ঢাকা, শুক্রবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

পাকিস্তানের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্নের দাবি গণজাগরণ মঞ্চের

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৪১ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২০, ২০১৩
পাকিস্তানের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্নের দাবি গণজাগরণ মঞ্চের ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

চট্টগ্রাম: পাকিস্তানের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্নের দাবি জানিয়েছে চট্টগ্রামের গণজাগরণ মঞ্চ। জাতীয় পতাকা হাতে হাজারো জনতার মিছিল থেকে এ দাবি জানানো হয়।

একই সঙ্গে বাংলাদেশে পাকিস্তানের সব ধরণের পণ্য বর্জন ও জামায়াতের রাজনীতি নিষিদ্ধের দাবিও জানানো হয়।

শুক্রবার বিকেলে নগরীর চেরাগী পাহাড় মোড় থেকে শুরু হয়ে মিছিলটি নগরীর মোমিন রোড, আন্দরকিল্লা, লালদীঘি , কোতোয়ালী মোড় হয়ে নিউমার্কেট মোড়ে গিয়ে শেষ হয়।



মিছিল শেষে নিউমার্কেট মোড়ে অনুষ্ঠিত সংক্ষিপ্ত সমাবেশ থেকে পাস্তিানের পতাকা পুড়িয়ে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে জনতা।

শুক্রবার বিকাল তিনটার দিকে নগরীর চেরাগী পাহাড় মোড়ে জমায়েত শুরু হয়। জমায়েত থেকে আগামী শুক্রবার সব যুদ্ধাপরাধীর বিচারের রায় কার্যকরের দাবিতে সমাবেশের ঘোষণা দেয়া হয়।

‘পাকিস্তানি ধৃষ্টতার দাঁতভাঙ্গা জবাব দাও, কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন কর’ শ্লোগান নিয়ে শুরু হয় মুক্তিযোদ্ধা, ছাত্র-জনতা ও শ্রমিকদের জমায়েত। সেখানে গণসঙ্গীত পরিবেশন করে উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী ও আবৃত্তি পরিবেশন করে প্রমা।

নগরীর বিভিন্ন এলাকা থেকে বিকেল ৩টা থেকেই জাতীয় পতাকা হাতে সমবেত হতে থাকে বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ ও সাধারণ ছাত্র-জনতা।

জমায়েতে অংশ নেয়াদের হাতে ছিল পাকিস্তানবিরোধী নানা ব্যানার ও ফেস্টুন। পাশাপাশি ‘পাকিস্তানের পতাকা এই বাংলায় উড়বে না’, ‘পাকিস্তানের বন্ধু যারা বাংলাদেশের শত্রু তারা’, ‘রাজাকারের বন্ধু যারা বাংলাদেশের শত্রু তারা’ শ্লোগান দিতে থাকে উপস্থিত জনতা।

বিকাল সোয়া চারটার দিকে শুরু হয় জাতীয় পতাকা মিছিল। মিছিলে অংশ নেয়া অধিকাংশ মানুষের হাতে ছিল নানা আকারের জাতীয় পতাকা। মিছিল শেষে নিউমার্কেট মোড়ে অনুষ্ঠিত সংক্ষিপ্ত  সমাবশে গণজাগরণ মঞ্চ চট্টগ্রামের সদস্য সচিব ডা. চন্দন দাশ বলেন, পাকিস্তান একটি ব্যর্থ রাষ্ট্র। জামায়াতে ইসলামীর মাধ্যমে বাংলাদেশে পাকিস্তান তাদের রাজত্ব প্রতিষ্ঠা করতে চায়। জামায়াতের রাজনীতি নিষিদ্ধ না হওয়া পর্যন্ত এবং সব যুদ্ধাপরাধীর রায় কার্যকর না হওয়া পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন চলবে।

গত বৃহস্পতিবার রাজধানীতে গণজাগরণ মঞ্চের কর্মসূচিতে পুলিশী হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়ে জড়িতদের বিচারের দাবি জানান ডা. চন্দন দাশ।

আগামী শুক্রবার নগরীর চেরাগী পাহাড় মোড়ে সমাবেশের ঘোষণা দিয়ে গণজাগরণ মঞ্চের সমন্বয়ক শরীফ চৌহান বলেন, যে কোনো পরিস্থিতিতে আন্দোলনের জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে।

পতাকা মিছিলে উপস্থিত ছিলেন শহীদ জায়া বেগম মুশতারী শফী, মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার ও সিপিবির প্রেসিডিয়াম সদস্য মো. শাহ আলম, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের পূর্বাঞ্চলের উপদেষ্টা মৃণাল চৌধুরী, দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান, ওয়ার্কাস পার্টির চট্টগ্রাম জেলা সম্পাদক অ্যাডভোকেট আবু হানিফ, গণতন্ত্রী পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য তাজুর মুল্লুক, নারী নেত্রী নূরজাহান খান, তেল গ্যাস বিদ্যুৎ বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটির চট্টগ্রামের সদস্য সচিব প্রকৌশলী দেলোয়ার মজুমদার, বাকবিশিস কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ মো. জাহাঙ্গীর, শিক্ষক নেতা অধ্যাপক অশোক সাহা, বাকবিশিস সভাপতি উত্তম চৌধুরী, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক হোসাইন কবির ও ওমর ফারুক রাসেল, জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক হাসান ফেরদৌস ও চৌধুরী ফরিদ, নারীনেত্রী জেসমিন সুলাতনা পারু, নারীনেত্রী রেখা চৌধুরী, জেলা পিপি আবুল হাশেম, খেলাঘর মহানগরীর সাধারণ সম্পাদক প্রকৌশলী রুপক চৌধুরী, প্রমা অবৃত্তি সংগঠনের সভাপতি রাশেদ হাসান, উদীচী চট্টগ্রাম জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক সুনীল ধর।

এছড়া প্রত্যয় ৭১ এর সভাপতি সাইফুদ্দিন খালেদ বাহার ও সাধারণ সম্পাদক লুবনা হারুন, যুবলীগ কেন্দ্রীয় সদস্য জাহেদুর রহমান সোহেল, যুব ইউনিয়ন সভাপতি আরিফ উল্লাহ হাই, যুব মৈত্রীর সাধারণ সম্পাদক কায়সার আলম, যুবলীগ নেতা সনৎ বড়ুয়া ও জিসান বড়ুয়া, ছাত্র ইউনিয়ন সভাপতি রবিউল হোসেন, ছাত্র ফ্রন্ট সভাপতি আল কাদেরী জয়, ছাত্র মৈত্রীর সভাপতি ফারুক আহমেদ রুবেল, জনউদ্যোগের সমন্বয়ক শ্যামল মজুমদার, সাম্প্রদায়িকতা বিরোধী তরুণ উদ্যোগের যুগ্ম আহ্বায়ক শ্যামল ধর, ইউসুফ সোহেল, প্রিন্স রুবেল ও প্রীতম দাশ প্রমুখ।

সমাবেশে সংহতি জানায়, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি), যুবলীগ, যুব ইউনিয়ন, যুব মৈত্রী, ন্যাপ-কমিউনিস্ট পার্টি-ছাত্র ইউনিয়ন গেরিলা মুক্তিযোদ্ধা ইউনিট, সাম্প্রদায়িকতা বিরোধী তরুণ উদ্যোগ, আমরা মুক্তিযোদ্ধার সন্তান, প্রত্যয় ৭১, ছাত্র ইউনিয়ন, ছাত্র মৈত্রী, ছাত্র ফ্রণ্ট, উদীচী, খেলাঘর, প্রমা ও বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠন।

বাংলাদেশ সময়:১৯১০ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২০, ২০১৩

সম্পাদনা: তপন চক্রবর্তী, ব্যুরো এডিটর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।