ঢাকা, শুক্রবার, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

নূরজাহান গ্রুপের জহিরের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৪০ ঘণ্টা, মার্চ ২, ২০১৪
নূরজাহান গ্রুপের জহিরের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

চট্টগ্রাম: ৭৫ কোটি টাকার চেক প্রতারণার অভিযোগে আরও এক মামলায় খ্যাতনামা শিল্প প্রতিষ্ঠান নূরজাহান গ্রুপের কর্ণধার জহির আহমেদসহ দু’জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন চট্টগ্রামের একটি আদালত।

রোববার চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ এস এম মুজিবুর রহমান এ পরোয়ানা জারি করেন।



অভিযুক্ত দু’জন হলেন, নূরজাহান গ্রুপের মেসার্স জাসমিয়া ভেজিটেবল অয়েল লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জহির আহমেদ এবং নগরীর আছাদগঞ্জের মেসার্স মিজান ট্রেডার্সের মালিক মিজানুর রহমান।

চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ আদালতের বেঞ্চ সহকারী মো.ওমর ফুয়াদ বাংলানিউজকে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।


আদালত সূত্রে জানা গেছে, জাসমির ভেজিটেবল অয়েলের পরিবেশক প্রতিষ্ঠানের নামে অগ্রণী ব্যাংক থেকে নেয়া ঋণ পরিশোধের অংশ হিসেবে ২০১২ সালের ১১ ডিসেম্বর পঁচাত্তর কোটি টাকার চেক দেয়া হয়। মিজানুর রহমানের পক্ষে স্বীয় ক্ষমতাবলে জহির আহমেদ ৭৫ কোটি টাকার চেক প্রদান করেন।

ন্যাশনাল ব্যাংকের আন্দরকিল্লা শাখার নামে দেয়া এ চেক ওইদিন ব্যাংকে জমা দেয়ার ‘অপর্যাপ্ত তহবিলের’ জন্য তা ডিজঅনার হয়।

১৩ ডিসেম্বর থেকে ১৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত কয়েক দফা লিগ্যাল নোটিশ দিয়েও ঋণগ্রহীতার সাড়া পাওয়া যায়নি। এক পর্যায়ে ২০১৩ সালের ২৭ জানুয়ারি অগ্রণী ব্যাংকের সিনিয়র অফিসার পলাশ রঞ্জন তালুকদার বাদি হয়ে আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন।

মামলার এজাহারে মিজানুর রহমানের পিতা ও মাতার নাম লেখা হয়েছে যথাক্রমে মো.শফিকুর রহমান ও ফিরোজা বেগম। ঠিকানা লেখা হয়েছে, ৩৯৫ দামপাড়া, এম এম আলী রোড, কোতয়ালী চট্টগ্রাম। তাকে মেসার্স মিজান ট্রেডার্স, ১৬৪৩, আছাদগঞ্জ, কোতয়ালী চট্টগ্রামের স্বত্তাধিকারী হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।

এছাড়া জহির আহমেদের পিতা ও মাতার নাম লেখা হয়েছে যথাক্রমে মৃত আলহাজ্ব আব্দুল খালেক ও নূরজাহান বেগম। ঠিকানা লেখা হয়েছে, ১০৭৪ ও আর নিজাম রোড, চট্টগ্রাম। তাকে মেসার্স জাসমির ভেজিটেবল অয়েল লিমিটেড, ১৬২৮/১৬৭১, রামজয় মহাজন লেইন, আছাদগঞ্জ, কোতয়ালী চট্টগ্রামের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।

এর আগে গত ১৯ ফেব্রুয়ারি চেক প্রতারণার অভিযোগে দায়ের হওয়া চারটি মামলায় নূরজাহান গ্রুপের দু’কর্ণধার জহির আহম্মদ ও তার ভাই টিপু সুলতানের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত। পরদিন তারা আদালতে হাজির হয়ে জামিন নেন।

এরপর গত ২৫ ফেব্রুয়ারি প্রায় ১০১ কোটি টাকার চেক প্রতারণার দায়ে জহির আহম্মেদ ও টিপু সুলতানের বিরুদ্ধে ‍অভিযোগ গঠন করেন আদালত। আগামী ৯ মার্চ থেকে এসব মামলায় পর্যায়ক্রমে সাক্ষ্যগ্রহণ শুরুর কথা রয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৮২০ঘণ্টা, মার্চ ০২,২০১৪

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।