ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৫ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ মে ২০২৪, ০০ জিলকদ ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

চট্টগ্রামে পৌঁছেনি মাধ্যমিকের ২৬ শতাংশ নতুন বই

মাহবুব আলম,স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০১৩ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৩, ২০১৩
চট্টগ্রামে পৌঁছেনি মাধ্যমিকের ২৬ শতাংশ নতুন বই ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

চট্টগ্রাম: নতুন বছরের প্রথমদিনে শিক্ষার্থীদের হাতে বিনামূল্যের পাঠ্যপুস্তক প্রদানের কথা থাকলেও চট্টগ্রাম অঞ্চলের সাত জেলায় এখনও ২৬ শতাংশ বই পৌঁছেনি। এছাড়া দাখিল ভোকেশনালের বরাদ্দ অনুযায়ী কোন পুস্তকই আসেনি।



এজন্য সহিংস কর্মসূচিতে যানবাহন সংকটকে দায়ী করে কর্মকর্তারা বলছেন, নির্দিষ্ট সময়ের আগেই এসব বই পৌঁছে যাবে। তবে এরইমধ্যে অবরোধের মধ্যে নাশকতা এড়াতে নানা কৌশলে সংশ্লিষ্টদের কাছে বই বিতরণ করা হয়েছে।


তবে জেলায় প্রাথমিক স্তরের শতভাগ বই এরইমধ্যে বিভিন্ন উপজেলায় পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট বিভাগ।  

মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা পরিদপ্তরের চট্টগ্রাম অঞ্চলের উপ-পরিচালক মো. আজিজ উদ্দিন বলেন, মাঠ পর্যায়ে ৬২ টি উপজেলা ও নগরীর ৬টি থানা আছে। অবরোধের মধ্যে নাশকতা এড়াতে কিছুটা ভিন্ন কৌশলে সংশ্লিষ্টদের কাছে বই বিতরণ করা হয়েছে। ’

উল্লেখ্য, মহাজোট সরকার ক্ষমতায় আসার পর গত দু’বছর ধরে ১ জানুয়ারি বই উৎসব পালন করে আসছে। তবে এবার নির্বাচনকালীন সরকারের সময়ে পহেলা জানুয়ারি সরকারি ছুটির দিন থাকায় বছরের প্রথম কর্ম দিবসে সারা দেশে প্রথম থেকে নবম শ্রেণী পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের হাতে বিনামূল্যে বই তুলে দেয়া হবে।

মাউশি চট্টগ্রাম কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ২০১৪ সালের জন্য এ অঞ্চলের ফেনী, নোয়াখালী, কক্সবাজার, বান্দরবান, রাঙ্গামাটি, খাগড়াছড়ি এবং চট্টগ্রামসহ সাত জেলায় চাহিদা অনুসারে মাধ্যমিকে (ইংরেজি মাধ্যমসহ) ১৫ কোটি ১ লাখ ৫ হাজার ৩২৫, দাখিলে ৩৮ লাখ ৩০ হাজার ২শ’ ৩৬, এবতেদায়ী ২৩ লাখ ৫৩ হাজার ৯শ’ ১৬ বই বরাদ্দ দিয়েছে এনসিটিবি।

এছাড়া এসএসসি ভোকেশনালের এ অঞ্চলের চট্টগ্রাম, খাগড়াছড়ি, বান্দরোন ও ফেনীতে ৩৭ হাজার ২৬০ এবং দাখিল ভোকেশনালে দুই জেলায় (ফেনী ও বান্দরবান) ১ হাজার ২শ’ বই বরাদ্দ দেয়া হয়।

এরমধ্যে রোববার পর্যন্ত পাঠ্যপুস্তকের হালনাগাদ তথ্যানুসারে মাধ্যমিক পর্যায়ের (বাংলা ও ইংরেজি মাধ্যম) ৭৬ শতাংশ, দাখিল ১৪ শতাংশ এবং এবতেদায়ী ২১ শতাংশ বই পাওয়া গেছে।

মাউশি চট্টগ্রাম কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মো. আজিজ উদ্দিন বাংলানিউজকে বলেন,‘বিভিন্ন জেলায় বই পৌঁছেছে। যা এখনও আমাদের কাছে হালনাগাদ তথ্য আসেনি। তবে রোববার পর্যন্ত মাধ্যমিকের ৭৬ শতাংশ বই পৌঁছানো হয়েছে। ’

এদিকে এ পর্যন্ত চট্টগ্রাম জেলায় চাহিদার ৮২ শতাংশ বই পৌঁছেছে বলে জানিয়েছেন জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা হোসনে আরা বেগম।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, চট্টগ্রামে শতভাগ প্রাথমিকের বই এরইমধ্যে বিভিন্ন উপজেলা ও বিদ্যালয়ে পৌঁছলেও এ বিভাগের ১১টি জেলায় পাঠানো হয়েছে প্রায় ৯৭ শতাংশ। তবে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে বাকি বই পৌঁছাবে বলে কর্মকর্তারা আশা প্রকাশ করেছেন।

প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের চট্টগ্রাম বিভাগীয় কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মো. মাহবুবুর রহমান বিল্লাহ বাংলানিউজকে বলেন,‘সোমবার পর্যন্ত চট্টগ্রাম বিভাগের ১১ টি জেলায় প্রায় ৯৮ শতাংশ বই উপজেলা পর্যায়ে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। বাকিগুলোও নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে চলে যাবে। ’

জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা গেছে, নগরীর বিভিন্ন থানা ও চট্টগ্রামের উপজেলায় ৫৩ লক্ষ ১৩ হাজার ৫১৩ কপি বইয়ের চাহিদা অনুযায়ী জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি) কাছে বরাদ্দ চাওয়া হয়। এরমধ্যে  ৫৩ লাখ ১২ হাজার ৭৯২ টি বই পৌঁছেছে।

চট্টগ্রাম জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা নাসরিন সুলতানা বাংলানিউজকে বলেন,‘নগরী ও জেলার ১৪টি উপজেলায় ইতোমধ্যে শতভাগ বই সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের পৌঁছে গেছে। বছরের প্রথম কর্ম দিবসেই খুদে শিক্ষার্থীদের হাতে নতুন বই তুলে দেয়া হবে। ’

আসেনি দাখিল ভোকেশনালের বই:
২০১৪ সালের জন্য চট্টগ্রাম অঞ্চলের সাতটি জেলায় দাখিল ভোকেশনালের কোন সুনির্দিষ্ট বরাদ্দ চাওয়া হয়নি। মাত্র দুটি জেলায় (বান্দরবান ও ফেনী) মাত্র ৬শ’ করে বইয়ের বরাদ্দ চাওয়া হয়েছে। তবে কোন বই-ই এখনও পর্যন্ত সংশ্লিষ্ট এলাকায় পাঠানো হয়নি।

প্রসঙ্গত, ১৯৯৫ সালের পর গতবছর পাঠ্যবইয়ের শিক্ষাক্রম পরিবর্তন করা হয়। যেখানে জাতীয় শিক্ষানীতির আলোকে প্রথম থেকে অষ্টম শ্রেণী পর্যন্ত সব ধারার শিক্ষার্থীদের (সাধারণ, মাদ্রাসা এবং ইংরেজি মাধ্যমসহ) বাংলা, ইংরেজি, গণিতসহ বিভিন্ন আবশ্যিক বিষরয় অভিন্ন পদ্ধতিতে পড়ানো হচ্ছে।  

বাংলাদেশ সময়: ১৪৪২ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৩, ২০১৩
সম্পাদনা: তপন চক্রবর্তী, ব্যুরো এডিটর।

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।