চট্টগ্রাম: ছয় বছরের শ্যালিকাকে ধর্ষণের পর শ্বাসরোধ করে হত্যা করে শ্বাশুড়ির অপমানের প্রতিশোধ নিয়েছে মো.শাকিল (১৯) নামে এক পাষণ্ড যুবক।
গত ১৩ ডিসেম্বর নির্মমভাবে খুন হয় ছয় বছরের শিশু সোনিয়া।
গ্রেপ্তারের পর শাকিল ধর্ষণ ও হত্যাকাণ্ডের কথা স্বীকার করেছে। এরপর বুধবার বিকেলে শাকিলকে আদালতে হাজিরের পর সে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে।
হালিশহর থানার ওসি শাহজাহান ভূঁইয়া বাংলানিউজকে বলেন, শাকিল খুন করে লাশ বস্তায় ফেলে রেখে ঢাকায় চলে যায়। আমরা প্রথমেই শাকিলের বিষয়ে সন্দেহ করেছিলাম। তদন্তের সময় ঘটনাস্থলে একটি বোতাম পাই। ওই বোতামের সঙ্গে শাকিলের প্যান্টের বোতাম মিলে যায়।
‘এরপর মঙ্গলবার রাতে শাকিল ঢাকা থেকে হালিশহরে ফিরে আসার পর তাকে আমরা গ্রেপ্তার করি। ’
সূত্র জানায়, শাকিল নিহত সোনিয়া আক্তারের বড় বোন রুনা আক্তারের স্বামী। সে আগ্রাবাদ এলাকায় এটিডি গার্মেণ্টস নামে একটি পোশাক কারখানায় চাকুরি করে। ঘরজামাই হিসেবে শ্বশুড়বাড়িতে থাকা শাকিলকে কিছুদিন আগে সোনিয়ার মা এলাকার লোকজনের সামনে টাকাপয়সা নিয়ে অপমান করে। এরপর থেকেই শাকিল অপমানের প্রতিশোধ নেয়ার ফন্দি আঁটতে থাকে।
পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে শাকিল জানায়, গত ১৫ ডিসেম্বর শুক্রবার দুপুরে শাকিল ও রুনা বাসায় ছিল। শাকিলের শ্বশুড় রিক্সা নিয়ে বাইরে বের হয়েছিল এবং শ্বাশুড়ি বাসায় কাজ করতে গিয়েছিল। রুনা পাশের বাসায় বসে টিভি দেখছিল।
এ সুযোগে আসামী শাকিল সেনিয়াকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। ধর্ষণের এক পর্যায়ে সোনিয়া অজ্ঞান হইয়া পড়লে শাকিল রশি দিয়ে তার গলা পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। এরপর তার লাশ একটি সাদা প্লাস্টিকের বস্তায় ভরে নেয়।
ওসি জানান, জুম্মার নামাজের কারণে রাস্তাঘাট ফাঁকা থাকায় শাকিল সোনিয়ার লাশ নিয়ে পায়ে হেঁটে রঙ্গীপাড়া মাছ বাজার এলাকায় নিয়ে যায়। সেখান থেকে রিক্সাযোগে হালিশহর শারীরিক শিক্ষা কলেজের পাশে নিয়ে যায়।
নামাজের কারণে এলাকা ফাঁকা থাকায় সেখানেই লাশ ফেলে বাসায় ফিরে যায় শাকিল। রাতে শাকিল ঢাকায় চলে যায় বলে জানান ওসি।
এ ঘটনায় সোনিয়ার মা বাদি হয়ে হালিশহর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮১৮ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৮,২০১৩
সম্পাদনা: তপন চক্রবর্তী, ব্যুরো এডিটর।