাংলাদেশের জনগণ প্রস্তুত আছে।

ড.ইউনূসের প্রসঙ্গ টেনে মহিউদ্দিন বলেন, আপনার মেধা আছে। আপনাকে আমরা সম্মান করি। কিন্তু জাতির জন্য কলংক হয়, এমন কোন কাজ করবেন না। এমন কোন কথা বলবেন না যাতে আপনার অসম্মান হয়। বাংলাদেশের স্বাধীনতার বিপক্ষে অবস্থান নিলে তিনি যে-ই হোক, যত সম্মানি মানুষই হোক, আমরা রুখে দাঁড়াব।

জাতিসংঘ মহাসচিব বান কি মুনের প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, একাত্তরেও আপনারা স্বাধীনতার বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছিলেন। বাংলাদেশে যুদ্ধাপরাধীর বিচার আইন অনুযায়ীই হচ্ছে। শুধু কাদের মোল্লা নয়, আইন মেনে সব যুদ্ধাপরাধীর শাস্তি কার্যকর হবে।

একই সমাবেশে নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দিন বলেন, কাদের মোল্লার ফাঁসি নিয়ে পাকিস্তানের ভূমিকা প্রমাণ করে দিয়েছে জামায়াত এখনও তাদের সঙ্গ ছাড়েনি। জামায়াতের মুখোশ পাকিস্তান খুলে দিয়েছে। জামায়াতের এদেশে রাজনীতি করার অধিকার নেই। জামায়াতকে যারা আশ্রয়-প্রশ্রয় দিচ্ছে সেই বিএনপিরও আর এদেশে রাজনীতি করার অধিকার নেই।

মহিউদ্দিনের সভাপতিত্বে এবং নগর আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক শফিকুল ইসলাম ফারুকের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন নগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট ইব্রাহিম হোসেন চৌধুরী বাবুল, সাংগঠনিক সম্পাদক নোমান আল মাহমুদ।

এসময় উপস্থিত ছিলেন নগর আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি অ্যাডভোকেট সুনীল কুমার সরকার, উপদেষ্টা শফর আলী, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বদিউল আলম, সাংগঠনিক সম্পাদক শফিক আদনান, সম্পাদকমন্ডলীর সদস্য-চন্দন ধর, মশিউর রহমান চৌধুরী, দেবাশীষ গুহ বুলবুল, আবদুল আহাদ, শহীদুল আলম, জহরলাল হাজারী, নগর শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক কাজী মাহবুবুল হক চৌধুরী এটলী, স্বেচ্ছাসেবক লীগের আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট মো. জিয়াউদ্দিন, নগর যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক ফরিদ মাহমুদ, দিদারুল আলম দিদার প্রমুখ।

সমাবেশ শেষে একটি বিক্ষোভ মিছিল নগরীর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৪৪ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৮,২০১৩

সম্পাদনা: তপন চক্রবর্তী, ব্যুরো এডিটর।

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।