ঢাকা, শনিবার, ৬ পৌষ ১৪৩১, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৮ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

মতপ্রকাশেও অলিখিত নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে সরকার: নোমান

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮২৯ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৪, ২০১৩
মতপ্রকাশেও অলিখিত নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে সরকার: নোমান ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

চট্টগ্রাম: দেশে বর্তমানে ফ্যাসিষ্ট সরকার বুদ্ধিজীবীদের মতপ্রকাশে অলিখিত নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমান।

তিনি বলেছেন,‘‘জাতির ক্রান্তিকালীন সময়ে বুদ্ধিজীবীরা তাদের সুচিন্তিত মতামত দিয়ে সংকট উত্তোরণে সহায়তা করে থাকেন।

কিন্তু বর্তমানে ‘ফ্যাসিষ্ট’ সরকার বুদ্ধিজীবীদের মত প্রকাশে অলিখিত নিষেধাজ্ঞা জারি করে গণতন্ত্র ও আইনের শাসন ভূলুণ্ঠিত করেছে। ’

শনিবার বিকেলে নগর বিএনপির দলীয় কার্যালয় নাসিমন ভবনের সামনের সড়কে বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায়  প্রধান অতিথির বক্তব্যে নোমান এসব কথা বলেন।

মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে নগর বিএনপির উদ্যোগে তিনদিন ব্যাপী এ বিজয় উৎসবের আয়োজন করা হয়েছে।

একাত্তরের মুক্তিযোদ্ধা আবদুল্লাহ আল নোমান বলেন,‘দেশে বর্তমানে রাজনৈতিক সংকট চলছে। এ বিষয়ে বিভিন্ন টক শো কিংবা সেমিনারে সরকারের গঠনমূলক সমালোচনা করলে বুদ্ধিজীবীদেরকে নানাভাবে হয়রানী ও অপদস্থ হতে হচ্ছে। যে গণতান্ত্রিক স্বাধীনতার জন্য বুদ্ধিজীবীরা প্রাণ হারিয়েছেন, তা এখন বিপন্ন। কিন্তু এ লক্ষ্য ব্যর্থ হলে বুদ্ধিজীবীদের আত্মত্যাগও ব্যর্থ হবে। ’

দেশকে ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করতে একটি মহাপরিকল্পনা প্রণয়নের ষড়যন্ত্র চলছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।

নোমান বলেন,‘লক্ষ প্রাণের বিনিময়ে অর্জিত এদেশে জনগণের ভোটাধিকার রক্ষার যে সংগ্রাম চলছে, তাকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার শ্রেষ্ঠ সময় হচ্ছে বিজয়ের মাস ডিসেম্বর। তাই সবাইকে বিজয়ের এই মাসে জনগণের নিরাপত্তা, অর্থনৈতিক মুক্তির জন্য ঐক্যবদ্ধভাবে আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। ’

সভায় দেশের স্বাধীনতা রক্ষার পাশাপাশি স্বাধীন, সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশকে স্বনির্ভর করে তোলার আহ্বান জানান তিনি।  

নোমান বলেন,‘জাতীয় উন্নয়নে আমরা বন্ধুরাষ্ট্র চাই কিন্তু কোন দেশের আধিপত্য বা খবরদারি মেনে নেবো না। কেননা এটাই হচ্ছে মুক্তিযোদ্ধাদের সবচয়ে বড় অহংকার এবং গর্ব। মুক্তিযোদ্ধারা ধ্বংস হয়ে যেতে পারে কিন্তু কখনো পরাজিত হবেন না। ’

নগর বিএনপির সহ-সভাপতি আবু সুফিয়ানের সভাপতিত্বে সভায় আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ড. মোহাম্মদ ইনামুল হক, বিএনপি’র কেন্দ্রীয় পরিবার পরিকল্পনা বিষয়ক সম্পাদক রোজী কবির, বিএনপি’র কেন্দ্রীয় সদস্য আনোয়ার হোসাইন, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাবেক সভাপতি প্রফেসর ড. আনম মুনীর আহমেদ চৌধুরী, প্রফেসর ড. সিদ্দিক আহমেদ চৌধুরী, বিশিষ্ট রাষ্ট্রবিজ্ঞানী প্রফেসর ড. হাসান মোহাম্মদ, পেশাজীবী সংগ্রাম পরিষদের সভাপতি ডা. খুরশিদ জামিল চৌধুরী, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক প্রফেসর ড. জাহিদ শিকদার, প্রফেসর ড. মোহাম্মদ আবদুল মান্নান, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় জিয়া স্মৃতি সংসদের সভাপতি প্রফেসর ড. শফিকুল ইসলাম এবং সাংবাদিক জাহিদুল করিম কচি প্রমুখ।

এছাড়া নগর বিএনপি’র সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী, সাবেক যুগ্ম সম্পাদক এমএ সবুর, অ্যাডভোকেট আবদুস সাত্তার, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক কাজী আকবর প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

আলোচনার আগে বিকেল ৩টায় নূর আহমেদ সড়কে বেলুন ও পায়রা উড়িয়ে বিজয় দিবস উপলক্ষে তিনদিন ব্যাপী বিজয় উৎসবের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন প্রধান অতিথি আবদুল্লাহ আল নোমান।

বাংলাদেশ সময়: ১৮২৬ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৪, ২০১৩
এমবিএম/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।