চট্টগ্রাম: হেমন্ত পেরিয়ে শীতের শুরুতেই বন্দরনগরীসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ঝেঁকে বসছে শীত। গত দু’দিন ধরে শীতের আমেজ শৈত্যপ্রবাহের আভাস নিয়ে আসছে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদরা।
সোমবার আবহাওয়া অধিদপ্তরের পতেঙ্গা অফিসের পূর্বাভাস কর্মকর্তা বিশ্বজিৎ চৌধুরী বাংলানিউজকে বলেন,‘চট্টগ্রামে কিছুটা শীতের আমেজ পড়লেও পৌষের প্রথম দিকে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের ওপর দিয়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বইছে।
সোমবার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে,পাবনা, যশোর, কুষ্টিয়া ও শ্রীমঙ্গলে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। এ সময় রাজশাহী, রংপুর, ঢাকা ও সিলেট বিভাগে হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে।
সারা দেশে রাত ও দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে বলে উল্লেখ করা হয় এতে।
বিশ্বজিৎ চৌধুরী জানান, সোমবার দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড হয় শ্রীমঙ্গলে ৮ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। চট্টগ্রামে সর্বোচ্চ ২৬ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং সর্বনিম্ন ১৫ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে।
আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে জানিয়ে তিনি বলেন,‘এ মাসে রাতের তাপমাত্রা ধীরে ধীরে কমবে। চট্টগ্রাম অঞ্চলে উত্তর-পূর্ব দিক থেকে বায়ু প্রবাহ সক্রিয় হলে শৈত্যপ্রবাহ বাড়তে পারে। বর্তমানে যে শীত বইছে তা তার আভাস দিচ্ছে। ’
এছাড়া ডিসেম্বরের শেষের দিকে দেশের উত্তর, উত্তর-পূর্বাঞ্চল ও মধ্যাঞ্চলে এক থেকে দুটি মৃদু অথবা মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে বলে জানান আবহাওয়ার পূর্বাভাস কর্মকর্তা বিশ্বজিৎ।
পূর্বাভাসে বলা হয়, এ মাসের শেষে বঙ্গোপসাগরে একটি নিম্নচাপ সৃষ্টি হতে পারে। এর প্রভাবে দেশের উত্তর, উত্তর-পূর্বাঞ্চল, মধ্যাঞ্চল ও নদী অববাহিকায় মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা এবং অন্যান্য স্থানে হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়ার সম্ভাবনা আছে।
তবে জানুয়ারি থেকে শীতের তীব্রতা বাড়তে পারে বলে উল্লেখ করা হয় ওই পূর্বাভাস বার্তায়।
এদিকে শীতকে কেন্দ্র করে জমতে শুরু করেছে বন্দরনগরীর শীতবস্ত্রের বাজার। হকার্স থেকে শুরু করে সব মার্কেটেই এখন শীত-পোশাক কেনায় ব্যস্ত ক্রেতারা।
তবে শীত ঝেঁকে বসতে শুরু করায় নগরীসহ এর আশপাশের ছিন্নমূল মানুষের দুর্ভোগ বাড়ছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৩২ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৬, ২০১৩
সম্পাদনা: তপন চক্রবর্তী, ব্যুরো এডিটর।