চট্টগ্রাম: বসন্তের মৌতাতে জাগে জীবনের জয়গান স্লোগানে প্রমা বসন্ত উৎসব উদযাপিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিকেলে চট্টগ্রাম জেলা শিল্পকলা একাডেমি প্রাঙ্গণে বেলুন উড়িয়ে এ উৎসবের উদ্বোধন করেন দৈনিক আজাদীর সম্পাদক এমএ মালেক।
এসময় ভারতীয় সহকারী হাই কমিশনার সোমনাথ ঘোষ, চট্টগ্রাম জেলা শিল্পকলা একাডেমির কালচারাল অফিসার মোসলেম উদ্দিন শিকদার, প্রমা আবৃত্তি সংগঠনের সভাপতি রাশেদ হাসান উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানের শুরুতে উদ্বোধনী বক্তব্যে দৈনিক আজাদীর সম্পাদক এমএ মালেক বলেন, বসন্তের সাথে মানুষের জাগরণের সম্পর্ক।
বাঙালি সংস্কৃতিকে সব সময় ধারণ করার আহ্বান জানিয়ে এমএ মালেক বলেন, আমরা বসন্তের কোকিল হব না। আমাদের সংস্কৃতি, ঐতিহ্যকে সব সময় ধারণ করবো।
ভাষার মাসে বসন্ত উৎসবে একুশের ভাষা শহীদদের শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করেন তিনি।
বাঙালি ঐতিহ্যকে ধারণ করে বিভিন্ন অনুষ্ঠান আয়োজন করায় প্রমা আবৃত্তি সংগঠনকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।
সোমনাথ ঘোষ বলেন, উপমহাদেশে যেসব উৎসব হয় তা তার অধিকাংশই ধর্ম ভিত্তিক। তবে ঋতুভিত্তিকও অনেক অনুষ্ঠান হয়ে থাকে। সেখানে ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে মিলিত হয়। কথামালার শুরুতে প্রমা’র সভাপতি আবৃত্তিশিল্পী রাশেদ হাসান উপস্থিত সবাইকে বসন্তের শুভেচ্ছা জানান।
এমএ মালেকের উদ্বোধনের সাথে সাথে ভারতীয় সহকারী হাই কমিশন ও জেলা শিল্পকলা একাডেমী চট্টগ্রাম এর সহযোগীতায় উৎসবের শুরু হয় বাবুল জলদাশের ঢোল বাদনের মধ্য দিয়ে।
এরপর একে একে পরিবেশিত হয় আবৃত্তি, সঙ্গীত, আদিবাসী নৃত্য, দলীয় নৃত্য, কথামালা, কবির কণ্ঠে কবিতা পাঠ।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠান পরিচালনায় ছিলেন প্রমা’র সাধারণ সম্পাদক বিশ্বজিৎ পাল। উপস্থাপনায় ছিলেন রাজুদাশগুপ্ত, রোমেনা আফাজ রুমি, তাসলিমা আক্তার বৃষ্টি।
প্রিয়তোষ বড়ুয়ার পরিচালনায় যন্ত্র সঙ্গীত পরিবেশন করেন দ্যা ভায়োলিনিষ্ট চিটাগাং এর সদস্যরা। সমবেত সঙ্গীত পরিবেশন করেন সঙ্গীত ভবন, আদিবাসী নৃত্য পরিবেশন করেন বান্দরবানের পিংকি তংচঙ্গা, একক নৃত্য পরিবেশন করে ক্ষুদে নৃত্যশিল্পী নহর ই জান্নাত অবন্তিকা, কবিকণ্ঠে কবিতা পাঠ করেন কবি বিশ্বজিৎ চৌধুরী এবং কবি আকতার হোসেন।
একক আবৃত্তি করেন কংকন দাশ, শমিষ্ঠা বড়ুয়া, এটিএম সাইফুর রহমান, রুনা চৌধুরী, ইব্রাহিম খলিল মাসুদ। একক সঙ্গীত পরিবেশন করেন শিল্পী শ্রেয়সী রায়, আব্দুর রহিম, মোস্তফা কামাল, মাহফুজ আহমেদ, ইয়াসমিন আক্তার লোপা, তামান্না ইসলাম। বৃন্দ আবৃত্তি পরিবেশন করেন প্রমা আবৃত্তি সংগঠন।
বৃহস্পতিবার বিকেল তিনটা থেকেই জেলা শিল্পকলা একাডেমি প্রাঙ্গণে আসতে থাকে তরুণ, তরুণিরা। মা-বাবার হাত ধরে এসেছে শিশুরাও।
ছেলেদের পরনে ছিল হলুদ ও বাসন্তি রঙের পঞ্জাবি- ফতুয়া, আর মেয়েদের পরণে বাসন্তি রঙের শাড়ি। খোপায় লাল, হলুদ ফুল।
বাংলাদেশ সময়:১৯৪২ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৩,২০১৪