ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

পাকিস্তানের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থার দাবি

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১১৪ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৯, ২০১৩
পাকিস্তানের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থার দাবি

চট্টগ্রাম: শুধু ক্ষমা প্রার্থনা নয়, পাকিস্তানের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থার জোর দাবি জানিয়েছেন চট্টগ্রামের মানুষ। জাতি সংঘ, কমনওয়েলথসহ আন্তর্জাতিক সংঘ বা প্রতিষ্ঠানগুলোকে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থার দাবি তাদের।

 

পেশাজীবী সমন্বয় পরিষদ, চট্টগ্রাম এর উদ্যোগে আয়োজিত এক সমাবেশে এ দাবি তোলা হয়। বৃহস্পতিবার বিকেলে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সামনে এ মানববন্ধন ও সমাবেশের আয়োজন করা হয়।



সমাবেশে একই সঙ্গে ঢাকায় পাকিস্তান এ্যাম্বেসি ঘেরাওকালে গণজাগরণ মঞ্চকে বাধা প্রদান, তারানা হালিম এমপিসহ গণজাগরণের নেতাকর্মীদের ওপর লাঠি চার্জের নিন্দাও জানানো হয়।  

পেশাজীবী সমন্বয় পরিষদ চট্টগ্রামের সভাপতি প্রফেসর ডা. একিউএম সিরাজুল ইসলামের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক সাংবাদিক রিয়াজ হায়দার চৌধুরীর সঞ্চালনায় সমাবেশ বক্তব্য রাখেন পেশাজীবী সমন্বয় পরিষদের সহসভাপতি প্রকৌশলী একেএম ফজলুলাহ, চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়নের (সিইউজে) সভাপতি শহীদ উল আলম, সিজেকেএস সাধারণ সম্পাদক রাজনীতিবিদ আ জ ম নাছির উদ্দিন, পেশাজীবী নেতা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন চট্টগ্রামের প্রাক্তন সভাপতি প্রকৌশলী মোহাম্মদ হারূন, পেশাজীবী নেতা মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক গবেষক চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) সমাজ বিজ্ঞান অনুষদের প্রাক্তন ডীন প্রফেসর ড. গাজী সালেহ উদ্দিন, বর্তমান ডীন হোসাইন কবির, চবি শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ড. মোহাম্মদ সেকান্দর চৌধুরী  প্রেসক্লাব সাধারণ সম্পাদক মহসীন চৌধুরী, রাজনীতিবিদ অ্যাড. সুনীল সরকার, পেশাজীবী নেতা প্রকৌশলী সাদেক মোহাম্মদ চৌধুরী, প্রকৌশলী এম এ রশিদ, ড. বেণু কুমার দে, সিইউজের প্রাক্তন সভাপতি অঞ্জন কুমার সেন, নির্মল চন্দ্র দাশ, টেলিভিশন সাংবাদিক ফোরামের সাধারণ সম্পাদক চৌধুরী ফরিদ, সিইউজের সাংগঠনিক সম্পাদক ফারুক তাহের, নারী নেত্রী জেসমিন সুলতানা পারু, আবৃত্তিকার মিলি চৌধুরী, সংগঠক মনিকা ভট্টচার্য্য, শিল্পী শাহরিয়ার খালেদ, পেশাজীবী সমন্বয় পরিষদের যুগ্ম-সম্পাদক রাশেদ হাসান, অর্থ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মেজবাহ উদ্দিন চৌধুরী প্রমুখ।  

সমাবেশ থেকে ৭১’র মতই আরেক নতুন যুদ্ধে পাকিস্তানী শকুন ও তাদের দোসরদের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক ও সামাজিক প্রতিরোধ গড়ে তোলার আহবান জানানো হয়।

সমাবেশে বক্তারা দেশজুড়ে পাকিস্তানী এজেন্টদের নৈরাজ্য সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেন,‘প্রগতির জয় হবেই। অতীতেও কোন প্রতিক্রিয়া জয়ী হয়নি। এখনও হবে না। এজন্য সবাইকে ঐক্যবদ্ধ ও সচেতন হয়ে তাদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে। ’

দেশ এবং মানুষের নিরাপত্তার জন্য রাজনীতির নামে নৈরাজ্য সৃষ্টিকারী সংগঠন ও জড়িতদের বিরুদ্ধে যথার্ত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সরকারের কাছে দাবি জানান পেশাজীবী নেতারা।

তাঁরা বলেন,‘দেশের সার্বিক পরিস্থিতিতে মনে হচ্ছে আমরা একাত্তরে ফিরে গেছি। এক নতুন যুদ্ধে উপনীত হয়েছি। এ যুদ্ধ মানবতার পক্ষে সন্ত্রাসের বিপক্ষে। স্বাধীনতা বিরোধী যুদ্ধাপরাধী ও তাদের প্রভু পাকিস্তানী দোসরদের বিপক্ষে। জাতি একাত্তরে ফিরে যেতে চায় না। নিজের অস্তিত্বকে টিকিয়ে রাখতে এই যুদ্ধে জয়ী হতেই হবে। আমরা জয়ী হব। ’

বাংলাদেশ সময়:২১০০ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৯, ২০১৩
সম্পাদনা: তপন চক্রবর্তী, ব্যুরো এডিটর    

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।