ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

অচিরেই বিজয়ী হবে গণ আকাঙ্খা

চট্টগ্রাম প্রতিদিন ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৫০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৫, ২০১৩
অচিরেই বিজয়ী হবে গণ আকাঙ্খা

চট্টগ্রাম: স্বৈরাচার, অর্থনৈতিক শোষণ লুণ্ঠনের বিরুদ্ধে গণতন্ত্র আর স্বাধীনতার লক্ষ্যে মুক্তিযদ্ধের বিজয়ের এ মাসে আওয়ামী লীগ নির্বাচনের নামে ইতিহাসের সবচেয়ে ঘৃণিত ও জঘন্য উপহাস প্রদর্শন করেছে। নির্বাচনের নামে সরকার আর নির্বাচন কমিশনের যৌথ প্রযোজনায় যে নাটক মঞ্চস্থ করা হচ্ছে তাতে আজ বেঁচে থাকলে গণতন্ত্রের প্রবক্তা প্লেটো, এরিস্টটল, সক্রেটিস আর ফ্যাসিবাদের ধ্বজা হিটলার-মুসোলিনিরাও লজ্জা পেতেন।

রোববার সকালে বাংলাদেশ সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদ চট্টগ্রামের উদ্যোগে নগরীর নুর আহমদ সড়কের সিএমইউজে মিলনায়তনে আয়োজিত এক পেশাজীবী সমাবেশে এসব কথা বলেন বক্তারা।

নির্দলীয় সরকারের অধীনে গ্রহণযোগ্য নির্বাচন, বন্ধ গণমাধ্যম খুলে দেয়া, দেশব্যাপী হত্যা-নির্যাতন বন্ধ ও   জাতীয় নেতৃবৃন্দের মুক্তি, দৈনিক আমার দেশ সম্পাদক মাহমুদুর রহমানের মুক্তির দাবীতে এ সমাবশের আয়োজন করা হয়।

প্রবীণ আইনজীবি ও বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের সদস্য এডভোকেট কবীর চৌধুরীর সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন- বিএফইউজের সহ সভাপতি মো. ইসকান্দর আলী চৌধুরী, অধ্যাপক আ ন ম মুনির আহমদ চৌধুরী, প্রকৌশলী কে এম সুফিয়ান। সমাবেশ সঞ্চালনা করেন পেশাজীবী পরিষদের সদস্য সচিব ডা. খুরশীদ জামিল।

সমাবেশে বক্তারা বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও গণতন্ত্রকামী জনতার চলমান অবিনাশী সংগ্রামের মুখে অতীতের মত দেশে ফ্যাসিবাদ ও একদলীয় শাসন কায়েমের যে কোন চক্রান্ত ব্যর্থ হতে বাধ্য। অচিরেই বিজয়ী হবে গণ আকাঙ্খা, কুপোকাত হবে ফ্যাসিবাদ।

তারা  বলেন, দেশে আজ গণতন্ত্র, মানবাধিকার, সংবাদপত্র , বিচার বিভাগের স্বাধীনতা, গণমুখী নির্মোহ প্রশাসন বলতে দেশে এখন কোন কিছুই আর অবশিষ্ট নেই। একদলীয় শাসন কায়েম আর সাজানো নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের ভোটাধিকার লুণ্ঠনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদরত মানুষের সংগ্রামকে নাশকতা, সহিংসতা আর বিশৃঙ্খলা আখ্যা দিয়ে সরকার নির্বিচারে মানুষ হত্যা করছে। হত্যা, ধ্বংসযজ্ঞ, নৈরাজ্য, দমন-পীড়নের পরিনতি কোন কালে ভাল ফলাফল বয়ে আনেনি।

পেশাজীবী নেতারা বলেন, দেশে চলমান সহিংসতা ও রাজনৈতিক অচলাবস্থার জন্য শেখ হাসিনার সরকারই দায়ী। কারন, সংসদীয় সংখ্যাগরিষ্ঠতার সুযোগ নিয়ে আদালতের রায়ের সুবিধাজনক অংশ বাস্তবায়নের নামে সর্বদল গ্রহনযোগ্য তত্ত্বাবধায়ক সরকার বাতিল করে এবং শেখ হাসিনা ক্ষমতার দন্ডমুন্ডে অধিষ্ঠিত থেকে একটি সাজানো নির্বাচন অনুষ্ঠানের গণবিরোধী প্রত্যাশা থেকেই মুলত আজকের সংকটের জন্ম।

তারা বলেন, সিইসি কাজী রকিবের মাধ্যমে হাস্যকর, পাতানো নির্বাচন প্রক্রিয়া, মধ্যরাতে সাবেক রাষ্ট্রপতি এরশাদকে অসুস্থতার নাম করে র‌্যাব দিয়ে সিএমএইচে নিয়ে আটকে রাখা, সরকারের পৃষ্টপোষকতায় তার দীর্ঘদিনের মিত্র জাতীয় পার্টিতে ভাঙ্গন ধরানোর নির্লজ্জ প্রচেষ্টা তার নির্জলা উদাহরন।

বক্তারা অবিলম্বে প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ ও নির্দলীয় সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর, হত্যা, নির্যাতন বন্ধ ও সাজানো, পাতানো নির্বাচনী খেলা বন্ধ করে সবদলের অংশগ্রহনে সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবশে সৃষ্টি, দৈনিক আমার দেশ, চ্যানেল ওয়ান, দিগন্ত , ইসলামিক টিভি বন্ধের আদেশ প্রত্যাহার, মাহমুদুর রহমানসহ সকল জাতীয় নেতৃবৃন্দের মৃক্তির দাবী জানান।

সমাবেশে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন আইনজীবী নেতা অ্যাডভোকেট হায়দার মোহাম্মদ সোলায়মান, অ্যাডভোকেট আফসার উদ্দিন, শিক্ষক নেতা অধ্যাপক নসরুল কদির, মেসবাউল আলম, সাংবাদিক নেতা জাহিদুল করিম কচি, শামসুদ্দিন হারুন, মোহাম্মদ শাহ নেওয়াজ, মিজানুর রহমান চৌধুরী, সালেহ নোমান, প্রকৌশলী ওসিউর রহমান, প্রকৌশলী জানে আলম মো. সেলিম, চিকিৎসক নেতা ডা. মোহাম্মদ ঈসা চৌধুরী এবং ডা. মোনায়েম ফরহাদ।

বাংলাদেশ সময়: ১৮৩২ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৫, ২০১৩

পিআর/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।